বারাসত, 11 সেপ্টেম্বর : "পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ল্যাজেগোবরে অবস্থা কেন্দ্রের ।" আজ কাশ্মীর ইশু নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে একথা বললেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি । আজ বারাসত বিশেষ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে আসেন তিনি ৷ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাশ্মীর ইশু নিয়ে তিনি বলেন, "জম্মু-কাশ্মীরের ওই (পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর) অংশকে ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরাই প্রথম দাবি করেছিলাম । 1994 সালে কংগ্রেস সরকারই প্রথম লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ করেছিল ।"
জম্মু-কাশ্মীর থেকে 370 ধারা প্রত্যাহারের পরও কি জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হয়েছে, আজ এই প্রশ্ন তোলেন অধীর ৷ বলেন, "370 ধারা প্রত্যাহারের পর কাশ্মীরের অবস্থা খতিয়ে দেখতে সেখানে যান রাহুল গান্ধি ৷ কিন্তু তাঁকে কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । দেশের লোকই সেখানে যেতে পারছেন না । 25টা হোটেলের বুকিং বাতিল হয়েছে । বাঙালিরা প্রতিবছর দুর্গাপুজোর সময় কাশ্মীরে যান । এবার যেতে পারছেন না ।" NRC ইশু নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন অধীর ৷ বলেন, "NRC-র নামে মুসলমানদের দেশ থেকে তাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে BJP ৷ কেন্দ্রীয় সরকার আসলে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করছে । ওরা BJP শাসিত রাজ্যে কেন NRC চালু করছে না ?"
দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, "অর্থনীতির বিপর্যয়ের জন্য কেবল দেশের অর্থমন্ত্রী একা দায়ি নন । গোটা BJP সরকার দায়ি । সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা শোনার সময় এদের নেই । মোদি সরকার টিভিতে বিজ্ঞাপন দিতেই ব্যস্ত । দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় নোটবাতিলের সময় থেকে শুরু হয়েছে । সেদিন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যা বলেছিলেন, আজ তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে । মোদি সরকার নোটবাতিল করে দেশে কালোটাকা ফিরিয়ে আনবে বলেছিল । রাত 12টার সময় GST চালু করেছিল । নোটবাতিল ও GST করে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে । কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল নোটবাতিল নিয়ে একটা বড় দুর্নীতি সামনে আনবেন । কেন্দ্রীয় সরকার সেটাও চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে । ব্ল্যাক আউট করছে ।"
মেট্রোর কাজের জেরে বউবাজারের একধিক বাড়িতে ধস নামে ৷ এপ্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে অধীর বলেন, "রাজ্যের চাপে মেট্রোর গতিপথ বদল হয়েছে ৷ এর ফলেই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে । বউবাজার-সহ বহু জায়গায় বাড়ি ভেঙে পড়ছে । কলকাতায় মেট্রোর বিপর্যয় নিয়ে আমি রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে দেখা করেছি । ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো নিয়ে যে ঘটনা ঘটল, তা অপ্রত্যাশিত । এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত ৷" পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে অধীর বলেন, "মমতা ব্যান্দ্যোপাধ্যায় আগে যে ভাষায় নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করতেন এখন তাঁর মুখে আর সেই ভাষা শোনা যাচ্ছে না । 370 ধারা ও মেট্রো নিয়েও মমতা নীরব । উনি সব কিছু জানেন বলেই নীরব হয়ে আছেন ।"