ETV Bharat / state

নৈহাটিতে মহিলা খুনে গ্রেপ্তার 2 প্রতিবেশী

নৈহাটিতে গৃহশিক্ষিকা খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হল দুইজন ৷ একজন তাঁরই প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডল, অপরজন জয়দেব মণ্ডলের কর্মচারী পিন্টু নাথ ৷ ধৃতদের সাতদিনের পুুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিল ব্যারাকপুর আদালত ৷

গৃহ শিক্ষিকা খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার 2
author img

By

Published : Nov 24, 2019, 3:09 PM IST

নৈহাটিতে, 24 নভেম্বর : নৈহাটি পৌরসভার পালবাগান এলাকায় বাড়ি থেকে এক গৃহশিক্ষিকার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ ওই মহিলার নাম ইন্দ্রাণী মিত্র (47) ৷ নৈহাটি থানার পুলিশ প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডল এবং তার দোকানের কর্মচারী পিন্টু নাথকে গ্রেপ্তার করে ৷ প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডলের কথায় অসঙ্গতি প্রকাশ পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷

দু'জনকেই 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হয় ৷ বিচারক দু'জনকেই সাতদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । এই দুই সন্দেহভাজককে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেপাজতে রাখতে চাইছে পুলিশ ৷ যদিও পুলিশ মনে করছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই জয়দেব মণ্ডল কর্মচারী পিন্টু নাথকে সঙ্গে নিয়ে ইন্দ্রাণীদেবীকে খুন করেছে । প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডলের সঙ্গে ইন্দ্রাণীদেবীর একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ আর সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেও তিনি খুন হতে পারেন ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি একাই থাকতেন ওই বাড়িতে ৷ পিতার মৃত্যর পর তাঁর পাশের ঘরটি প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডলকে দোকান চালানোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন ৷ তাঁর বাবার মৃত্যুর পর দোকান ঘরের ভাড়া নেওয়ার পরিবর্তে তিনি জয়দেব মণ্ডলের পরিবারের কাছ থেকে দুবেলা খাবার খেতেন ৷ ইন্দ্রাণীদেবীর সঙ্গে জয়দেব মণ্ডলের পরিবারের ভালো সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে ৷ পরশুদিন রাতে ইন্দ্রাণীদেবী খাবার নিতে না যাওয়ায় খোঁজখবর নিতে জয়দেব তাঁর বাড়ি যায় ৷ দেখে, দরজা খোলা এবং খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ইন্দ্রাণীদেবী ৷ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হলে তারা আসে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ।

নৈহাটিতে, 24 নভেম্বর : নৈহাটি পৌরসভার পালবাগান এলাকায় বাড়ি থেকে এক গৃহশিক্ষিকার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ ওই মহিলার নাম ইন্দ্রাণী মিত্র (47) ৷ নৈহাটি থানার পুলিশ প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডল এবং তার দোকানের কর্মচারী পিন্টু নাথকে গ্রেপ্তার করে ৷ প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডলের কথায় অসঙ্গতি প্রকাশ পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷

দু'জনকেই 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হয় ৷ বিচারক দু'জনকেই সাতদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । এই দুই সন্দেহভাজককে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেপাজতে রাখতে চাইছে পুলিশ ৷ যদিও পুলিশ মনে করছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই জয়দেব মণ্ডল কর্মচারী পিন্টু নাথকে সঙ্গে নিয়ে ইন্দ্রাণীদেবীকে খুন করেছে । প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডলের সঙ্গে ইন্দ্রাণীদেবীর একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ আর সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেও তিনি খুন হতে পারেন ৷

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি একাই থাকতেন ওই বাড়িতে ৷ পিতার মৃত্যর পর তাঁর পাশের ঘরটি প্রতিবেশী জয়দেব মণ্ডলকে দোকান চালানোর জন্য ভাড়া দিয়েছিলেন ৷ তাঁর বাবার মৃত্যুর পর দোকান ঘরের ভাড়া নেওয়ার পরিবর্তে তিনি জয়দেব মণ্ডলের পরিবারের কাছ থেকে দুবেলা খাবার খেতেন ৷ ইন্দ্রাণীদেবীর সঙ্গে জয়দেব মণ্ডলের পরিবারের ভালো সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে ৷ পরশুদিন রাতে ইন্দ্রাণীদেবী খাবার নিতে না যাওয়ায় খোঁজখবর নিতে জয়দেব তাঁর বাড়ি যায় ৷ দেখে, দরজা খোলা এবং খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ইন্দ্রাণীদেবী ৷ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হলে তারা আসে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ।

Intro:নৈহাটিতে গৃহ শিক্ষিকা খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারই প্রতিবেশী 2 জনকেBody:নৈহাটি পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের গিরিশ ঘোষাল রোড পালবাগান এলাকায় গতকাল ভোররাতে নিজের ঘরেই ইন্দ্রানী মিত্র (47)নামে এক মহিলার ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইন্দ্রানী দেবী অবিবাহিত ছিলেন এবং নিজের বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। গৃহশিক্ষিকার কাজ করতেন, এছাড়াও তার পাশের ঘরটি স্থানীয় জয়দেব মণ্ডল নামে একজনকে দোকান চালানোর জন্য ভাড়া হিসেবে দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি জয়দেব মণ্ডল এর কাছ থেকে কোন ভাড়া না নিয়ে তাদের কাছ থেকে দুবেলা খাবার খেতেন।ইন্দ্রানী দেবীর বাবা মারা যাবার পর এভাবেই তিনি দিনযাপন করতেন। এদিকে এই ভাবে টানা 19 বছর দিনযাপন করতে করতে জয়দেব মণ্ডল এর পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। গত পরশুদিন রাতে ইন্দ্রাণী দেবী জয়দেব বাবুর বাড়িতে খাবার নিতে না যাওয়ায় তারা খোঁজখবর নিতে তার বাড়িতে আসেন জয়দেব বাবু। তখনই দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকে দেখেন খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ইন্দ্রানী। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রতিবেশীদের খবর দেওয়া হলে তারাও ছুটে আসে খবর দেওয়া হয় নৈহাটি থানার পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের অনুমান এই মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জয়দেব মণ্ডল কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।কিন্তু তার কথাবার্তায় অসঙ্গতি পাওয়ায় তার প্রতি সন্দেহ হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জয়দেবপুর দোকানের কর্মচারী পিন্টু নাথ নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে নৈহাটি থানার পুলিশ। দু'জনকেই 10 দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ ব্যারাকপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক দু'জনকেই সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে ইন্দ্রানী দেবী খুন কে বা কারা কি কারণে করেছে তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও পুলিশ মনে করছে জয়দেব মণ্ডল ও তার কর্মচারী পিন্টু নাথ কে সঙ্গে নিয়ে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন করেছে। সে কারণেই এদের দুজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে পুলিশ। এছাড়াও পুলিশের সন্দেহ জয়দেব মণ্ডল এর সাথে ইন্দ্রানী দেবীর একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যই খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.