বারাসত, 2 অক্টোবর : আইনজীবী রজতকুমার দে খুনের মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা দে (পাল)৷ খুনের মামলার দশ মাসের মাথায় জামিনে ছাড়া পেলেন তিনি ৷ 27 সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট 50 হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে অনিন্দিতার ৷ জামিনের শর্ত হিসেবে তাঁকে পাসপোর্ট জমা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ পাশাপাশি তাঁর কলকাতার বাইরে যাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত ৷
সুপ্রিম কোর্ট অনিন্দিতার জামিন মঞ্জুর করলেও সব কাগজপত্র আজ জমা দেওয়া হয় বারাসত আদালতে ৷ তারপরই জামিনে ছাড়া পান তিনি ৷ ফাস্ট ট্রাক থার্ড কোর্টের এজলাসে জামিনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গতকাল দুপুরে জমা দেন অনিন্দিতার আইনজীবী চন্দ্রশেখর বাগ ৷ তিনি জানান, 27 সেপ্টেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত অনিন্দিতার জামিন মঞ্জুর করে ৷ জামিনের শর্ত হিসেবে পাসপোর্ট জমা রাখা, কলকাতার বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় ৷ এর বাইরে তেমন বড় কিছু শর্ত দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট ৷ চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, মামলা মামলার মতো চলবে ৷
খুনের অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হবে বলেও দাবি করেছেন অনিন্দিতার আইনজীবী ৷ আদালত জামিন মঞ্জুর করায় মঙ্গলবার বিকেলে দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে ছাড়া পান অনিন্দিতা ৷ তার আগেই বারাসত আদালতে হাজিরা দিতে এসে ফের একবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন স্বামী খুনে অভিযুক্ত অনিন্দিতা ৷
2018 সালের 25 নভেম্বর নিউ টাউনের ডি বি ব্লকের ফ্ল্যাট থেকে আইনজীবী রজতকুমার দে-র নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ এই মৃত্যু ঘিরে প্রথম থেকেই রহস্য দানা বাঁধে ৷ ঘটনার একদিন বাদে মৃতের বাবা সমীরকুমার দে অভিযোগ দায়ের করেন নিউ টাউন থানায় ৷ পরে, পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ৷ গত বছরের 1 ডিসেম্বর খুনের অভিযোগে মৃতের স্ত্রী অনিন্দিতা দে (পাল)-কে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ এর পর থেকেই মামলাটি বারাসত আদালতের সিজেএম-র এজলাসে চলছে ৷ খুনের 81 দিনের মাথায় এই এজলাসের বিচারক রতন শূরের কাছে অনিন্দিতার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ ৷ 302 ধারা (খুন) ও 201 (তথ্য লোপাট) ধারার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে ৷ প্রায় 350 পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয় ৷ 39 জন সাক্ষ্য দেবেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় ৷ সেই সাক্ষ্য এখনও চলছে ৷