বারাসত, 25 মে : কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লাইটপোস্ট থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক ইলেকট্রিশিয়ানের।মৃতের নাম অমল দাস(45)। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের 8 নম্বর ওয়ার্ডের নন্দন কাননে।তবে,মৃত্যুর পিছনে সঠিক কারণ খতিয়ে দেখছে বারাসত থানার পুলিশ।ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ওই ইলেকট্রিশিয়ানের বাড়ি বারাসত পৌরসভার 34 নম্বর ওয়ার্ডে।বিভিন্ন বাড়ি ও দোকানে ইলেকট্রিকের কাজ করতেন তিনি।ইলেকট্রিকের মিস্ত্রি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন এলাকায়।কয়েক মাস আগে বিয়েও হয়েছিল। স্ত্রী ও মাকে নিয়েই ছিল তাঁর সংসার।ঘূর্ণিঝড় আমফানে কয়েকদিন ধরেই বারাসতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্যুৎহীন। বিদ্যুতের দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনেও নামেন এলাকার বাসিন্দারা।সেই আন্দোলনের জেরে বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুত ফিরে আসলেও এখনও কিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ।এরই মধ্যে আজ দুপুরে নন্দনকানন এলাকায় এক গৃহস্থের বাড়িতে বিদ্যুতের সমস্যা থাকায় ডেকে আনা হয় ওই ইলেকট্রিশিয়ানকে।সেখানে এসে তিনি লাইটপোস্টে মই খাঁটিয়ে উপরে উঠেছিলেন ইলেকট্রিকের কাজ করতে। সেই সময় আচমকাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে উপর থেকে পড়ে যান।এরপর,অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই ইলেকট্রিশিয়ানকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।পরে,দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে ছুটে আসেন 8 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরুণ ভৌমিক।তিনি বলেন,"ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক।কীভাবে ঘটনাটি ঘটল,তা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়।তবে,জানতে পেরেছি ইলেকট্রিকের কাজ করতে গিয়েই ঘটনাটি ঘটেছে।মৃত ব্যক্তি বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের কোনও কর্মী নন।উনি ইলেকট্রিকের মিস্ত্রি ছিলেন।নন্দনকাননে কোনও বাড়ির ইলেকট্রিকের কাজ করতে এসেছিলেন তিনি।তখনই ঘটনাটি ঘটেছে"।
পুলিশ জানিয়েছে,"বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাকি মই থেকে কোনওভাবে পড়ে ওই ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে,তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই বোঝা যাবে। অনিচ্ছাকৃত একটি মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।প্রয়োজনে ওই গৃহস্থের বাড়ির পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হবে"।
অপরদিকে,এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় নন্দন কানন এলাকায়।শোকের ছায়া নেমে আসে মৃতের পরিবারেও।কীভাবে ঘটনাটি ঘটল,তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।