ETV Bharat / state

Ph.D করেও চাকরি পাননি, বাবা-মা সহ স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন মহিলার - Letter to District Magistrate of N24 PGS

করেছেন Ph.D ৷ তা সত্ত্বেও চাকরি পাননি ৷ অনাহারে দিন কাটছে ৷ সেজন্য বাবা-মা সহ স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করলেন এক মহিলা ৷

বাবা-মা সহ মহিলা
author img

By

Published : Aug 17, 2019, 9:17 AM IST

Updated : Aug 18, 2019, 2:57 PM IST

বারাসত, 17 অগাস্ট : হাড় বের করা চেহারা ৷ চোখে-মুখে অনাহারের ছাপ স্পষ্ট ৷ বাড়িতে রয়েছেন অশীতিপর বাবা-মা । তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ ৷ গত পাঁচ বছর ধরে কখনও অনাহারে, কখনও অর্ধাহারে থেকেছেন ৷ কারণ? চাকরি নেই ৷ যদিও Ph.D করেছেন ৷ কাজের চেষ্টাও করেছেন । কিন্তু, চাকরি পাননি । তাই এবার জেলাশাসকের কাছে সপরিবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করলেন বছর 50-এর গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায় ।

গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায় । জন্ম দুর্গাপুরে । বাবা কমলবাবু ছিলেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অফিস ম্যানেজার । ওই স্টিল প্ল্যান্টের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা মা গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু, সেই সময় পেনশন চালু হয়নি তাঁদের ৷ গার্গীর এক বোনও আছেন । চারজনের পরিবার বেশ চলছিল ৷ অবসরের পর দুর্গাপুর থেকে বারাসতে চলে আসেন কমলবাবু । প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকায় চলছিল সংসার ৷ সেই টাকার একটা বড় অংশ দুই মেয়ের উচ্চশিক্ষার খাতে খরচ করেন কমলবাবু ৷ পরে বারাসতের চার নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লি এলাকায় এক কামরার ফ্ল্যাট কেনেন ৷ গার্গী ও ছোটো মেয়ে কস্তুরীর বিয়েও দেন । ক্রমশ ফুরিয়ে আসতে থাকে সীমিত সঞ্চয় ৷ এভাবেই কোনওক্রমে সংসার চলছিল ৷ ইতিমধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয় গার্গীর ৷ চলে আসেন বাবা-মায়ের কাছে ৷ একটা কাজের জন্য পৌরসভা থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সবার দরজায় ঘুরেছেন । বারবার ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে । অথচ যথেষ্ট উচ্চশিক্ষিত গার্গী ৷ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীতে স্নাতকোত্তর ৷ পরে সেখান থেকেই "রবীন্দ্র সংগীতে প্রকৃতি ও মানব মন" নিয়ে গবেষণা করে Ph.D করেন । নেন মন্তেসরি ট্রেনিংও । তা সত্ত্বেও হাতে কাজ নেই ৷ সঞ্চয়ের ভাণ্ডার শেষ ৷ তখন থেকে কোনওদিন অনাহারে, কোনওদিন অর্ধাহারে দিন কাটতে থাকে গার্গীদের ।

Euthanasia
অশীতিপর কমলবাবু

ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল সরকার জানতে পারেন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্দশার কথা ৷ তাঁর কথায়, "একদিন দেখলাম, কমলবাবু একটি ছেলের কাছে 10 টাকা চাইলেন । তারপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, তাঁরা টানা 19 দিন অনাহারে রয়েছেন । আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি । 'দিদিকে বলো'-তে তিন ফোন করেছিলাম । ফোন পাইনি । " এরপর বৃহস্পতিবার রাতে গার্গীর অনুমতি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় অসহায় পরিবারের কথা পোস্ট করেন শ্যামলবাবু ৷

তারপর বারাসত সত্যভারতী স্কুলের পাশে প্রতিমা অ্যাপার্টমেন্টে যান ETV ভারতের প্রতিনিধি ৷ ফ্ল্যাটের গেট খুলে দেন গার্গী নিজেই৷ ঘরে ঢুকে দেখা গেল, খাটে বসে রয়েছেন কমলবাবু ও তাঁর স্ত্রী ৷ জরাজীর্ণ শরীর ৷ মুখে একগাল দাড়ি ৷ শেষ কবে তাতে হাত পড়েছিল, নিজেও ভুলে গেছেন কমলবাবু ৷ দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে ৷ অভুক্ত হয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে ৷ অস্ফুটে শোনালেন অসহায় রোজনামচা ৷

Euthanasia
হাতজোড় করে সাহায্যের আর্তি

গার্গী জানান, বাবা কমলবাবু হৃদরোগী । বুকে পেসমেকার বসানো । মা কিডনির অসুখ । নিজেও অসুস্থ ৷ বলেন, "আমরা গত কয়েক বছর নিদারুণ অর্থকষ্টে রয়েছি ৷ এত আর্থিক কষ্টে মানুষ বাঁচতে পারে না ৷ বাবা-মা খুবই অসুস্থ ৷ চিকিৎসার কোনও টাকা নেই ৷ চিকিৎসক বিনামূল্যে দেখলেও ওষুধ কেনার টাকা নেই ৷ ঠিক করে খাওয়া-দাওয়াও হয় না ৷ প্রায় অনাহারে দিন কাটে ৷ লোকের কাছে হাত পেতে সংসার চলছে ৷ একটা কাজের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি ৷ যা হোক একটা কাজ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি ৷ লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি ৷ কিন্তু, কোনও চাকরি পাইনি ৷" কঙ্কালসার চেহারার গার্গী জানালেন, এরপর বাধ্য হয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসককে চিঠি লিখেছেন ৷ তাঁর আর্জি, "হয় আমাকে একটা কাজ দিন । নাহলে মঞ্জুর করুন আমাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন । " দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারাসত পৌরসভার ৷ কমলবাবুর জন্য বার্ধক্যভাতার বন্দোবস্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় ৷ তবে, তা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া বলে বক্তব্য গার্গীর ৷ বাঁচার আকুতি নিয়ে এখনও একটা চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি ৷ কথাগুলি বলার সময় পাশে বসে শুনছিলেন তাঁর বাবা-মা ৷ মুখে তাঁদের কোনও ভাষা নেই ৷ সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাঁচার শেষ আকুতি ঝরে পড়ল অশীতিপর কণ্ঠে । অভুক্ত পেটে গার্গী বললেন, "Ph.D করেছি । যে কোনও একটা কাজ কি আমি পেতে পারি না?" আগে অনেক ঘুরেছেন । অনেকবার । ক্লান্ত অসহায় গার্গীর চোখে যেন কবি জয় গোস্বামীর কবিতার ছত্র, "বেণীমাধব, তবু আগুন জ্বলে কই। কেমন হত আমিও যদি....৷"

Euthanasia
স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে চিঠি

গার্গীর স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনপত্র বারাসতের পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী । সুনীলবাবু বলেন, "আগামীকাল (শনিবার) ওই পরিবারকে ডেকে পাঠানো হবে । কমলবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে বার্ধক্যভাতার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে । " আর সেদিকেই চেয়ে রয়েছেন গার্গী ও তাঁর বাবা-মা ৷

দেখুন ভিডিয়ো

বারাসত, 17 অগাস্ট : হাড় বের করা চেহারা ৷ চোখে-মুখে অনাহারের ছাপ স্পষ্ট ৷ বাড়িতে রয়েছেন অশীতিপর বাবা-মা । তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ ৷ গত পাঁচ বছর ধরে কখনও অনাহারে, কখনও অর্ধাহারে থেকেছেন ৷ কারণ? চাকরি নেই ৷ যদিও Ph.D করেছেন ৷ কাজের চেষ্টাও করেছেন । কিন্তু, চাকরি পাননি । তাই এবার জেলাশাসকের কাছে সপরিবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করলেন বছর 50-এর গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায় ।

গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায় । জন্ম দুর্গাপুরে । বাবা কমলবাবু ছিলেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অফিস ম্যানেজার । ওই স্টিল প্ল্যান্টের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা মা গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্তু, সেই সময় পেনশন চালু হয়নি তাঁদের ৷ গার্গীর এক বোনও আছেন । চারজনের পরিবার বেশ চলছিল ৷ অবসরের পর দুর্গাপুর থেকে বারাসতে চলে আসেন কমলবাবু । প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকায় চলছিল সংসার ৷ সেই টাকার একটা বড় অংশ দুই মেয়ের উচ্চশিক্ষার খাতে খরচ করেন কমলবাবু ৷ পরে বারাসতের চার নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লি এলাকায় এক কামরার ফ্ল্যাট কেনেন ৷ গার্গী ও ছোটো মেয়ে কস্তুরীর বিয়েও দেন । ক্রমশ ফুরিয়ে আসতে থাকে সীমিত সঞ্চয় ৷ এভাবেই কোনওক্রমে সংসার চলছিল ৷ ইতিমধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয় গার্গীর ৷ চলে আসেন বাবা-মায়ের কাছে ৷ একটা কাজের জন্য পৌরসভা থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সবার দরজায় ঘুরেছেন । বারবার ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে । অথচ যথেষ্ট উচ্চশিক্ষিত গার্গী ৷ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীতে স্নাতকোত্তর ৷ পরে সেখান থেকেই "রবীন্দ্র সংগীতে প্রকৃতি ও মানব মন" নিয়ে গবেষণা করে Ph.D করেন । নেন মন্তেসরি ট্রেনিংও । তা সত্ত্বেও হাতে কাজ নেই ৷ সঞ্চয়ের ভাণ্ডার শেষ ৷ তখন থেকে কোনওদিন অনাহারে, কোনওদিন অর্ধাহারে দিন কাটতে থাকে গার্গীদের ।

Euthanasia
অশীতিপর কমলবাবু

ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল সরকার জানতে পারেন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্দশার কথা ৷ তাঁর কথায়, "একদিন দেখলাম, কমলবাবু একটি ছেলের কাছে 10 টাকা চাইলেন । তারপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, তাঁরা টানা 19 দিন অনাহারে রয়েছেন । আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি । 'দিদিকে বলো'-তে তিন ফোন করেছিলাম । ফোন পাইনি । " এরপর বৃহস্পতিবার রাতে গার্গীর অনুমতি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় অসহায় পরিবারের কথা পোস্ট করেন শ্যামলবাবু ৷

তারপর বারাসত সত্যভারতী স্কুলের পাশে প্রতিমা অ্যাপার্টমেন্টে যান ETV ভারতের প্রতিনিধি ৷ ফ্ল্যাটের গেট খুলে দেন গার্গী নিজেই৷ ঘরে ঢুকে দেখা গেল, খাটে বসে রয়েছেন কমলবাবু ও তাঁর স্ত্রী ৷ জরাজীর্ণ শরীর ৷ মুখে একগাল দাড়ি ৷ শেষ কবে তাতে হাত পড়েছিল, নিজেও ভুলে গেছেন কমলবাবু ৷ দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে ৷ অভুক্ত হয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে ৷ অস্ফুটে শোনালেন অসহায় রোজনামচা ৷

Euthanasia
হাতজোড় করে সাহায্যের আর্তি

গার্গী জানান, বাবা কমলবাবু হৃদরোগী । বুকে পেসমেকার বসানো । মা কিডনির অসুখ । নিজেও অসুস্থ ৷ বলেন, "আমরা গত কয়েক বছর নিদারুণ অর্থকষ্টে রয়েছি ৷ এত আর্থিক কষ্টে মানুষ বাঁচতে পারে না ৷ বাবা-মা খুবই অসুস্থ ৷ চিকিৎসার কোনও টাকা নেই ৷ চিকিৎসক বিনামূল্যে দেখলেও ওষুধ কেনার টাকা নেই ৷ ঠিক করে খাওয়া-দাওয়াও হয় না ৷ প্রায় অনাহারে দিন কাটে ৷ লোকের কাছে হাত পেতে সংসার চলছে ৷ একটা কাজের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি ৷ যা হোক একটা কাজ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি ৷ লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি ৷ কিন্তু, কোনও চাকরি পাইনি ৷" কঙ্কালসার চেহারার গার্গী জানালেন, এরপর বাধ্য হয়ে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসককে চিঠি লিখেছেন ৷ তাঁর আর্জি, "হয় আমাকে একটা কাজ দিন । নাহলে মঞ্জুর করুন আমাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন । " দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারাসত পৌরসভার ৷ কমলবাবুর জন্য বার্ধক্যভাতার বন্দোবস্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয় ৷ তবে, তা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া বলে বক্তব্য গার্গীর ৷ বাঁচার আকুতি নিয়ে এখনও একটা চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি ৷ কথাগুলি বলার সময় পাশে বসে শুনছিলেন তাঁর বাবা-মা ৷ মুখে তাঁদের কোনও ভাষা নেই ৷ সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাঁচার শেষ আকুতি ঝরে পড়ল অশীতিপর কণ্ঠে । অভুক্ত পেটে গার্গী বললেন, "Ph.D করেছি । যে কোনও একটা কাজ কি আমি পেতে পারি না?" আগে অনেক ঘুরেছেন । অনেকবার । ক্লান্ত অসহায় গার্গীর চোখে যেন কবি জয় গোস্বামীর কবিতার ছত্র, "বেণীমাধব, তবু আগুন জ্বলে কই। কেমন হত আমিও যদি....৷"

Euthanasia
স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে চিঠি

গার্গীর স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনপত্র বারাসতের পৌরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী । সুনীলবাবু বলেন, "আগামীকাল (শনিবার) ওই পরিবারকে ডেকে পাঠানো হবে । কমলবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে বার্ধক্যভাতার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে । " আর সেদিকেই চেয়ে রয়েছেন গার্গী ও তাঁর বাবা-মা ৷

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:পিএইচডি করেও কাজ পাননি, বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জেলাশাসকের কাছে

বারাসতঃ ঘরে অশীতিপর বৃদ্ধ বাবা-মা। নিজে সংগীতে এমএ। রবীন্দ্রসংগীতে পিএইচডিও করেছেন। একটা কাজের আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন। শুধু মিথ্যে আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। তাই, টানা চার বছর ধরে কখনও অনাহারে কখনও অর্ধাহারে থেকে অবশেষে জীবন থেকে চিরছুটি চান বারাসতের গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়। সপরিবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে জেলাশাসকের কাছে আবেদন করলেন।

গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স ৫০। জন্ম দুর্গাপুরে। বাবা কমল বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অফিস ম্যানেজার। মা গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ওই স্টিল প্ল্যান্টের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। গার্গীর এক বোনও আছেন। বেশ রঙিনই ছিল জীবনটা। কিন্তু ভাগ্যের বিপর্যয় শুরু হল কমলবাবুর অবসরের পর। দুর্গাপুর থেকে চলে এলেন বারাসতে। গার্গী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীতে এমএ করলেন। নিয়েছেন মন্তেসরি ট্রেনিংও। পরে রবীন্দ্র 'সংগীতে প্রকৃতি ও মানব মন' নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন। উচ্চশিক্ষা হল। কিন্তু কাজ মিলল কোথায়? অনেক চেষ্টা-চরিত্র করে বেসরকারি একটি প্রাথমিক স্কুলে কাজ পেয়েছিলেন। সেটা পরে চলে যায়। বাবা কমলবাবু দুই মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য পিএফের টাকার একটা বড় অংশ খরচ করে ফেলেন। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে বারাসত শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লি এলাকায় একটি এক কামরার ফ্ল্যাট কেনেন। গার্গী ও ছোট মেয়ে কস্তুরীর বিয়েও দেন। বেশ ছিলেন সকলে। ২০১৪ সালের পর থেকে কপর্দকশূন্য হয়ে পড়েন কমলবাবু। বিয়ে ভেঙে যায় গার্গীর। বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসেন। সেই থেকে কোনওদিন অনাহারে কোনওদিন অর্ধাহারে তাঁরা দিন কাটাতে থাকেন। গার্গী একটা কাজের জন্য পুরসভা থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সবার দুয়ারে ঘিরেছেন। বারবার ফিরে এসেছেন শূন্য হাতে। অভাগা যেদিকে চায়....।

বাবা কমলবাবু হৃদরোগী। বুকে পেসমেকার। মা গীতাদেবী কিডনির অসুখে আক্রান্ত। ঘরে খাবার নেই। বাবা-মায়ের ওষুধ কেনার টাকা নেই। কী হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ শংসাপত্র? কী হবে পিএইচডি ডিগ্রি? অবশেষে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন গার্গী। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে চিঠি লিখলেন, হয় আমাকে একটা কাজ দিন। না হলে মঞ্জুর করুন আমাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন।

স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল সরকার জানান, 'একদিন দেখলাম, কমলবাবু একটি ছেলের কাছে দশ টাকা চাইলেন। তারপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, তাঁরা টানা ১৯ দিন অনাহারে রয়েছেন। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। 'দিদিকে বলো'র ফোন নম্বরে তিনবার চেষ্টা করেছিলাম। সংযোগ পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করছি, পরিবারটাকে বাঁচানোর জন্য কিছু করলে ভীষণ খুশি হব।'

বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামলবাবু গার্গীর অনুমতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অসহায় স্কলার গার্গীর ইতিকথা। সেই পোস্ট দেখে ইটিভি ভারতের পক্ষ থেকে যাওয়া হয় বারাসত সত্যভারতী স্কুলের পাশে প্রতিমা অ্যাপার্টমেন্টে। গার্গীর এক কামরার ফ্ল্যাটে। মুখে একগাল দাড়ি। কমলবাবু বসে আছেন একটা খাটের উপর। যেন জীবন থেকে চিরছুটি চান তিনি। অস্ফুটে বললেন তাঁর অসহায় দিনলিপি।
সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাঁচার শেষ আকুতি ঝরে পড়ল অশীতিপর কণ্ঠে। অভুক্ত পেটে গার্গী বললেন, 'পিএইচডি করেছি। যে কোনও একটা কাজ কি আমি পেতে পারি না?'

জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী গার্গীর স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনপত্র বারাসতের পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন। সুনীলবাবু জানিয়েছেন, শনিবারই ওই পরিবারকে ডেকে পাঠানো হবে। কমলবাবু ও গীতাদেবীকে বার্ধক্যভাতার ব্যবস্থা করা হবে।

আগে অনেক ঘুরেছেন। অনেকবার। ক্লান্ত অসহায় গার্গীর চোখে যেন কবি জয় গোস্বামী কবিতার ছত্র---বেণীমাধব, তবু আগুন জ্বলে কই। কেমন হত আমিও যদি....।
Body:পিএইচডি করেও কাজ পাননি, বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জেলাশাসকের কাছে

বারাসতঃ ঘরে অশীতিপর বৃদ্ধ বাবা-মা। নিজে সংগীতে এমএ। রবীন্দ্রসংগীতে পিএইচডিও করেছেন। একটা কাজের আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন। শুধু মিথ্যে আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। তাই, টানা চার বছর ধরে কখনও অনাহারে কখনও অর্ধাহারে থেকে অবশেষে জীবন থেকে চিরছুটি চান বারাসতের গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়। সপরিবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে জেলাশাসকের কাছে আবেদন করলেন।

গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স ৫০। জন্ম দুর্গাপুরে। বাবা কমল বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অফিস ম্যানেজার। মা গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ওই স্টিল প্ল্যান্টের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। গার্গীর এক বোনও আছেন। বেশ রঙিনই ছিল জীবনটা। কিন্তু ভাগ্যের বিপর্যয় শুরু হল কমলবাবুর অবসরের পর। দুর্গাপুর থেকে চলে এলেন বারাসতে। গার্গী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীতে এমএ করলেন। নিয়েছেন মন্তেসরি ট্রেনিংও। পরে রবীন্দ্র 'সংগীতে প্রকৃতি ও মানব মন' নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন। উচ্চশিক্ষা হল। কিন্তু কাজ মিলল কোথায়? অনেক চেষ্টা-চরিত্র করে বেসরকারি একটি প্রাথমিক স্কুলে কাজ পেয়েছিলেন। সেটা পরে চলে যায়। বাবা কমলবাবু দুই মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য পিএফের টাকার একটা বড় অংশ খরচ করে ফেলেন। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে বারাসত শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লি এলাকায় একটি এক কামরার ফ্ল্যাট কেনেন। গার্গী ও ছোট মেয়ে কস্তুরীর বিয়েও দেন। বেশ ছিলেন সকলে। ২০১৪ সালের পর থেকে কপর্দকশূন্য হয়ে পড়েন কমলবাবু। বিয়ে ভেঙে যায় গার্গীর। বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসেন। সেই থেকে কোনওদিন অনাহারে কোনওদিন অর্ধাহারে তাঁরা দিন কাটাতে থাকেন। গার্গী একটা কাজের জন্য পুরসভা থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সবার দুয়ারে ঘিরেছেন। বারবার ফিরে এসেছেন শূন্য হাতে। অভাগা যেদিকে চায়....।

বাবা কমলবাবু হৃদরোগী। বুকে পেসমেকার। মা গীতাদেবী কিডনির অসুখে আক্রান্ত। ঘরে খাবার নেই। বাবা-মায়ের ওষুধ কেনার টাকা নেই। কী হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ শংসাপত্র? কী হবে পিএইচডি ডিগ্রি? অবশেষে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন গার্গী। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে চিঠি লিখলেন, হয় আমাকে একটা কাজ দিন। না হলে মঞ্জুর করুন আমাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন।

স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল সরকার জানান, 'একদিন দেখলাম, কমলবাবু একটি ছেলের কাছে দশ টাকা চাইলেন। তারপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, তাঁরা টানা ১৯ দিন অনাহারে রয়েছেন। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। 'দিদিকে বলো'র ফোন নম্বরে তিনবার চেষ্টা করেছিলাম। সংযোগ পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করছি, পরিবারটাকে বাঁচানোর জন্য কিছু করলে ভীষণ খুশি হব।'

বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামলবাবু গার্গীর অনুমতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অসহায় স্কলার গার্গীর ইতিকথা। সেই পোস্ট দেখে ইটিভি ভারতের পক্ষ থেকে যাওয়া হয় বারাসত সত্যভারতী স্কুলের পাশে প্রতিমা অ্যাপার্টমেন্টে। গার্গীর এক কামরার ফ্ল্যাটে। মুখে একগাল দাড়ি। কমলবাবু বসে আছেন একটা খাটের উপর। যেন জীবন থেকে চিরছুটি চান তিনি। অস্ফুটে বললেন তাঁর অসহায় দিনলিপি।
সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাঁচার শেষ আকুতি ঝরে পড়ল অশীতিপর কণ্ঠে। অভুক্ত পেটে গার্গী বললেন, 'পিএইচডি করেছি। যে কোনও একটা কাজ কি আমি পেতে পারি না?'

জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী গার্গীর স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনপত্র বারাসতের পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন। সুনীলবাবু জানিয়েছেন, শনিবারই ওই পরিবারকে ডেকে পাঠানো হবে। কমলবাবু ও গীতাদেবীকে বার্ধক্যভাতার ব্যবস্থা করা হবে।

আগে অনেক ঘুরেছেন। অনেকবার। ক্লান্ত অসহায় গার্গীর চোখে যেন কবি জয় গোস্বামী কবিতার ছত্র---বেণীমাধব, তবু আগুন জ্বলে কই। কেমন হত আমিও যদি....।
Conclusion:পিএইচডি করেও কাজ পাননি, বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জেলাশাসকের কাছে

বারাসতঃ ঘরে অশীতিপর বৃদ্ধ বাবা-মা। নিজে সংগীতে এমএ। রবীন্দ্রসংগীতে পিএইচডিও করেছেন। একটা কাজের আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন। শুধু মিথ্যে আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি। তাই, টানা চার বছর ধরে কখনও অনাহারে কখনও অর্ধাহারে থেকে অবশেষে জীবন থেকে চিরছুটি চান বারাসতের গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়। সপরিবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে জেলাশাসকের কাছে আবেদন করলেন।

গার্গী বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স ৫০। জন্ম দুর্গাপুরে। বাবা কমল বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের অফিস ম্যানেজার। মা গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ওই স্টিল প্ল্যান্টের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। গার্গীর এক বোনও আছেন। বেশ রঙিনই ছিল জীবনটা। কিন্তু ভাগ্যের বিপর্যয় শুরু হল কমলবাবুর অবসরের পর। দুর্গাপুর থেকে চলে এলেন বারাসতে। গার্গী রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীতে এমএ করলেন। নিয়েছেন মন্তেসরি ট্রেনিংও। পরে রবীন্দ্র 'সংগীতে প্রকৃতি ও মানব মন' নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন। উচ্চশিক্ষা হল। কিন্তু কাজ মিলল কোথায়? অনেক চেষ্টা-চরিত্র করে বেসরকারি একটি প্রাথমিক স্কুলে কাজ পেয়েছিলেন। সেটা পরে চলে যায়। বাবা কমলবাবু দুই মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য পিএফের টাকার একটা বড় অংশ খরচ করে ফেলেন। অবশিষ্ট টাকা দিয়ে বারাসত শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লি এলাকায় একটি এক কামরার ফ্ল্যাট কেনেন। গার্গী ও ছোট মেয়ে কস্তুরীর বিয়েও দেন। বেশ ছিলেন সকলে। ২০১৪ সালের পর থেকে কপর্দকশূন্য হয়ে পড়েন কমলবাবু। বিয়ে ভেঙে যায় গার্গীর। বাবা-মায়ের কাছে ফিরে আসেন। সেই থেকে কোনওদিন অনাহারে কোনওদিন অর্ধাহারে তাঁরা দিন কাটাতে থাকেন। গার্গী একটা কাজের জন্য পুরসভা থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সবার দুয়ারে ঘিরেছেন। বারবার ফিরে এসেছেন শূন্য হাতে। অভাগা যেদিকে চায়....।

বাবা কমলবাবু হৃদরোগী। বুকে পেসমেকার। মা গীতাদেবী কিডনির অসুখে আক্রান্ত। ঘরে খাবার নেই। বাবা-মায়ের ওষুধ কেনার টাকা নেই। কী হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ শংসাপত্র? কী হবে পিএইচডি ডিগ্রি? অবশেষে কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন গার্গী। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে চিঠি লিখলেন, হয় আমাকে একটা কাজ দিন। না হলে মঞ্জুর করুন আমাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন।

স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল সরকার জানান, 'একদিন দেখলাম, কমলবাবু একটি ছেলের কাছে দশ টাকা চাইলেন। তারপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, তাঁরা টানা ১৯ দিন অনাহারে রয়েছেন। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। 'দিদিকে বলো'র ফোন নম্বরে তিনবার চেষ্টা করেছিলাম। সংযোগ পাইনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করছি, পরিবারটাকে বাঁচানোর জন্য কিছু করলে ভীষণ খুশি হব।'

বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামলবাবু গার্গীর অনুমতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অসহায় স্কলার গার্গীর ইতিকথা। সেই পোস্ট দেখে ইটিভি ভারতের পক্ষ থেকে যাওয়া হয় বারাসত সত্যভারতী স্কুলের পাশে প্রতিমা অ্যাপার্টমেন্টে। গার্গীর এক কামরার ফ্ল্যাটে। মুখে একগাল দাড়ি। কমলবাবু বসে আছেন একটা খাটের উপর। যেন জীবন থেকে চিরছুটি চান তিনি। অস্ফুটে বললেন তাঁর অসহায় দিনলিপি।
সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাঁচার শেষ আকুতি ঝরে পড়ল অশীতিপর কণ্ঠে। অভুক্ত পেটে গার্গী বললেন, 'পিএইচডি করেছি। যে কোনও একটা কাজ কি আমি পেতে পারি না?'

জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী গার্গীর স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনপত্র বারাসতের পুরপ্রধান সুনীল মুখোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন। সুনীলবাবু জানিয়েছেন, শনিবারই ওই পরিবারকে ডেকে পাঠানো হবে। কমলবাবু ও গীতাদেবীকে বার্ধক্যভাতার ব্যবস্থা করা হবে।

আগে অনেক ঘুরেছেন। অনেকবার। ক্লান্ত অসহায় গার্গীর চোখে যেন কবি জয় গোস্বামী কবিতার ছত্র---বেণীমাধব, তবু আগুন জ্বলে কই। কেমন হত আমিও যদি....।
Last Updated : Aug 18, 2019, 2:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.