দেগঙ্গা, 5 জুন : দরিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প চালু হয়েছিল ৷ এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে দুর্নীতির অভিযোগ ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায় নাম রয়েছে উপভোক্তাদের ৷ অথচ,ঘরের জন্য বরাদ্দ টাকা আটকে রাখা হয়েছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে । কারোও থেকে আবার কাটমানি নিয়ে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে । এমন অভিযোগ উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার ফকিরপাড়া ও বিশ্বাসপাড়ার 22 জন উপভোক্তার । অভিযোগের তির তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত উপপ্রধান গফ্ফ আলী মোল্লা ও এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে ৷ তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত উপপ্রধান (Pradhan Mantri Awas yojana) ৷
এদিকে সরকারি ঘর না মেলায় এখন কোনও রকমে ভাঙা ঘরেই দিন কাটাচ্ছেন উপভোক্তাদের অধিকাংশ । এই প্রসঙ্গেই মোশারফ মোল্লা নামে এক উপভোক্তা বলেন,"ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রথমে আমার থেকে পাঁচ হাজার টাকা চাওয়া হয় । কিন্তু এত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা আমার ছিলনা । পরে স্ত্রীর কানের দুল বন্ধক রেখে এক হাজার টাকা তুলে দিয়েছি পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে । কিন্তু তারপরও ঘরের টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি ।’’
বিষয়টি যে যুক্তিসঙ্গত তা কার্যত মেনে নিয়েছেন কলসুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান অজয় বৈদ্য। তিনি বলেন,"কিছু লোকের জন্য পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নাম ছড়াচ্ছে । আর তাতে মদত জোগাচ্ছে বিরোধীরা । শীঘ্রই বিডিও-র সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে ।" এদিকে,যার বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ উঠেছে সেই কলসুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান গফফর আলী মোল্লা বলেন, "কাটমানির বিরুদ্ধে আমিই প্রথম থেকে লড়াই করছি । তাই,আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ বদনাম করা ছাড়া আর কিছুই নয় । কিছু কতিপয় লোক কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে আমাকে। এসব করে কোনও লাভ হবে না ৷"
আরও পড়ুন : ভাড়াবাড়িতে থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রচারের মুখ , বিড়ম্বনায় লক্ষ্মী
উপভোক্তাদের টাকা আটকে থাকার কারণ হিসাবে মূলত কাগজপত্রে ভুলত্রুটিকেই দায়ী করেছেন দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিক । তাঁর কথায়, "দ্রুত ভুল সংশোধন করার চেষ্টা চলছে । আশা করছি শীঘ্রই এই সমস্যা মিটে যাবে । যদিও উপভোক্তাদের তরফে কোনও অভিযোগ এখনও জমা পড়েনি । অভিযোগ এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।"