বারাসত, 10 জুন : লকডাউনে স্কুল বন্ধ । কিন্তু তাও কম্পিউটার সহ নানা খাতে পড়ুয়াদের থেকে ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠল বারাসতের এক বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে । এর জেরেই স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা । পরে স্কুলের সামনে যশোর রোড অবরোধ করেন তাঁরা । পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।
লকডাউনের মাঝে পড়ুয়াদের থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক বেসরকারি স্কুলে বিক্ষোভ দেখা গেছে । ফি কমানোর দাবিতে কোথাও স্কুলের সামনে বিক্ষোভ আবার কোথাও রাস্তা অবরোধ করে করে নিজেদের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এবার বারাসতের এক বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। যশোর রোড সংলগ্ন এই স্কুলটি দিল্লি বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত। লকডাউনে স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ ছিল। তবে, অনলাইনে ক্লাস চলছিল । অভিযোগ, লকডাউনের মধ্যেও স্কুলের কম্পিউটার ব্যবহার সহ নানা খাতে পড়ুয়াদের থেকে ফি নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর তা নিয়েই আজ সরব হন অভিভাবকরা। স্কুল বন্ধ থাকার পরও কেন পড়ুয়াদের থেকে ফি নেওয়া হবে, এই অভিযোগ তুলে আজ দুপুরে স্কুলের সামনে জড়ো হন তাঁরা।এনিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে অভিভাবকদের একাংশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ। তখনই এক অভিভাবক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বিক্ষোভ চরম আকার নেয় । ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা যশোর রোড অবরোধ করে । এর জেরে খানিকক্ষণ যশোর রোডে যান চলাচল বন্ধ থাকে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছায় পুলিশ । প্রথমে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় । কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি । শেষমেশ একপ্রকার জোর করেই হটিয়ে দেওয়া হয় অবরোধকারীদের।

এবিষয়ে শম্পা মিত্র নামে এক অভিভাবক বলেন, "আমার ছেলে ওই স্কুলে ক্লাস থ্রিতে পড়ে। লকডাউনের মধ্যে স্কুল বন্ধ থাকলেও কম্পিউটার, ডিজ়িটাল ক্লাস,পরিবহন সহ নানা খাতে মাসে প্রায় চার হাজার টাকা করে ধার্য করা হয়েছে । এসবের তো কিছুই ও ব্যবহার করেনি। আমরা কেন এত টাকা দিতে যাব ? এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু শুনতে চাইছে না । উলটে খারাপ আচরণ করা হয়েছে আমাদের সঙ্গে । সেজন্যই আজ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছি আমরা ।"
যদিও বিষয়টি নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গেছে, অভিভাবকদের কাছ থেকে এবিষয়ে লিখিত আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।