দেগঙ্গা, 21 নভেম্বর: প্রকাশ্যে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইকে (TMC panchayat pradhan brother) ছুরি মেরে খুনের অভিযোগ উঠল । মৃতের নাম মিজান রেজা চৌধুরী । ঘটনার পর থেকেই পলাতক মূল অভিযুক্ত শুকুর আলি-সহ অন্য অভিযুক্তরা । ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার গোসাইপুরে ।
জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের ছুরির আঘাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গত তিনদিন ধরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর ভাই মিজান । সেখানেই সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর । ইতিমধ্যে পুলিশ খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি । স্বভাবতই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । যদিও পুলিশ জানিয়েছে, পলাতক অভিযুক্তদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চলছে । পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে এই ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
18 নভেম্বর রাতে দেগঙ্গার গোসাইপুরে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন বছর 45'র মিজান । দাদা হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর মতো তিনিও শাসকদলের সঙ্গে জড়িত । অভিযোগ, সেদিন বাড়ি ফেরার পথে গোসাইপুর বাজারের কাছে আচমকাই মিজানের রাস্তা আটকে দাঁড়ায় কয়েকজন । ঘটনার প্রতিবাদ করেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই । এই নিয়ে বচসাও বাঁধে দু'পক্ষের মধ্যে । অভিযোগ, বচসা চলাকালীন হঠাৎই শুকুর আলি নামে এক হামলাকারী মিজানের পেটে ছুরি চালিয়ে দেয় (Allegations of murder) । রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন রাস্তাতেই । সেই দৃশ্য দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা (Deganga Murder Case) ।
এদিকে, খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা গুরুতর জখম অবস্থায় মিজানকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যায় হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে । পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । কিন্তু পেটের ক্ষতস্থানে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় রবিবার ওই হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইকে । রাতেই সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসকেরা (Murder in Deganga) ।
আরও পড়ুন: 'নেত্রীর নামে কু-মন্তব্য করলে জিভ কেটে নেব', হুমকি শাসকদলের নেতার
যদিও, তা বিফলে যায় । চিকিৎসকদের শত চেষ্টা সত্বেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি মিজানকে । এই খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ।