ETV Bharat / state

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ট্যাক্স নেওয়ার অভিযোগ, অস্বীকার করে প্রচার পঞ্চায়েতের

author img

By

Published : Aug 11, 2021, 7:48 PM IST

'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের ফর্ম নিতে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে ৷ অভিযোগ এলাকার মহিলাদের ৷ যদিও অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই এবং সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে কোনও রকম টাকা লাগে না বলে মহিলাদের বোঝালেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ৷

দেগঙ্গা
দেগঙ্গা

দেগঙ্গা, 11 অগস্ট : শুরু হওয়ার আগেই দেগঙ্গায় 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক । এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে নাকি প্রয়োজন স্থায়ী বাসিন্দা ও আয়ের সার্টিফিকেট ৷ আর তা আনতে হবে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ৷ এদিকে পঞ্চায়েত থেকে সার্টিফিকেট নিতে গেলে লাগছে ট্যাক্স ৷ এমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷ এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷

মঙ্গলবার সকালে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের ফর্ম নিতে দেগঙ্গার নুরনগর এবং দেগঙ্গা 1নম্বর পঞ্চায়েতে ভিড় করেন গ্রামের মহিলারা ৷ তখনই এমন নির্দেশ জারির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত দেগঙ্গার দুটি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে । মঙ্গলবার এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলা গ্রাহকরা । বিতর্কের জেরে অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পঞ্চায়েত । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের তরফে প্রচার করে মহিলা গ্রাহকদের জানানো হয় যে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোনওরকম স্থায়ী বাসিন্দা ও আয়ের সার্টিফিকেট লাগবে না ৷ এমনকি এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে কোনও ট্যাক্সও দিতে হবে না ।

বিতর্ক শুরু হতেই দুই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসে স্থানীয় প্রশাসন । পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় এই ধরনের নির্দেশ কোনওভাবে দেওয়া যাবে না । এরপরই বিভ্রান্তি কাটাতে প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে সজাগ করা হয় গ্রামের বাসিন্দাদের ।

আরও পড়ুন : Electoral Bonds : ইলেক্টরাল বন্ডের বাজারেও গেরুয়া ঝড়, বিজেপির ঘরে 75 শতাংশ টাকা

এই বিষয়ে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি মহিদুল হক সাহাজি বলেন, "বিজেপির কিছু লোক গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে । কিন্তু সেই চেষ্টা তাদের সফল হবে না । পঞ্চায়েতের তরফে ট্যাক্স নেওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয় । যে কোনও কাজেই ট্যাক্সের রশিদ লাগে । সেই নিয়েই গ্রামবাসীদের একাংশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল । আমরা মাইকিং করে সে বিষয়ে সজাগ করেছি তাদের । এই ধরণের গুজব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না । তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এই ধরনের কোনও সত্যতা সামনে এলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"

সরকারি প্রকল্পে কোনওরকম ট্যাক্স লাগে না বলে গ্রামবাসীদের বোঝালেন তৃণমূল সভাপতি

যদিও তৃণমূল নিজেদের অপকীর্তি ঢাকতে বিজেপির বিরুদ্ধে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সদস্য তরুণ কান্তি ঘোষ । তিনি বলেন, "এই ঘটনা নতুন কিছু নয় । তৃণমূল পরিচালিত দেগঙ্গার যে কোনও পঞ্চায়েতে সুবিধা নিতে গেলে গ্রামবাসীদের ট্যাক্স দিতে হয় । এত ট্যাক্স নেওয়া হয়েছে যে এখন বাধ্য হয়ে প্রচার করতে হচ্ছে আর কোনও ট্যাক্স নেওয়া হবে না । বিজেপি সবসময় চাই সরকারি পরিষেবা মানুষের কাছে স্বচ্ছভাবে পৌঁছে দেওয়া হোক । কিন্তু সেখানেও ট্যাক্স নেওয়ার প্রবণতা চলছে ।"

আরও পড়ুন : Police Medal : অসামান্য কর্মদক্ষতা, মুখ্যমন্ত্রীর থেকে পুরস্কার পাচ্ছেন কলকাতার নগরপাল

দেগঙ্গা, 11 অগস্ট : শুরু হওয়ার আগেই দেগঙ্গায় 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক । এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে নাকি প্রয়োজন স্থায়ী বাসিন্দা ও আয়ের সার্টিফিকেট ৷ আর তা আনতে হবে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ৷ এদিকে পঞ্চায়েত থেকে সার্টিফিকেট নিতে গেলে লাগছে ট্যাক্স ৷ এমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷ এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷

মঙ্গলবার সকালে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের ফর্ম নিতে দেগঙ্গার নুরনগর এবং দেগঙ্গা 1নম্বর পঞ্চায়েতে ভিড় করেন গ্রামের মহিলারা ৷ তখনই এমন নির্দেশ জারির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত দেগঙ্গার দুটি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে । মঙ্গলবার এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলা গ্রাহকরা । বিতর্কের জেরে অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পিছু হঠতে বাধ্য হয় পঞ্চায়েত । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের তরফে প্রচার করে মহিলা গ্রাহকদের জানানো হয় যে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোনওরকম স্থায়ী বাসিন্দা ও আয়ের সার্টিফিকেট লাগবে না ৷ এমনকি এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে কোনও ট্যাক্সও দিতে হবে না ।

বিতর্ক শুরু হতেই দুই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসে স্থানীয় প্রশাসন । পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় এই ধরনের নির্দেশ কোনওভাবে দেওয়া যাবে না । এরপরই বিভ্রান্তি কাটাতে প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে সজাগ করা হয় গ্রামের বাসিন্দাদের ।

আরও পড়ুন : Electoral Bonds : ইলেক্টরাল বন্ডের বাজারেও গেরুয়া ঝড়, বিজেপির ঘরে 75 শতাংশ টাকা

এই বিষয়ে দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি মহিদুল হক সাহাজি বলেন, "বিজেপির কিছু লোক গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে । কিন্তু সেই চেষ্টা তাদের সফল হবে না । পঞ্চায়েতের তরফে ট্যাক্স নেওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয় । যে কোনও কাজেই ট্যাক্সের রশিদ লাগে । সেই নিয়েই গ্রামবাসীদের একাংশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল । আমরা মাইকিং করে সে বিষয়ে সজাগ করেছি তাদের । এই ধরণের গুজব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না । তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এই ধরনের কোনও সত্যতা সামনে এলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"

সরকারি প্রকল্পে কোনওরকম ট্যাক্স লাগে না বলে গ্রামবাসীদের বোঝালেন তৃণমূল সভাপতি

যদিও তৃণমূল নিজেদের অপকীর্তি ঢাকতে বিজেপির বিরুদ্ধে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন দলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সদস্য তরুণ কান্তি ঘোষ । তিনি বলেন, "এই ঘটনা নতুন কিছু নয় । তৃণমূল পরিচালিত দেগঙ্গার যে কোনও পঞ্চায়েতে সুবিধা নিতে গেলে গ্রামবাসীদের ট্যাক্স দিতে হয় । এত ট্যাক্স নেওয়া হয়েছে যে এখন বাধ্য হয়ে প্রচার করতে হচ্ছে আর কোনও ট্যাক্স নেওয়া হবে না । বিজেপি সবসময় চাই সরকারি পরিষেবা মানুষের কাছে স্বচ্ছভাবে পৌঁছে দেওয়া হোক । কিন্তু সেখানেও ট্যাক্স নেওয়ার প্রবণতা চলছে ।"

আরও পড়ুন : Police Medal : অসামান্য কর্মদক্ষতা, মুখ্যমন্ত্রীর থেকে পুরস্কার পাচ্ছেন কলকাতার নগরপাল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.