বারাসত, 1 মার্চ: হাসপাতালে বিরুদ্ধে শিশুবদলের অভিযোগ তুলেছে সরিফুল-সফিরা । প্রশাসনের দোরগোড়ায় ঘুরেও মেলেনি সন্তান । অবশেষে বাধ্য হয়ে বারাসত আদালতে মামলা দায়ের করল সরিফুল ইসলাম ও সফিরা বিবি । অভিযোগ, শিশু বদল করেছে বারাসত জেলা হাসপাতাল । অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে ।
আমডাঙা নিবাসী সফুরা বিবির অভিযোগ, এক বছর আগে বারাসত জেলা হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন । অথচ তাঁকে হাসপাতাল থেকে কন্যাসন্তান দেওয়া হয় । তিনি আরও জানান, প্রসবের পর তাঁকে হাসপাতালের নার্সেরা পুত্রসন্তান জন্ম দেওয়ার কথা জানিয়েছিল । তবে তাঁকে কন্যাসন্তান দেওয়া হয় ।
ঘটনার পর তিনি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের বিষয়টি জানান । কিন্তু তারা কোনও ভ্রুক্ষেপ করেনি । প্রতিবাদ করায় ঘটনাস্থানে থাকা চিকিৎসকরা আইনের দ্বারস্থ হতে বলেন । এমন কী সুপারের নির্দেশে মহিলাকে হাসপাতাল থেকে বের করেও দেওয়া হয় ।
সফিরার শওহর সরিফুল ইসলাম বলেন, "আমার সন্তান বদল করা হয়েছে । হাসপাতাল সুপার, চিকিৎসক ও নার্স সবাই মিলে চক্রান্ত করে সন্তান বদল করেছে । আমি চাই তাঁদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন । যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে ।" তিনি আরও বলেন,"DNA টেস্ট হলেই সত্য সামনে আসবে । তারজন্য বাড়িঘর বিক্রি করতে হলেও আমি রাজি । আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত, আমার সন্তান বদল করা হয়েছে ।"
শিশু বদলের প্রসঙ্গে বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । এক বছর আগে ওই মহিলা হাসপাতালে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন । তিনি হাসপাতালের কাগজে সে কথা স্বীকার করে সইও করেছেন । সেই কাগজে চিকিৎসক ও নার্সের সইও রয়েছে । ওই মহিলার আগে 2 টি কন্যাসন্তান রয়েছে । পারিবারিক চাপে এমন অভিযোগ এনেছেন । তদন্ত হোক । সত্য সামনে আসুক ।"