ETV Bharat / state

অপহরণকারীর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে না মানলে লক-আপে ঢোকানো হবে, হুমকি OC-র - Kadambagachi

অভিযোগ, অপহরণকারীর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে মেনে নেওয়ার জন্য বলেন কদম্বগাছি ফাঁড়ির OC ৷ না মানলে লক-আপে ঢুকিয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি ৷ মেয়েকে ফিরে পেতে ও OC-র শাস্তির দাবিতে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানান অপহৃতের বাবা ৷

allegation
কদম্বগাছি ফাঁড়ি
author img

By

Published : Feb 15, 2020, 10:24 AM IST

কদম্বগাছি, 15 ফেব্রুয়ারি : অপহরণকারীকে বিয়ে করেছে মেয়ে ৷ তা না মানলে লক-আপে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে ৷ এমনই হুমকির অভিযোগ উঠল কদম্বগাছি ফাঁড়ির OC-র বিরুদ্ধে ৷ ন্যায় বিচারের আশায় জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছে মেয়ের পরিবার ৷ শাস্তি চেয়ে লিখিত আবেদনও জানানো হয়েছে ৷ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন OC মনোজ দাস ৷

11 ফেব্রুয়ারি রাত তিনটে ৷ যখন গোটা পাড়া ঘুমিয়ে পড়েছে মৌসুমিকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তিন জন যুবক ৷ ঘটনায় কী করবে বুঝতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয় কদম্বগাছির হেমন্ত বসু নগরের বাসিন্দা মৌসুমি সাহার বাড়ির লোকজন ৷ সেই মতো কদম্বগাছি ফাঁড়িতে যাওয়া ৷ পুলিশকে তাঁরা জানান, মাঝরাতে ডাকাডাকি করে জোর করে মৌসুমিকে তুলে নিয়ে যায় এলাকারই তিন যুবক শুভাশিস সরকার, অর্ণব মণ্ডল ও হেমন্ত বিশ্বাস ৷ OC মনোজ দাস মৌসুমিকে দু'দিনের মধ্যে খুঁজে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ৷

13 ফেব্রুয়ারি রাতে মৌসুমির বাবা শ্যামল সাহাকে ডেকে পাঠান মনোজ দাস ৷ ফাঁড়ি পৌঁছে দেখেন, মেয়ের সঙ্গে ওই তিন যুবকও বসে আছে ৷ অভিযোগ, তাদের সামনেই মনোজ দাস তাঁকে শুভাশিসের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন ৷ তাতে রাজি না হওয়ায় লক-আপে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ৷ শ্যামল সাহা বলেন, "মেয়ের সম্মতিতেই বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল ৷ শুভাশিস ও তার বন্ধু মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় ৷ পুলিশের কাছে অভিযোগ করি ৷ কিন্তু, পুলিশ সহযোগিতার বদলে অপহরণকারীদের পক্ষে কথা বলে ৷ পুলিশ বলে, আপনার মেয়ে শুভাশিসকে বিয়ে করেছে ৷ মেনে নিতে হবে ৷ কিন্তু, তারা কোনও বিয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি ৷"

কী অভিযোগ জানাচ্ছেন শ্যামল সাহা

শ্যামল সাহা অভিযোগ করেন, "মেয়ের বিয়ে না মানলে মনোজ দাস থানার লক-আপে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ৷ পুলিশের চাপেই মৌসুমি শুভাশিসের সঙ্গে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে ৷ পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছি মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে ৷" জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শ্যামলবাবু ৷ জেলা পুলিশ সুপার অতুল বিশ্বনাথন অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ অন্যদিকে, মনোজ দাস সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তিনি জানান, "মেয়েটি লিখিতভাবে জানিয়েছে, সে শুভাশিসের সঙ্গে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে ৷ এখানে জোরাজুরির কোনও ব্যাপার নেই ৷ তাই যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন ৷"

কদম্বগাছি, 15 ফেব্রুয়ারি : অপহরণকারীকে বিয়ে করেছে মেয়ে ৷ তা না মানলে লক-আপে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে ৷ এমনই হুমকির অভিযোগ উঠল কদম্বগাছি ফাঁড়ির OC-র বিরুদ্ধে ৷ ন্যায় বিচারের আশায় জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছে মেয়ের পরিবার ৷ শাস্তি চেয়ে লিখিত আবেদনও জানানো হয়েছে ৷ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন OC মনোজ দাস ৷

11 ফেব্রুয়ারি রাত তিনটে ৷ যখন গোটা পাড়া ঘুমিয়ে পড়েছে মৌসুমিকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তিন জন যুবক ৷ ঘটনায় কী করবে বুঝতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হয় কদম্বগাছির হেমন্ত বসু নগরের বাসিন্দা মৌসুমি সাহার বাড়ির লোকজন ৷ সেই মতো কদম্বগাছি ফাঁড়িতে যাওয়া ৷ পুলিশকে তাঁরা জানান, মাঝরাতে ডাকাডাকি করে জোর করে মৌসুমিকে তুলে নিয়ে যায় এলাকারই তিন যুবক শুভাশিস সরকার, অর্ণব মণ্ডল ও হেমন্ত বিশ্বাস ৷ OC মনোজ দাস মৌসুমিকে দু'দিনের মধ্যে খুঁজে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ৷

13 ফেব্রুয়ারি রাতে মৌসুমির বাবা শ্যামল সাহাকে ডেকে পাঠান মনোজ দাস ৷ ফাঁড়ি পৌঁছে দেখেন, মেয়ের সঙ্গে ওই তিন যুবকও বসে আছে ৷ অভিযোগ, তাদের সামনেই মনোজ দাস তাঁকে শুভাশিসের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন ৷ তাতে রাজি না হওয়ায় লক-আপে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ৷ শ্যামল সাহা বলেন, "মেয়ের সম্মতিতেই বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল ৷ শুভাশিস ও তার বন্ধু মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় ৷ পুলিশের কাছে অভিযোগ করি ৷ কিন্তু, পুলিশ সহযোগিতার বদলে অপহরণকারীদের পক্ষে কথা বলে ৷ পুলিশ বলে, আপনার মেয়ে শুভাশিসকে বিয়ে করেছে ৷ মেনে নিতে হবে ৷ কিন্তু, তারা কোনও বিয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি ৷"

কী অভিযোগ জানাচ্ছেন শ্যামল সাহা

শ্যামল সাহা অভিযোগ করেন, "মেয়ের বিয়ে না মানলে মনোজ দাস থানার লক-আপে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় ৷ পুলিশের চাপেই মৌসুমি শুভাশিসের সঙ্গে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে ৷ পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছি মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে ৷" জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শ্যামলবাবু ৷ জেলা পুলিশ সুপার অতুল বিশ্বনাথন অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ অন্যদিকে, মনোজ দাস সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তিনি জানান, "মেয়েটি লিখিতভাবে জানিয়েছে, সে শুভাশিসের সঙ্গে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে ৷ এখানে জোরাজুরির কোনও ব্যাপার নেই ৷ তাই যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.