ETV Bharat / state

উত্তর 24 পরগনায় সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ সংযুক্ত মোর্চা

ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় বারবার উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর 24 পরগনা । এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে সন্ত্রাস বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে শুক্রবার পুলিশ সুপারের কাছে দরবার করেছেন সংযুক্ত মোর্চার নেতারা ।

all party meeting demand by cpim leader tanmoy bhattacharya to stop violence
উত্তর 24 পরগণায় সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ সংযুক্ত মোর্চা
author img

By

Published : May 7, 2021, 10:40 PM IST

বারাসত, 7 মে : সন্ত্রাস বন্ধে প্রশাসনের কাছে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানালেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য । সেই সঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন তিনি । ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরানো,সন্ত্রাস বন্ধ করা আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠাসহ একাধিক দাবিতে শুক্রবার বিকেলে সংযুক্ত মোর্চার এক প্রতিনিধিদল দেখা করে বারাসত জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে । ঘরছাড়া কর্মীদের একটি তালিকাও তুলে দেওয়া হয় পুলিশ সুপারের কাছে । প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা পলাশ দাস, কংগ্রেস নেতা সজল দে, আইএসএফ নেতা কুতুবউদ্দিন ফতেহিসহ সংযুক্ত মোর্চার অন্যান্য নেতারা ।

ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় বারবার উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর 24 পরগনা । অশান্তি থামার যেন কোনও লক্ষ্মণই নেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে । কোথাও শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ । আবার কোথাও বিরোধীদের বিরুদ্ধে উঠেছে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ । লাগাতার সন্ত্রাসে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি তেমনই সন্ত্রাসের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন অনেকেই । সংযুক্ত মোর্চার অভিযোগ, ইতিমধ্যে তৃণমূলের সন্ত্রাসে বারাসত মহকুমায় তাদের অন্তত 300 কর্মী ও সমর্থক ঘরছাড়া হয়েছেন । ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি । আতঙ্কে তাঁরা ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন । এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে সন্ত্রাস বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে এদিন পুলিশ সুপারের কাছে দরবার করেছেন সংযুক্ত মোর্চার নেতারা ।

উত্তর 24 পরগণায় সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ সংযুক্ত মোর্চা

এই বিষয়ে সংযুক্ত মোর্চার তরফে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, "সন্ত্রাস বন্ধ করার উদ্যোগ প্রশাসনকেই নিতে হবে । এর দায় প্রশাসনের । আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি । সন্ত্রাস বন্ধে প্রয়োজনে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুক জেলা প্রশাসন । অবিলম্বে সন্ত্রাস বন্ধ হওয়া দরকার । সংযুক্ত মোর্চার নেতাদের কথা পুলিশ সুপার গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন । ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন । আমরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি ।"

জেলার সিপিএম নেতা পলাশ দাস বলেন,"ভোটের আগে থেকেই শাসকদলের সন্ত্রাস চলছিল । ফলাফল প্রকাশের পর সেই সন্ত্রাস বেড়ে গিয়েছে । তৃণমূল বিধানসভা ভোটে অভাবনীয় ফলাফল করেছে ঠিকই । তার মানে এই নয় সংযুক্ত মোর্চার কর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালাতে হবে । লুঠতরাজ চলবে । ঘরছাড়া করতে হবে কর্মীদের । সন্ত্রাসের ফলে বহু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । আমরা তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছি ।"

সংযুক্ত মোর্চার আইএসএফের নেতা কুতুব উদ্দিন ফতেহি বলেন, "দেগঙ্গা, হাড়োয়াসহ জেলার বেশকিছু এলাকায় আইএসএফ কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন । আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড এমনকি খাদ্যসাথীর কার্ডও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে । যার ফলে রমজান মাসে অনেকে ইফতার করতে পারছেন না ঠিকমতো । পুলিশ সুপারকে আমরা সেসব কথা জানিয়েছি । তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ।"

আরও পড়ুন : ভাটপাড়ায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি-ভাঙচুর

বিষয়টি নিয়ে বারাসত জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ।

বারাসত, 7 মে : সন্ত্রাস বন্ধে প্রশাসনের কাছে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানালেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য । সেই সঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন তিনি । ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরানো,সন্ত্রাস বন্ধ করা আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠাসহ একাধিক দাবিতে শুক্রবার বিকেলে সংযুক্ত মোর্চার এক প্রতিনিধিদল দেখা করে বারাসত জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে । ঘরছাড়া কর্মীদের একটি তালিকাও তুলে দেওয়া হয় পুলিশ সুপারের কাছে । প্রতিনিধিদলে ছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা পলাশ দাস, কংগ্রেস নেতা সজল দে, আইএসএফ নেতা কুতুবউদ্দিন ফতেহিসহ সংযুক্ত মোর্চার অন্যান্য নেতারা ।

ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় বারবার উত্তপ্ত হয়েছে উত্তর 24 পরগনা । অশান্তি থামার যেন কোনও লক্ষ্মণই নেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে । কোথাও শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ । আবার কোথাও বিরোধীদের বিরুদ্ধে উঠেছে হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগ । লাগাতার সন্ত্রাসে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি তেমনই সন্ত্রাসের জেরে ঘরছাড়া হয়েছেন অনেকেই । সংযুক্ত মোর্চার অভিযোগ, ইতিমধ্যে তৃণমূলের সন্ত্রাসে বারাসত মহকুমায় তাদের অন্তত 300 কর্মী ও সমর্থক ঘরছাড়া হয়েছেন । ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি । আতঙ্কে তাঁরা ঘরে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন । এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে সন্ত্রাস বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে এদিন পুলিশ সুপারের কাছে দরবার করেছেন সংযুক্ত মোর্চার নেতারা ।

উত্তর 24 পরগণায় সন্ত্রাস বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ সংযুক্ত মোর্চা

এই বিষয়ে সংযুক্ত মোর্চার তরফে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, "সন্ত্রাস বন্ধ করার উদ্যোগ প্রশাসনকেই নিতে হবে । এর দায় প্রশাসনের । আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রাজি । সন্ত্রাস বন্ধে প্রয়োজনে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুক জেলা প্রশাসন । অবিলম্বে সন্ত্রাস বন্ধ হওয়া দরকার । সংযুক্ত মোর্চার নেতাদের কথা পুলিশ সুপার গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন । ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন । আমরা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি ।"

জেলার সিপিএম নেতা পলাশ দাস বলেন,"ভোটের আগে থেকেই শাসকদলের সন্ত্রাস চলছিল । ফলাফল প্রকাশের পর সেই সন্ত্রাস বেড়ে গিয়েছে । তৃণমূল বিধানসভা ভোটে অভাবনীয় ফলাফল করেছে ঠিকই । তার মানে এই নয় সংযুক্ত মোর্চার কর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালাতে হবে । লুঠতরাজ চলবে । ঘরছাড়া করতে হবে কর্মীদের । সন্ত্রাসের ফলে বহু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । আমরা তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছি ।"

সংযুক্ত মোর্চার আইএসএফের নেতা কুতুব উদ্দিন ফতেহি বলেন, "দেগঙ্গা, হাড়োয়াসহ জেলার বেশকিছু এলাকায় আইএসএফ কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন । আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড এমনকি খাদ্যসাথীর কার্ডও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে । যার ফলে রমজান মাসে অনেকে ইফতার করতে পারছেন না ঠিকমতো । পুলিশ সুপারকে আমরা সেসব কথা জানিয়েছি । তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ।"

আরও পড়ুন : ভাটপাড়ায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি-ভাঙচুর

বিষয়টি নিয়ে বারাসত জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.