আমডাঙা, 12 জুন :ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে জবকার্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে গ্রামের সুপারভাইজারের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি আমডাঙার সাধনপুর পঞ্চায়েতের রামপুর আলোকমালার 74নম্বর বুথ এলাকার।পরে,পুলিশ এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।তবে,যার বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ সেই সুপারভাইজার মিনহাজ উদ্দিন অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,লকডাউনের প্রায় তিন মাস ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকার পরও ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে জবকার্ড হোল্ডারদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই পঞ্চায়েতের 74 নম্বর বুথের 10 নম্বর সংসদের সুপারভাইজার মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।কাজ না করেও প্রায় 83 জন জব কার্ড হোল্ডারের 100 দিনের কাজ দেখিয়ে তিনি লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ । গতকাল দুর্নীতির বিষয়টি জানার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রামপুর আলোকমালার কয়েকশো গ্রামবাসী । ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রাতেই একজোট হয়ে সুপার ভাইজারের বাড়ির সামনে জড়ো হয়।এরপর,টাকা ফেরানোর দাবিতে বাড়ি ফেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। তুমুল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা । গভীর রাত পর্যন্ত চলে সেই বিক্ষোভ । খবর পেয়ে আমডাঙা থানার পুলিশ এসেও বিক্ষোভকারীদের বাগে আনতে পারেনি। তারা পুলিশকে জানিয়ে দেয়,যতক্ষন না পর্যন্ত ওই দুর্নীতির তদন্ত করে সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মিলছে,ততক্ষন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে । এরপর,পুলিশের তরফে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিক্ষোভকারী সরিফুদ্দিন কয়াল বলেন,"জবকার্ড থাকলেও ঠিকমতো কাজ দেওয়া হয়না গ্রামবাসীদের । অথচ,তাদের নামে টাকা তুলে নেন সুপারভাইজার। লকডাউনের সময় প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল 100 দিনের কাজ। এর ফলে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।লকডাউন শিথিল হতেই সরকার ফের 100 দিনের কাজ শুরু করেছে । সুপারভাইজারের কাছে কাজের জন্য যাওয়া হলে তিনি কাজ দিতে পারবেন বলে জানান । অথচ,1500 স্কিমের একটি ভুয়ো প্রকল্পের মাস্টার রোল তৈরি করে তিনি 83 জনের জব কার্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছেন"।তাঁর আরও অভিযোগ,"এর আগেও 3 লাখ 68 হাজার টাকার ভুয়ো স্কিম তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সুপারভাইজার মিনহাজ উদ্দিন । এবারও সেই ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি । তিনি কার মদতে,কতদিন ধরে এই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।সেই সঙ্গে দুর্নীতির টাকাও ফেরত দিতে হবে তাকে।সুপারভাইজার পদ থেকে বরখাস্ত করে মিনহাজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে আগামী দিনেও আন্দোলনে নামব আমরা"।
বিক্ষোভকারীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মহসিন মন্ডল বলেন,"ওই সুপারভাইজারের দুর্নীতির বিষয়ে আগেও দলকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছেন সুপারভাইজার মিনহাজ উদ্দিন। এর ফলে গ্রামবাসীরা এবার ক্ষুদ্ধ হয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন"। এবিষয়ে আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকার রহমান বলেন,"সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই বিষয়টি জানতে পারলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে । যদি সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়,তাহলে স্থানীয় প্রশাসনকে বলব তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে"।
এদিকে,বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুরে স্থানীয় সাধনপুর পঞ্চায়েতে একটি বৈঠক করা হয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে । সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন । দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আপাতত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। অন্যদিকে,বিষয়টি নিয়ে সুপারভাইজার মিনহাজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,"চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে । তদন্ত করলেই সমস্ত কিছু সামনে আসবে"।
একশো দিনের কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভ - একশো দিনের কাজের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে জবকার্ড হোল্ডারদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এক সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে । এই অভিযোগে গ্রামবাসীরা রাতভোর তার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ সমর্থন করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24পরগণার আমডাঙার সাধনপুর পঞ্চায়েতের রামপুর আলোকমালার 74নম্বর বুথ এলাকায় ।
আমডাঙা, 12 জুন :ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে জবকার্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে গ্রামের সুপারভাইজারের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি আমডাঙার সাধনপুর পঞ্চায়েতের রামপুর আলোকমালার 74নম্বর বুথ এলাকার।পরে,পুলিশ এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।তবে,যার বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ সেই সুপারভাইজার মিনহাজ উদ্দিন অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,লকডাউনের প্রায় তিন মাস ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকার পরও ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে জবকার্ড হোল্ডারদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই পঞ্চায়েতের 74 নম্বর বুথের 10 নম্বর সংসদের সুপারভাইজার মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।কাজ না করেও প্রায় 83 জন জব কার্ড হোল্ডারের 100 দিনের কাজ দেখিয়ে তিনি লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ । গতকাল দুর্নীতির বিষয়টি জানার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রামপুর আলোকমালার কয়েকশো গ্রামবাসী । ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রাতেই একজোট হয়ে সুপার ভাইজারের বাড়ির সামনে জড়ো হয়।এরপর,টাকা ফেরানোর দাবিতে বাড়ি ফেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। তুমুল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা । গভীর রাত পর্যন্ত চলে সেই বিক্ষোভ । খবর পেয়ে আমডাঙা থানার পুলিশ এসেও বিক্ষোভকারীদের বাগে আনতে পারেনি। তারা পুলিশকে জানিয়ে দেয়,যতক্ষন না পর্যন্ত ওই দুর্নীতির তদন্ত করে সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মিলছে,ততক্ষন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে । এরপর,পুলিশের তরফে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিক্ষোভকারী সরিফুদ্দিন কয়াল বলেন,"জবকার্ড থাকলেও ঠিকমতো কাজ দেওয়া হয়না গ্রামবাসীদের । অথচ,তাদের নামে টাকা তুলে নেন সুপারভাইজার। লকডাউনের সময় প্রায় তিন মাস বন্ধ ছিল 100 দিনের কাজ। এর ফলে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।লকডাউন শিথিল হতেই সরকার ফের 100 দিনের কাজ শুরু করেছে । সুপারভাইজারের কাছে কাজের জন্য যাওয়া হলে তিনি কাজ দিতে পারবেন বলে জানান । অথচ,1500 স্কিমের একটি ভুয়ো প্রকল্পের মাস্টার রোল তৈরি করে তিনি 83 জনের জব কার্ডের টাকা আত্মসাৎ করেছেন"।তাঁর আরও অভিযোগ,"এর আগেও 3 লাখ 68 হাজার টাকার ভুয়ো স্কিম তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সুপারভাইজার মিনহাজ উদ্দিন । এবারও সেই ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি । তিনি কার মদতে,কতদিন ধরে এই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।সেই সঙ্গে দুর্নীতির টাকাও ফেরত দিতে হবে তাকে।সুপারভাইজার পদ থেকে বরখাস্ত করে মিনহাজের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে আগামী দিনেও আন্দোলনে নামব আমরা"।
বিক্ষোভকারীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মহসিন মন্ডল বলেন,"ওই সুপারভাইজারের দুর্নীতির বিষয়ে আগেও দলকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাচ্ছেন সুপারভাইজার মিনহাজ উদ্দিন। এর ফলে গ্রামবাসীরা এবার ক্ষুদ্ধ হয়ে তার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন"। এবিষয়ে আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকার রহমান বলেন,"সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই বিষয়টি জানতে পারলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে । যদি সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়,তাহলে স্থানীয় প্রশাসনকে বলব তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে"।
এদিকে,বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুরে স্থানীয় সাধনপুর পঞ্চায়েতে একটি বৈঠক করা হয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে । সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন । দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আপাতত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। অন্যদিকে,বিষয়টি নিয়ে সুপারভাইজার মিনহাজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,"চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে । তদন্ত করলেই সমস্ত কিছু সামনে আসবে"।