বারাসত, 30 অগস্ট: বুকে ব্যাজ পরে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগানে মুখর হন বারাসত জেলা আদালতের কর্মচারীরা (Agitation Breaks Out at Barasat)। এর জেরে সরগরম হয়ে ওঠে জেলা আদালত চত্বর। অবিলম্বে সরকারি কর্মচারীদের নায্য মহার্ঘভাতা মেটাতে রাজ্য প্রশাসন যদি উদ্যোগী না হয়, তাহলে আগামিদিনে বড়সড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা আদালতের কর্মচারীরা (Barasat District Court Employees)।
সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য সরকার টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ। এই ইস্যুতে স্যাট (SAT) এবং কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলাও করেছে রাজ্য সরকার। যদিও প্রতিটি মামলাতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে রাজ্যে সরকারকে। স্যাট ও কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। অভিযোগ, তারপরও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের নায্য মহার্ঘভাতা মেটাতে সরকার কোনও উদ্যোগ নেয়নি।
উলটে, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আবারও কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বারবার সরব হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনগুলি। এই আবহে এবার বকেয়া মহার্ঘভাতা দ্রুত মেটানোর দাবিতেই এদিন তাঁরা পথে নেমেছেন ৷
আরও পড়ুন: রাজনাথ, নাড্ডা ও রূপার নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
এই বিষয়ে রাজেশ কুণ্ডু নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, "বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহার্ঘভাতার ফারাক 35 শতাংশ। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুন, সরকারি দফতরের মূল চালিকাশক্তি রাজ্য সরকারের কর্মচারীরাই। তাই, আমরা আশা করব সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা মেটাতে উদ্যোগী হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আমরা প্রতীকি আন্দোলনে নামলাম। আগামী 7 সেপ্টেম্বর এই ইস্যুতে রানি রাসমণি অ্যাভেনিউতে জমায়েত রয়েছে আমাদের। সেখান থেকে আমরা মিছিল করার পর মুখ্য সচিবকে স্মারকলিপি দেব বলে ঠিক করেছি। তারপরও যদি সরকার এই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ না নেয়, তখন আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।"