বসিরহাট, 3 এপ্রিল : পাচারকারী সন্দেহে যুবককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল বিএসএফের বিরুদ্ধে । মৃতের নাম আলাউদ্দিন গাজি(30) । ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারত-বাংলাদেশের বসিরহাটের গোয়ালপাড়া সীমান্তে । ঘটনার প্রতিবাদ করে বিএসএফের জওয়ানদের হাতে আহত হন নিহতের এক সঙ্গীও । তাঁকে আটকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে জওয়ানদের বিরুদ্ধে ।পরে,পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য । সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্তও ।
জানা গিয়েছে, আলাউদ্দিন পেশায় ইটভাটার শ্রমিক । বাড়ি বসিরহাটের গোয়ালপাড়ার সীমান্তবর্তী গ্রামে । শনিবার সকালে ইছামতীর চড় দিয়ে তিনি ইটভাটায় যাচ্ছিলেন । সঙ্গে ছিলেন রবিউল মোল্লা নামে তাঁর এক সঙ্গীও । দু'জনকে একসঙ্গে দেখে পাচারকারী ভেবে সন্দেহ করেন বিএসএফের 58 নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা । প্রথমে তাঁদের সতর্ক করে দাঁড়াতে বলা হয় ৷ কিন্তু সেই সতর্কতা উড়িয়ে আলাউদ্দিন পালাতে যান বলে অভিযোগ । তখনই জওয়ানদের একজন তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে । গুলিতে এফোঁড়ওফোঁড় হয়ে যায় আলাউদ্দিনের শরীর । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর ।
এই ঘটনায় সঙ্গী রবিউল মোল্লা প্রতিবাদ করতে গেলে জওয়ানরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ । শুধু তাই নয় মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে জওয়ানদের বিরুদ্ধে । যদিও পরে মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
এদিকে বসিরহাট থানা মারফত ঘটনার কথা জানতে পারেন নিহতের পরিবারের লোকেরা । খবর পেয়ে এদিন বিকেলে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ছুটে আসেন তাঁরা । সেখানে দেহ দেখে বিএসএফের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ করেন নিহতের দাদা আবদুল্লাহ গাজি । তিনি বলেন,"ভাইয়ের বুকে ও হাতে বেশ কয়েকটি গুলি লেগেছে । কেন ভাইকে গুলি করা হল সেবিষয়ে নিশ্চুপ বিএসএফ কর্তৃপক্ষ । আমরা চাই এই মৃত্যুর যথাযথ তদন্ত করা হোক । যাতে দোষী জওয়ানদের উপযুক্ত শাস্তি হয় ৷"
আরও পড়ুন : মাওবাদীদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে নিহত পাঁচ জওয়ান
তবে এ বিষয়ে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷