ETV Bharat / state

পণের দাবিতে যুবতিকে কীটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ

পণের দাবিতে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে এক যুবতিকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে । অভিযুক্তরা পলাতক । পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি পুলিশের ।

demand dowry
কীটনাশক খাইয়ে যুবতিকে খুন
author img

By

Published : Nov 4, 2020, 2:08 AM IST

দেগঙ্গা, 3 নভেম্বর : পণের দাবিতে যুবতিকে জোর করে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম বিলকিস বিবি(21)। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার চাকলা পঞ্চায়েতের কুড়ুল গাছা গ্রামে।ঘটনার পর থেকেই পলাতক যুবতির শওহর ইসমাইল সাহাজী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। তাদের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার আব্বা সিদ্দিক মন্ডল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

জানা গেছে,হাবরার সোনাকেনিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মণ্ডলের মেয়ে বিলকিস বিবি।বছর তিনেক আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় দেগঙ্গার কুড়ুল গাছা গ্রামের ইসমাইল সাহাজী-র। ইসমাইল চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। দম্পত্তির এক বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের সময় শ্বশুর বাড়ির চাহিদা মতো সব জিনিসপত্র দিয়েছিলেন বিলকিসের পরিবার। তা সত্বেও বাপের বাড়ি থেকে অতিরিক্ত টাকা আনার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ।টাকা আনতে অস্বীকার করলেই বিলকিসের কপালে জুটত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। এমনই অভিযোগ মৃতার আব্বা সিদ্দিক মণ্ডলের। তিনি বলেন,"বিয়ের সময় সোনার গয়না,আসবাবপত্র সহ দেড় লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের ছ'মাস ঠিকঠাক ভাবে চলছিল সবকিছু। কিন্তু এর পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে মেয়ের উপর শুরু হয় শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার। মেয়ের সংসারের দিকে তাকিয়ে কয়েকবার জামাইয়ের হাতে টাকাও দেওয়া হয়।কিন্তু,তাতেও মন ভরেনি শ্বশুর বাড়ির লোকেদের। আরও টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত মেয়েকে।টাকা আনতে অস্বীকার করলেই জুটত মারধর।"

এদিকে, 8 অক্টোবর ব্যবসার কাজে গুজরাতে যেতে হয় যুবতির আব্বা সিদ্দিক মণ্ডলকে। তারপর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর উপর শ্বশুর বাড়ির লোকেদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। 29 অক্টোবর এই নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে। তখনই যুবতিকে মারধর করে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সেদিনই তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। সোমবার দুপুরে সেখানেই মৃত্যু হয় বিলকিসের।

অন্যদিকে, সোমবারই গুজরাত থেকে ফিরে মেয়ের মৃত্যুর দুঃসংবাদ পান সিদ্দিক মণ্ডল। তিনি হাসপাতালে আসার আগেই সেখান থেকে গা ঢাকা দেন জামাই সহ শ্বশুর,শাশুড়ি। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়।মৃতার আব্বা সিদ্দিক মণ্ডল অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে জানিছেন। এই বিষয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে,"অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।"

দেগঙ্গা, 3 নভেম্বর : পণের দাবিতে যুবতিকে জোর করে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম বিলকিস বিবি(21)। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার চাকলা পঞ্চায়েতের কুড়ুল গাছা গ্রামে।ঘটনার পর থেকেই পলাতক যুবতির শওহর ইসমাইল সাহাজী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। তাদের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার আব্বা সিদ্দিক মন্ডল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

জানা গেছে,হাবরার সোনাকেনিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মণ্ডলের মেয়ে বিলকিস বিবি।বছর তিনেক আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় দেগঙ্গার কুড়ুল গাছা গ্রামের ইসমাইল সাহাজী-র। ইসমাইল চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত। দম্পত্তির এক বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। বিয়ের সময় শ্বশুর বাড়ির চাহিদা মতো সব জিনিসপত্র দিয়েছিলেন বিলকিসের পরিবার। তা সত্বেও বাপের বাড়ি থেকে অতিরিক্ত টাকা আনার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ।টাকা আনতে অস্বীকার করলেই বিলকিসের কপালে জুটত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। এমনই অভিযোগ মৃতার আব্বা সিদ্দিক মণ্ডলের। তিনি বলেন,"বিয়ের সময় সোনার গয়না,আসবাবপত্র সহ দেড় লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের ছ'মাস ঠিকঠাক ভাবে চলছিল সবকিছু। কিন্তু এর পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে মেয়ের উপর শুরু হয় শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার। মেয়ের সংসারের দিকে তাকিয়ে কয়েকবার জামাইয়ের হাতে টাকাও দেওয়া হয়।কিন্তু,তাতেও মন ভরেনি শ্বশুর বাড়ির লোকেদের। আরও টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত মেয়েকে।টাকা আনতে অস্বীকার করলেই জুটত মারধর।"

এদিকে, 8 অক্টোবর ব্যবসার কাজে গুজরাতে যেতে হয় যুবতির আব্বা সিদ্দিক মণ্ডলকে। তারপর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর উপর শ্বশুর বাড়ির লোকেদের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। 29 অক্টোবর এই নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে। তখনই যুবতিকে মারধর করে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সেদিনই তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। সোমবার দুপুরে সেখানেই মৃত্যু হয় বিলকিসের।

অন্যদিকে, সোমবারই গুজরাত থেকে ফিরে মেয়ের মৃত্যুর দুঃসংবাদ পান সিদ্দিক মণ্ডল। তিনি হাসপাতালে আসার আগেই সেখান থেকে গা ঢাকা দেন জামাই সহ শ্বশুর,শাশুড়ি। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়।মৃতার আব্বা সিদ্দিক মণ্ডল অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে জানিছেন। এই বিষয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে,"অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।পলাতকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.