বারাসত, 23 জানুয়ারি: 'প্রজাপতি'-বিতর্কে (Abir Praises Projapoti) এ বার মিঠুন চক্রবর্তীর পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খুললেন টলি অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় । ছবির সাফল্য নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত তিনি ৷ আবিরের কথায়, "প্রজাপতি ছবির অভূতপূর্ব সাফল্যই বলে দেয় যে মানুষ সমস্ত জবাব দিয়ে দিয়েছে । এখন আর ছবি নিয়ে বিতর্ক করে কোনও লাভ নেই ৷"
সোমবার নেতাজির 127তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে 'রান ফর এডুকেশন, রান ফর হেল্থ'- নামে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয় উত্তর 24 পরগনার বারাসতে । বেসরকারি এক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্যোগে হওয়া সেই কর্মসূচিতেই যোগ দেন টলিউডের দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী আবির চট্টোপাধ্যায় এবং সোহিনী সরকার ।
উদ্যোক্তাদের হাতে এ দিন মশাল তুলে দিয়ে এই কর্মসূচির সূচনা করেন টলিউডের এই দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী । তাতে সামিল হয়েছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস-সহ কলেজের অসংখ্য পড়ুয়া । কর্মসূচির সূচনা করে টলি অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সমাজে এই ধরনের কর্মসূচির গুরুত্ব রয়েছে । বিশেষ করে আজকের দিনে । এই কর্মসূচিতে তরুণ ছেলে-মেয়েরা অংশগ্রহণ করায় দেখে খুব ভালো লাগছে । তাঁদের মধ্যে দিয়ে যদি সমাজে কোনও বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়, তার চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না ৷"
এরপরই 'প্রজাপতি'-ছবির বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "বক্স অফিসে যেভাবে সাড়া ফেলেছে এই ছবি এবং ছবির কলাকুশলীরা যা দাবি করছেন তা যদি সত্যিই ধরে নিই, তাতেই বোঝা যায় যে মানুষ সমস্ত কিছুর জবাব দিয়ে দিয়েছে । দিনের শেষে আমাদের মতো সিনেমা জগতের মানুষজন সবসময় চেয়ে এসেছে দর্শকদের কাছে বেশি করে পৌঁছতে । প্রজাপতি ছবির সাফল্যই বলে দিচ্ছে মানুষ সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে শিল্প এবং সিনেমাকেই প্রাধান্য দেবে । এই কারণে আমরা সবসময় বাংলা সিনেমার দর্শকদের কৃতজ্ঞতা জানাই ৷"
আরও পড়ুন: 'এলিতেলি গঙ্গারামের' পালটা দিয়ে মিঠুনের 'গোপন কথা' ফাঁস কুণালের
এ দিকে, সিনেমা জগতে রাজনীতির লোকেদের অনধিকার প্রবেশ ও মতামতকে গুরুত্ব দিতে চাননি এই টলি অভিনেতা । আবিরের কথায়, "কোনও বিষয়ে মতামত দেওয়ার অধিকার রয়েছে যে কোনও লোকেরই । তার চেয়ে বড় বিষয় হল সিনেমা নিয়ে মানুষ যেটা দেখবে সেটাই থেকে যাবে আগামী দিনে ৷"
অন্যদিকে, সিনেমা জগতের সঙ্গে প্রায় 14 বছর যুক্ত হওয়ার পরও সেভাবে কোনও অ্যাওয়ার্ড আসেনি টলি অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ের ঝুলিতে।সেই নিয়ে অবশ্য আক্ষেপের সুরে এ দিন তিনি বলেন, "14 বছরে রামচন্দ্রও বনবাস কাটিয়ে এসেছেন । তাই এ সব নিয়ে আর ভাবি না । দর্শকরা এখন সাধারণ সিনেমার চেয়ে গোয়েন্দার মতো থ্রিলার সিনেমায় পছন্দ করছে আমার । তাই সেদিকেই বেশি মনোনিবেশ করতে হচ্ছে ৷"