নৈহাটি, 12 নভেম্বর: নৈহাটির বড়মা। নামটাই যথেষ্ট ৷ চলতি বছরে বড়মার পুজো শতবর্ষে পা দিয়েছে। আজ, রবিবার রাত 12টায় শুরু হবে জাগ্রত 'বড়মা'-র মায়ের পুজো। সেই উপলক্ষে বড়মার মন্দিরে পাকাপাকিভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কষ্টি পাথরের বড়মার মূর্তি। যার শুভ সূচনা হয় সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের হাত ধরে। সেই অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়েরও। যদিও সেই সময় তিনি আসতে না-পারলেও মন্দির কমিটিকে শুভেচ্ছাপত্র পাঠিয়ে ছিলেন। নিরাপত্তার স্বার্থে পুজোর চারদিন অর্থাৎ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মূল মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী 14 নভেম্বর, মঙ্গলবার বিকেলে নৈহাটির 'বড়মা'-কে পুজো দেবেন তিনি। তবে বিষয়টি এখনও গোপনীয়তা রাখা হয়েছে মন্দির কমিটি এবং প্রশাসনের তরফে। হতে পারে নিরাপত্তার কথা ভেবে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বিষয়টি গোপনীয়তা রাখা হয়েছে তাঁদের তরফে। যদিও তাঁর ঝটিকা সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
'বড়মা'র পুজোর পর নৈহাটির অন্যান্য কালীপুজো শুরু হবে। মন্দির কমিটির অনুমান, ভিড়ে এবার অন্যান্য বারের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে। এদিন সকালে গঙ্গায় স্নান করে কয়েক হাজার ভক্ত দণ্ডি কেটে 'বড়মা'-র মন্দিরের সামনে আসেন। স্বরূপ দাস নামে এক পুণ্যার্থী বলেন, "মায়ের খ্যাতি আরও ছড়িয়ে পড়ুক সেটাই আমরা চাই।" মন্দিরের সেবাইত অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "স্টেশন থেকে গঙ্গার দিকে যাওয়ার দুই রাস্তা প্রতিবারই ভক্তদের ভিড়ে সমাগম হয়ে ওঠে।"
এদিকে, নৈহাটি বড়মা কালী প্রসার সমিতির ট্রাস্টির সম্পাদক তাপস দত্ত বলেন, "আজ রাত বারোটার সময় মায়ের পুজো শুরু হবে। রাত আড়াইটায় শুরু হবে অঞ্জলি। ভোর থেকেই মায়ের প্রসাদ বিতরণ করা হবে ভক্তদের মধ্যে। এবছর যেহেতু মায়ের পুজো একশো বছরে পা দিল, সেহেতু আমরা 100 ঘণ্টা মায়ের প্রসাদ বিতরণ করব।"
আনুমানিক একশো বছর আগে নৈহাটি অরবিন্দ রোডে সুউচ্চ কালী প্রতিমার পুজো প্রথম শুরু করেন ভবেশ চক্রবর্তী। প্রথমে এই পুজো বড়কালী নামেই প্রচলিত ছিল। পরবর্তীতে ভক্তদের মুখে মুখেই 'বড়মা' হিসেবেই পরিচিতি লাভ করে। গত বছর কালীপুজোর আগে পুজো কমিটি ঠিক করেছিল ফটোর বদলে পাকাপাকিভাবে নির্মাণ করা হবে বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তি। সেই মতো এবার তা তৈরি করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: