নৈহাটি, 14 নভেম্বর: প্রত্যাশামতোই মঙ্গলবার বিকেলে নৈহাটির 'বড়মা'র জাগ্রতদ্বারে এসে পুজো দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এদিন বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ অভিষেকের কনভয় নৈহাটির অরবিন্দ রোডে বড়মার নবনির্মিত মন্দিরের সামনে এসে পৌঁছয়। এরপর গাড়ি থেকে নেমে তিনি সোজা চলে যান রাস্তার ধারে বড়মার 22 ফুট উচ্চতার কৃষ্ণবর্ণা প্রতিমার সামনে। মোমবাতি এবং ধূপকাঠি জ্বালিয়ে এদিন প্রার্থনা করতেও দেখা গিয়েছে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে। সবশেষে মায়ের সামনে অঞ্জলি দেন তিনি।
মাতৃ প্রতিমা দর্শনের পর সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় 'বড়মা'-র নবনির্মিত মন্দিরে প্রবেশ করেন। সেখানে কষ্টিপাথরের প্রতিষ্ঠিত বড়মার মূর্তিকে প্রণাম করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেইসঙ্গে জাগ্রত এই 'বড়মা'-র মন্দিরে পুজো এবং অঞ্জলিও দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। মিনিট পনেরো সেখানে ছিলেন তিনি। মন্দিরের তরফে এদিন 'বড়মা'-র একটি বাঁধানো ফটো তুলে দেওয়া হয়েছে অভিষেকের হাতে। অভিষেকের সফর ঘিরে এদিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছিল মন্দির চত্বরে।
তবে, ভক্তদের যাতে 'বড়মা'-র মাতৃ প্রতিমা দর্শন করতে কোনও অসুবিধা না-হয়, তার দিকেও বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে।রাস্তার উলটোদিকে ব্যারিকেডের বাইরে থেকেই এদিন বড়মার মাতৃ প্রতিমা দর্শন করেন অগণিত ভক্ত। এদিকে, বড়মার মন্দিরে পুজো এবং দর্শন করার পর বাইরে বেরিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তবে নৈহাটির বিধায়ক ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, "বড়মার নবনির্মিত মন্দির দেখে তিনি খুশি হয়েছেন।"
জয়নগর খুন-কাণ্ড নিয়ে পার্থ ভৌমিক বলেন, "সব জায়গা শান্ত থাকুক, সেই প্রার্থনায় করি মায়ের কাছে। যেভাবে গত দু'দিন ধরে সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনার সঙ্গে নৈহাটিতে পুজো দেখেছেন তা থেকে স্পষ্ট বাংলার আইন-শৃঙ্খলা ঠিকঠাকই রয়েছে। কিছু মানুষ থাকে যারা সবসময় চাই অশান্তি বাঁধাতে। বিরোধীরা সেই চক্রান্তই করছে রাজ্যজুড়ে।"
আরও পড়ুন: