ETV Bharat / state

Abhishek Banerjee: পাঁচ মিনিটে সব ভেঙে ঢুকতে পারি, ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতে না-পেরে চরম হুমকি অভিষেকের

author img

By

Published : Jun 11, 2023, 7:31 PM IST

Updated : Jun 11, 2023, 11:02 PM IST

নবজোয়ার কর্মসূচিতে ঠাকুরনগরে মতুয়াদের মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু অভিষেকের কর্মসূচি ঘিরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা গেল ঠাকুরাবাড়ি জুড়ে ৷

Etv Bharat
চরম হুমকি অভিষেকের
চরম হুমকি অভিষেকের

ঠাকুরনগর, 11 জুন: ঠাকুর বাড়িতে গিয়েও মন্দিরে ঢুকতে পারলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মতুয়া বিক্ষোভের মুখে পড়ে মন্দিরের দরজা থেকে ফিরে আসতে হল তৃণমূলের যুবরাজকে ৷ আর তারপরই পালটা হুঙ্কার ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনকি গায়ের জোর দেখানোর ব্যাপারে তিনিও যে কিছু কম যান না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক ৷ তাঁর দাবি, পাঁচ মিনিটে সবকিছু ভেঙে তিনি ভিতরে ঢুকে যেতে পারেন ৷

রবিবার নবজোয়ার কর্মসূচিতে ঠাকুরনগরে মতুয়াদের মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু মন্দিরে ঢোকার পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়া মহাসংঘের একাংশের বিরুদ্ধে। আর এই নিয়েই শান্তনু ঠাকুর এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, "আমার রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে হাবড়ায়। এখান থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে। আমার এখানে আসার কথা ছিল পুজো দেওয়ার জন্য। আমি যাতে ঢুকতে না পারি সকাল থেকে মন্দিরটাকে ঘিরে রেখে দেওয়া হয়েছে বিজেপির লোকেদের দিয়ে।" এরপরই কার্যত হুমকির সুরে তিনি বলেন, "ওদের দুশো-আড়াইশো জন আর আমাদের পাঁচ হাজার লোক রয়েছে। আমি চাইলে গায়ের জোর দেখিয়ে ঢুকতে পারি। কিন্তু ঠাকুরবাড়ি গায়ের জোর দেখানোর জায়গা নয়। এই মতুয়া ধাম, মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যে কোনও মানুষ এখানে আসতে পারে।"

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেছেন, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের লড়াই বিশেষ করে শিক্ষাকে সামনে রেখে সমাজের মধ্যে জাগরণ তৈরি করার প্রচেষ্টা, পরিশ্রম, ত্যাগকে এদিন কলুষিত করা হল শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর গুন্ডাবাহিনীকে দিয়ে। আগামিদিনে মানুষ যাতে এর জবাব দেয়, এর জন্য যাবতীয় দায়-দায়িত্ব মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক ৷

এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, "শান্তনু ঠাকুর যে বাড়িতে থাকেন সেখানে জলের ব্যবস্থা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি কেউ ভাবে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের লড়াইকে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করব, তাহলে বলব এই ঠাকুর বাড়ি ওঁর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এই ঠাকুরবাড়ি মানুষের শ্রদ্ধা এবং আবেগের জায়গা। আমি চাইলে পাঁচ মিনিট লাগবে সবকিছু ভেঙে ভিতরে ঢুকে যেতে। কিন্তু ভাঙার রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না।"

অভিষেকের দাবি, তিনি এখানে এসেছিলেন পুজো দিতে। তাঁর অভিযোগ, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে মহিলাদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চারজন হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন বলেও জানান তিনি। এদিন ঠাকুরনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের গলায় শোনা গিয়েছে, যারা ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে আগামিদিন তাদের পতন অবধারিত। তাদের পতন কেউ আটকাতে পারবে না। তিনি বলেন, "আমি শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ করছি, কোনও জল, কল, রাস্তা প্রয়োজন আমাকে বলুন, আমি করে দেব। আপনি ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করছেন।"

আরও পড়ুন: তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত মতুয়ারা, মোদি-শাহের হস্তক্ষেপের আর্জি শুভেন্দুর

একইসঙ্গে, অভিষেক জানান, বড়মা বীণাপাণি দেবী যতদিন বেঁচেছিলেন, কোনও নেতা তাঁর একবারও খোঁজ নেননি। এমনকী অভিষেকের দাবি, বীণাপাণি দেবীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "এই ঠাকুরনগর স্টেশন থেকে শুরু করে ঠাকুরবাড়ি সৌন্দর্যায়ন, আলোর ব্যবস্থা নরেন্দ্র মোদি করেননি ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছে। এটা শান্তনু ঠাকুরের জেনে রাখা উচিত।"

আরও পড়ুন: ঠাকুরবাড়িতে অভিষেককে দেখানো হল কালো পতাকা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বন্ধ করা হল মন্দিরের দরজা

সকাল থেকেই বিজেপির তরফ থেকে বলা হচ্ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরবাড়িতে এলে ঠাকুরবাড়ি থেকে ঘুরে যাওয়ার পর গোটা ঠাকুরবাড়ি গোবর জল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হবে। এর জবাবও দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, "উনি বলেছেন আমি চলে যাওয়ার পর ঠাকুরবাড়ির মাটি উনি গোবর জল দিয়ে ধোবেন। শান্তনু ঠাকুরকে বলব আমি তিন মাস অন্তর ঠাকুরবাড়ি আসব ৷ তুমি ঠাকুরবাড়িটা গোবর জল দিয়ে ধুইয়ো। অন্তত এই অছিলায় ঠাকুরবাড়িটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।"

চরম হুমকি অভিষেকের

ঠাকুরনগর, 11 জুন: ঠাকুর বাড়িতে গিয়েও মন্দিরে ঢুকতে পারলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মতুয়া বিক্ষোভের মুখে পড়ে মন্দিরের দরজা থেকে ফিরে আসতে হল তৃণমূলের যুবরাজকে ৷ আর তারপরই পালটা হুঙ্কার ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এমনকি গায়ের জোর দেখানোর ব্যাপারে তিনিও যে কিছু কম যান না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক ৷ তাঁর দাবি, পাঁচ মিনিটে সবকিছু ভেঙে তিনি ভিতরে ঢুকে যেতে পারেন ৷

রবিবার নবজোয়ার কর্মসূচিতে ঠাকুরনগরে মতুয়াদের মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু মন্দিরে ঢোকার পথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালো পতাকা দেখানোর অভিযোগ ওঠে শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে মতুয়া মহাসংঘের একাংশের বিরুদ্ধে। আর এই নিয়েই শান্তনু ঠাকুর এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, "আমার রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে হাবড়ায়। এখান থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে। আমার এখানে আসার কথা ছিল পুজো দেওয়ার জন্য। আমি যাতে ঢুকতে না পারি সকাল থেকে মন্দিরটাকে ঘিরে রেখে দেওয়া হয়েছে বিজেপির লোকেদের দিয়ে।" এরপরই কার্যত হুমকির সুরে তিনি বলেন, "ওদের দুশো-আড়াইশো জন আর আমাদের পাঁচ হাজার লোক রয়েছে। আমি চাইলে গায়ের জোর দেখিয়ে ঢুকতে পারি। কিন্তু ঠাকুরবাড়ি গায়ের জোর দেখানোর জায়গা নয়। এই মতুয়া ধাম, মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যে কোনও মানুষ এখানে আসতে পারে।"

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেছেন, হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের লড়াই বিশেষ করে শিক্ষাকে সামনে রেখে সমাজের মধ্যে জাগরণ তৈরি করার প্রচেষ্টা, পরিশ্রম, ত্যাগকে এদিন কলুষিত করা হল শান্তনু ঠাকুর এবং তাঁর গুন্ডাবাহিনীকে দিয়ে। আগামিদিনে মানুষ যাতে এর জবাব দেয়, এর জন্য যাবতীয় দায়-দায়িত্ব মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক ৷

এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, "শান্তনু ঠাকুর যে বাড়িতে থাকেন সেখানে জলের ব্যবস্থা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি কেউ ভাবে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের লড়াইকে সরিয়ে দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করব, তাহলে বলব এই ঠাকুর বাড়ি ওঁর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এই ঠাকুরবাড়ি মানুষের শ্রদ্ধা এবং আবেগের জায়গা। আমি চাইলে পাঁচ মিনিট লাগবে সবকিছু ভেঙে ভিতরে ঢুকে যেতে। কিন্তু ভাঙার রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাস করি না।"

অভিষেকের দাবি, তিনি এখানে এসেছিলেন পুজো দিতে। তাঁর অভিযোগ, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে মহিলাদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই চারজন হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন বলেও জানান তিনি। এদিন ঠাকুরনগরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের গলায় শোনা গিয়েছে, যারা ধর্মকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে আগামিদিন তাদের পতন অবধারিত। তাদের পতন কেউ আটকাতে পারবে না। তিনি বলেন, "আমি শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ করছি, কোনও জল, কল, রাস্তা প্রয়োজন আমাকে বলুন, আমি করে দেব। আপনি ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করছেন।"

আরও পড়ুন: তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত মতুয়ারা, মোদি-শাহের হস্তক্ষেপের আর্জি শুভেন্দুর

একইসঙ্গে, অভিষেক জানান, বড়মা বীণাপাণি দেবী যতদিন বেঁচেছিলেন, কোনও নেতা তাঁর একবারও খোঁজ নেননি। এমনকী অভিষেকের দাবি, বীণাপাণি দেবীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, "এই ঠাকুরনগর স্টেশন থেকে শুরু করে ঠাকুরবাড়ি সৌন্দর্যায়ন, আলোর ব্যবস্থা নরেন্দ্র মোদি করেননি ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছে। এটা শান্তনু ঠাকুরের জেনে রাখা উচিত।"

আরও পড়ুন: ঠাকুরবাড়িতে অভিষেককে দেখানো হল কালো পতাকা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বন্ধ করা হল মন্দিরের দরজা

সকাল থেকেই বিজেপির তরফ থেকে বলা হচ্ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরবাড়িতে এলে ঠাকুরবাড়ি থেকে ঘুরে যাওয়ার পর গোটা ঠাকুরবাড়ি গোবর জল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করা হবে। এর জবাবও দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, "উনি বলেছেন আমি চলে যাওয়ার পর ঠাকুরবাড়ির মাটি উনি গোবর জল দিয়ে ধোবেন। শান্তনু ঠাকুরকে বলব আমি তিন মাস অন্তর ঠাকুরবাড়ি আসব ৷ তুমি ঠাকুরবাড়িটা গোবর জল দিয়ে ধুইয়ো। অন্তত এই অছিলায় ঠাকুরবাড়িটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।"

Last Updated : Jun 11, 2023, 11:02 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.