বনগাঁ, 19 মার্চ : পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে বনগাঁয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বচসা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখাতে এসে চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের অনুগামীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের অনুগামীরা। গন্ডগোল সামাল দিতে এসে আক্রান্ত এক পুলিশকর্মীও (A police person injured in a clash between two TMC group in Bongaon)। দোলের রাতে এই ঘটনায় বনগাঁজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ৷
বনগাঁ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবার জয়ী হয়েছেন তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ ৷ তিনি বনগাঁ পৌরসভার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানও বটে। পাশাপাশি এই ওয়ার্ড থেকে এবার কংগ্রেসের টিকিটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্যের ভাই মলয় আঢ্য। শংকর আঢ্যের স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য আবার পৌরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান। সূত্রের খবর, বনগাঁ পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে শঙ্কর আঢ্যকে সরিয়ে গোপাল শেঠকে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই দূরত্ব বাড়ে দু'জনের। দু'ভাগে ভাগ হয়ে যান দুই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় দুই গোষ্ঠীর বিবাদ সামনে এসেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রং খেলাকে কেন্দ্র করে প্রথমে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একপ্রস্থ মারামারির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় উভয় পক্ষেরই কয়েকজন জখম হয়। পরবর্তীতে রাত ন'টা নাগাদ দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে শতাধিক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বনগাঁ থানায় আসেন ভাইস-চেয়ারম্যান জোৎস্না আঢ্য। সঙ্গে ছিলেন মলয় আঢ্যও। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন জোৎস্না আঢ্যর অনুগামীরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, পৌরভোটে মলয় আঢ্যকে সমর্থন করায় গোপাল শেঠের অনুগামীরা এলাকায় সন্ত্রাস করছে নির্বিচারে ৷ আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মারধর করা হচ্ছে মহিলাদেরও ।
আরও পড়ুন : অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় তিলজলায় আক্রান্ত বাবা-ছেলে, চলল গুলি
কিছুক্ষণ বাদে পাল্টা হামলার অভিযোগ নিয়ে থানায় হাজির হয় গোপাল শেঠের অনুগামীরা। মুখোমুখি হতে ফের বচসা বাঁধে দু'পক্ষের মধ্যে। পুলিশের সামনে থানার মধ্যে হাতাহাতি শুরু করে তাঁরা। সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন এক পুলিশকর্মী। যদিও ঘটনা সম্পর্কে গোপাল শেঠের দাবি, "তিন নম্বর ওয়ার্ডে রং খেলাকে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেখানে কংগ্রেসের কিছু লোক গিয়ে ইন্ধন দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও কারণ নেই।"