বারাসত, 4 এপ্রিল : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে ধৃত ছাত্র নেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে নিতে সোমবার তাকে বারাসত জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ (7 days police custody of arrested accused student in Aliah University Vice Chancellor Harrasment Case) । এদিন দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় নিউটাউনের টেকনো সিটি থানা থেকে পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে গিয়াসউদ্দিনকে নিয়ে আসা হয় জেলা আদালতে । মুখ ঢাকা অবস্থায় গাড়ি থেকে নামাতেই পুলিশ প্রথমে সাংবাদিকদের এড়াতে দ্রুত তাকে নিয়ে চলে যায় কোর্ট লকআপে । যদিও, পরে ধৃতের ঢাকা মুখ খোলা হলেও পুলিশি সক্রিয়তা ছিল নজরে পড়ার মতো (Aliah University Vice Chancellor Harrasment Case)।
উপাচার্য মহম্মদ আলিকে হেনস্থার ঘটনায় ধৃত গিয়াসউদ্দিনকে এদিন দুপুরের পর পেশ করা হয় জেলা আদালতের সিজেএম সমীর কুমার কুন্ডুর এজলাসে । দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারক এদিন ধৃতকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন (Aliah University Issue)।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির 448, 186, 189, 307, 353, 342, 379, 386, 504, 34 এবং 120(বি)ধারায় মামলা রুজু হয়েছে । এর মধ্যে খুনের চেষ্টা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, সংঘটিত অপরাধ, চুরি, কটুক্তি এবং সরকারি কর্মীকে হেনস্থার মতো জামিন অযোগ্য ধারাও রয়েছে ।
ঘটনার পর ধৃত ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র আসিফুর রহমান । অভিযোগ পেয়ে টেকনো সিটি থানার পুলিশ নিউটাউনের হোস্টেল ক্যাম্পাস থেকে পাকড়াও করেন উপাচার্য হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে । এদিকে, আদালতে এদিন সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি ধৃত ওই ছাত্র নেতা । এদিন পুলিশ আগাগোড়া তাকে কার্যত কর্ডন করে রেখেছিল । ফলে সেই কর্ডন ভেঙে উত্তর দেওয়া একপ্রকার অসম্ভব ছিল তার পক্ষে ।
অন্যদিকে এই বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী ভাস্কর লাহিড়ী বলেন, "আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে তদন্তকারীরা যে 307 ধারা রুজু করেছে তা এক্ষেত্রে খাটে না । মামলাটি পোক্ত করতেই 307 ধারা দেওয়া হয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করার কথা যে বলা হচ্ছে তা ঠিক নয় । কারণ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তা সম্ভব ৷ আমরা সেই সমস্ত যুক্তি তুলে ধরেছি বিচারকের সামনে ৷ " ঘটনার যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তার সত্যতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ৷
প্রসঙ্গত, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলির ঘরে ঢুকে তাঁকে ঘেরাও করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং চড় মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল ও তার দলের বিরুদ্ধে । সম্প্রতি সেরকমই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । যদিও, সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ।
আরও পড়ুন : Aliah University Issue : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ, নাম জড়াল তৃণমূলের