বাদুড়িয়া, 15 অক্টোবর: শিশু চুরির 24 ঘণ্টার মধ্যেই বড়সড় সাফল্য। আয়া সমেত তিন অভিযুক্তকে পাকড়াও করল বাদুড়িয়া থানার পুলিশ।ধৃতদের নাম টুম্পা সরদার, অরূপ সরকার ও মণিরুল ইসলাম। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, নদিয়ার তেহট্ট থেকে শিশু চুরির এই তিন পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের বিশেষ টিম। সেই সঙ্গে চুরি যাওয়া শিশুটিকেও উদ্ধার করে তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাদুড়িয়া থেকে সদ্যজাতকে চুরি করে নিয়ে যায় টুম্পা সরদার নামে এক আয়া। যাকে অসুস্থ শিশুটির দেখভালের জন্য রেখেছিল পরিবারের লোকেরা। সেই সুযোগে রাতের অন্ধকারে পরিবারের অজান্তে সে চুরি করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই তদন্তে নেমে 24 ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার কিনারা করে ফেলল পুলিশ। এর পিছনে শিশু পাচার চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, জন্মের পর থেকেই শিশুটি অসুস্থ ছিল। শিশুটির দেখভালের জন্য নার্সিংহোমে সর্বক্ষণের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল টুম্পা সরদার নামে ওই আয়াকে। এরপর শিশুটি একটু সুস্থ হলে নার্সিংহোম থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় ৷ তবে সদ্যজাতকে দেখভালের জন্য টুম্পাকে রাখা হয় ৷ এইভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পর, শুক্রবার রাতে বাড়ির লোকেরা যখন ঘুমিয়ে পড়েন তখনই সকলের অজান্তে সে 14 দিনের ওই শিশুটিকে চুরি করে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকালে শিশুটিকে ঘরের মধ্যে দেখতে না-পেয়ে সন্দেহ গিয়ে পড়ে আয়ার উপর। দেরি না-করে তৎক্ষণাৎ বাদুড়িয়া থানায় গিয়ে শিশু চুরির অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা । অভিযোগের পরই তৎপর হয় পুলিশ ৷ নদিয়ার তেহট্টে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাদুড়িয়া থানাতে। পাকড়াও করা হয় আয়া সমেত তিন অভিযুক্তকেও। পরে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিশুটিকে ৷
এদিকে, শিশুসন্তানকে ফিরে পেয়ে পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মা ৷ তিনি বলেন, "নার্সিংহোমে থাকার সময় ও (টুম্পা) আমার সন্তানকে দেখভাল করত। পুলিশের জন্যই আমার সন্তানকে ফিরে পেলাম।" একইকথা সদ্যোজাতর জেঠুর গলাতেও। অন্যদিকে, ধৃত তিনজনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে রবিবার দুপুরে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: নার্সিংহোম থেকে 2 লক্ষ টাকার বিনিময়ে শিশু বিক্রির অভিযোগে ধৃত চার