বারাসত, 1 এপ্রিল : ঠাকুরনগরে বারুনি মেলায় যোগ দিতে যাওয়ায় পথে বারাসতে মতুয়া সম্প্রদায়ের বাসের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে (Attack on Matua bus in Barasat)। হামলায় সুমন হালদার ও মতুয়া সম্প্রদায়ের দলপতি বিধান হালদার আহত হয়েছেন বলে খবর । আক্রান্ত সুমন ও বিধানকে আহত অবস্থায় প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । যদিও, সুমনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে সেখান থেকে তাঁকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । বিধানকে অবশ্য প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় । গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভাধিপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ 24 পরগনার গড়িয়ার নরেন্দ্রপুর থেকে মতুয়াদের একটি বাস রওনা দিয়েছিল ঠাকুরবাড়ির বারুনি মেলায় যোগ দিতে । বাসে মহিলা এবং পুরুষ মিলিয়ে জনা চল্লিশ জন ছিলেন । এই দলের সঙ্গেই ছিলেন মতুয়াদের দলপতি বিধান হালদার । অভিযোগ, বাসটি বারাসত কাজিপাড়ায় আসতেই জনা কয়েক দুষ্কৃতী পথ আটকায় । এরপরই বাসের মধ্যে থাকা মহিলাদের উদ্দেশে শুরু হয় কটূক্তি । চলে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও ।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন সুমন হালদার এবং বিধান হালদার । তখনই দুষ্কৃতীদের যাবতীয় রোষ গিয়ে পড়ে ওই দু'জনের উপর । অভিযোগ, প্রথমে বিধানের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর, সুমন ও বিধানকে বাস থেকে নামিয়ে পাশের একটি অন্ধকার জায়গায় তুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা । সেখানে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা ফেলে রেখে যায় ওই দু'জনকে । পরে গোঙানির আওয়াজ পেয়ে মতুয়াদের কয়েকজন সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁদের । এরমধ্যে সবচেয়ে আঘাত গুরুতর সুমনেরই । মারধরে তাঁর মাথা, নাক এবং চোখের নিচের অংশ মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে । রক্তাক্ত অবস্থায় দু'জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় বিধানকে । তবে সুমনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি হাসপাতালে ।
এদিকে মতুয়া বাসের ওপর হামলার খবর পৌঁছায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভাধিপতি ও কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কাছে । সূত্রের খবর, এমন খবর পেতেই পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি । ঘনিষ্ঠমহলে তিনি বলেন, "24 ঘন্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে মতুয়ারা বুঝে নেবে বিষয়টি । এর জন্য দায়ী থাকবে প্রশাসন ৷" কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারির পর পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয় ।