বাগদা, 24 জানুয়ারি : পুলিশের জালে ধরা পড়ল এটিএম প্রতারণা চক্রের পান্ডা । ধৃতের নাম অভিজিৎ বৈদ্য । গোপালনগর থানার পাল্লা এলাকার বাসিন্দা । শুক্রবার রাতে পুলিশ গোপালনগরের পাল্লা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে । ধৃতের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি নকল এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে । গতকাল বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠালে বিচারক 6 দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে । তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রবীণ ব্যক্তিরা এটিএম কাউন্টারে টাকা তুলতে গিয়ে প্রায়ই সমস্যায় পড়েন । তখনই অভিজিৎ সাহায্যকারীর ভূমিকায় এগিয়ে আসে । গোপন পিন নম্বর জেনে নিয়ে টাকা তুলে দেয় । পরে আসল এটিএম কার্ডের পরিবর্তে নকল কার্ড ফেরত দেয় । পরে সেই কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকদের সমস্ত টাকা তুলে নিত । বেশ কিছুদিন ধরে এভাবে বাগদার বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক এটিএম জালিয়াতির ঘটনা ঘটছিল ।
আরও জানায়, এই প্রতারণা চক্রটি নদিয়ার কল্যাণী, হরিণঘাটা, চাকদা, ও রানাঘাট এলাকায় সক্রিয় । উত্তর 24 পরগনা জেলার গোপালনগর, বাগদার বিভিন্ন এলাকায় এই চক্র সক্রিয় রয়েছে । সম্প্রতি বাগদা থানার পুলিশের কাছে 3 টি অভিযোগ আসে । তারপর তদন্তে নেমে পুলিশ এটিএম কাউন্টারে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে ওই যুবকের সন্ধান পায় ।
আরও পড়ুন : অভিনব পদ্ধতিতে এটিএম জালিয়াতি, ধৃত 1
প্রতারণা চক্র কীভাবে চালায় মোডাস অপারেন্ডি ?
সাধারণত ভদ্র পোশাকে বিভিন্ন এটিএম কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে চক্রের সদস্যরা। প্রবীণরা টাকা তুলতে এলে তাঁদের সাহায্য করতে এগিয়ে যায়। তখন গোপন পিন নম্বর জেনে তাঁদের টাকা তুলে দিয়ে হাতের কৌশলে এটিএম কার্ড বদলে দেয়। পরে এটিএম কার্ডগুলো থেকে টাকা তুলে নেয় চক্রের সদস্যরা।
বাগদা থানার এসডিপিও সুকান্ত হাজরা বলেন, "বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের কাছে এটিএম প্রতারণার অভিযোগ আসছিল । আমরা তদন্তে নেমে জানতে পারি, এটিএম কাউন্টারে সাহায্যকারীর ছদ্মবেশে প্রবীণদের প্রতারণা করা হচ্ছিল । কৌশলে প্রবীণদের কার্ড হাতিয়ে ওই কার্ড ব্যবহার করে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোপাট করছিল প্রতারকরা । ইতিমধ্যে একজনকে ধরা হয়েছে । তার কাছ থেকে বেশ কিছু নকল এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়েছে । গোটা চক্রটি ধরার চেষ্টা চলছে ।"