কলকাতা, 12 নভেম্বর : একটি জিনিসপত্র কেনাবেচার অ্যাপে নিজের পুরানো একটি বাইক বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন হাওড়া জেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার। সেই বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করে এক যুবক। বাইক দেখতে এসে সেটির টেস্ট ড্রাইভ করতে চান তিনি। তারপরই বাইক নিয়ে চম্পট দেয় ওই যুবক। দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও ক্রেতা ফিরছে না দেখে ওই চিকিৎসক পুলিশে যোগাযোগ করেন। কয়েকদিন লাগাতার চেষ্টার পর অবশেষে চোরকে পাকড়াও করল হাওড়া পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে চুরির যাওয়া বাইকটি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, 2 অক্টোবর ডাক্তার চন্দ্রদ্বীপ সিং-এর বাইকটি কেনার জন্য আসে ওই যুবক। রোগা-পাতলা চেহারার ওই যুবক টেস্ট ড্রাইভ করতে গিয়ে বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। তারপরেই চন্দ্রদ্বীপ পুরও বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান যাদবপুর থানায়। ঘটনার তদন্ত ভার নেয় গোয়েন্দা বিভাগ। তদন্তে নেমে পুলিশ যে নম্বর থেকে ওই চিকিৎসককে ফোন করা হয়েছিল, সেটি ট্র্যাক করা শুরু করে। সেখান থেকে পুলিশ জানতে পারে মোবাইলটি দমদম এলাকার এক রিকশাচালকের। তারপরই ওই রিক্সা চালককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে রিক্সা চালক জানায় এক যুবক তার রিক্সায় উঠে মোবাইল থেকে একটি ফোন করতে চায়। সেই সময় কোনও ভাবে মোবাইল থেকে তাঁর সিম কার্ডটা নিয়ে নেয়। এরপরই পুলিশ ওই সিমের টাওয়ার লোকেশনের খোঁজ শুরু করে। দেখা যায় সিম কার্ডটি ব্যবহার করা হয়েছে অন্য একটি মোবাইল ফোনে। সেই মোবাইল ফোনটির IMEI নম্বর ধরে শুরু হয় খোঁজ। জানা যায় সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে বারাসাতের হৃদয়পুরে। তারপর পুলিশ নিজস্ব পদ্ধতিতে অভিযুক্তের ছবি খুঁজে বের করে। সেই ছবি দেখে রিক্সা চালক সনাক্ত করে ওই যুবককে।
পুলিশ সূত্র মারফত খবর নিয়ে জানতে পারে গাইঘাটা থানা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক। নাম গৌরাঙ্গ কীর্তনীয়া ওরফে আকাশ। তারপরই 29 বছরের আকাশকে গাইঘাটা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ চুরি যাওয়া বাইকের খোঁজ পাওয়া যায়। পাশাপাশি জানা যায় সে যে মোবাইলটি ব্যবহার করত সেটিও চুরির। বনগাঁ GRP-তে মোবাইলটির চুরি যাওয়ার অভিযোগ নথিভুক্ত করা রয়েছে।