ETV Bharat / state

Check Dam in Purulia: চেক ড্যাম তৈরিতে তিনবার জলে গেল টাকা, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী - চেক ড্যামটি সংস্কার

একবার বা দু'বার নয় ৷ তিন তিনবার জলে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা ৷ চাষিদের সুবিধার্থে চেক ড্যাম তৈরি হয়েছিল ৷ তা বর্ষায় ধুয়ে গিয়েছে (Purulia Check Dam washed away) ৷ স্বভাবতই সমস্যায় স্থানীয় চাষিরা ৷

check dam
পুরুলিয়ায় চেক ড্যাম
author img

By

Published : Mar 23, 2023, 9:25 PM IST

পুরুলিয়ার চেকড্যাম বার বার ভেঙে যাওয়ায় ক্ষোভ স্থানীয়দের মধ্যে

পুরুলিয়া, 23 মার্চ: খরা প্রবণ জেলা পুরুলিয়া ৷ এখানকার বেশিরভাগ জমি এক ফসলী ৷ তাই চাষিরা সেচ ব্যবস্থার উপর অনেকটা নির্ভর করে ৷ ঠিক সেই জন্যে 2015-16 অর্থবর্ষে পুরুলিয়ার 2 নম্বর ব্লকের পিড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাকিরবন ও গোপালপুরের মাঝে একটি চেক ড্যাম তৈরি করা হয়েছিল ৷ 1 কোটি 7 লক্ষ টাকা দিয়ে সেই সময় চেকড্যামটি তৈরি করা হয় ৷ কিন্তু সে বছরই বর্ষার সময় চেক ড্যামের অনেকটা অংশ ধুয়ে যায় (Check dam washed away in heavy rain in Purulia) ৷

এরপর এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখান ৷ 2017 সালে তখন ফের 25 লক্ষ টাকা ব্যয়ে চেক ড্যামটি সংস্কার করা হয় ৷ কিন্তু বর্ষার সময় ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ৷ তাই 2017-18 অর্থবর্ষে আবার 29 লক্ষ টাকা খরচে চেক ড্যামটি পুনরায় সংস্কার করা হয় ৷ কিন্তু আবারও চেকড্যামটি ভেঙে যায় ৷ পরপর তিনবার চেক ড্যাম সংস্কারের পরেও বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে চেক ড্যামটি ৷

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে চেক ড্যাম তৈরি করার ফলেই বেহাল অবস্থা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চাষীরা ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে এলাকায় চাষের উন্নয়নের জন্য এই চেক ড্যাম তৈরি করা হয়েছিল ৷ কিন্তু চেকড্যাম তৈরির সামগ্রী নিম্নমানের হওয়ায় বারেবারে বহু টাকা খরচ করলেও চেক ড্যামটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ এর ফলে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে এলাকার চাষিদের ৷ ‌এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলার অধীক্ষক বাস্তুকার প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "2016 সালে জল তীর্থ স্কিমে ওই চেক ড্যামটি নির্মাণ করা হয় ৷ কিন্তু 2021 সালে প্রচণ্ড বর্ষার কারণে তার পার্শ্ববর্তী পাড় ভেঙে যায় ৷"

এদিকে এ নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি ৷ জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, "তৃণমূল টাকা মারা কোম্পানি ৷ ড্যাম তৈরির জন্য যে সব সামগ্রী প্রয়োজন, সেগুলি ব্যবহার না-করে চুন-পুটি দিয়ে রং করে তৈরি করা হয়েছে ৷ ‌তাই বারংবার ড্যামটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ ‌কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও এলাকাবাসীরা বঞ্চিত ৷" যদিও বিষয়টি তার জানা নেই বলে দাবি করেছেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে কেন বারবার টাকা খরচ হয়েছে, এই বিষয়টি তিনি সেচ দফতরের কাছে জানতে চাইবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: মুহূর্তেই ধসে পড়তে পারে স্কুল ! গ্রামবাসীর দিন কাটছে চরম অনিশ্চয়তায়

পুরুলিয়ার চেকড্যাম বার বার ভেঙে যাওয়ায় ক্ষোভ স্থানীয়দের মধ্যে

পুরুলিয়া, 23 মার্চ: খরা প্রবণ জেলা পুরুলিয়া ৷ এখানকার বেশিরভাগ জমি এক ফসলী ৷ তাই চাষিরা সেচ ব্যবস্থার উপর অনেকটা নির্ভর করে ৷ ঠিক সেই জন্যে 2015-16 অর্থবর্ষে পুরুলিয়ার 2 নম্বর ব্লকের পিড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাকিরবন ও গোপালপুরের মাঝে একটি চেক ড্যাম তৈরি করা হয়েছিল ৷ 1 কোটি 7 লক্ষ টাকা দিয়ে সেই সময় চেকড্যামটি তৈরি করা হয় ৷ কিন্তু সে বছরই বর্ষার সময় চেক ড্যামের অনেকটা অংশ ধুয়ে যায় (Check dam washed away in heavy rain in Purulia) ৷

এরপর এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখান ৷ 2017 সালে তখন ফের 25 লক্ষ টাকা ব্যয়ে চেক ড্যামটি সংস্কার করা হয় ৷ কিন্তু বর্ষার সময় ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ৷ তাই 2017-18 অর্থবর্ষে আবার 29 লক্ষ টাকা খরচে চেক ড্যামটি পুনরায় সংস্কার করা হয় ৷ কিন্তু আবারও চেকড্যামটি ভেঙে যায় ৷ পরপর তিনবার চেক ড্যাম সংস্কারের পরেও বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে চেক ড্যামটি ৷

নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে চেক ড্যাম তৈরি করার ফলেই বেহাল অবস্থা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চাষীরা ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে এলাকায় চাষের উন্নয়নের জন্য এই চেক ড্যাম তৈরি করা হয়েছিল ৷ কিন্তু চেকড্যাম তৈরির সামগ্রী নিম্নমানের হওয়ায় বারেবারে বহু টাকা খরচ করলেও চেক ড্যামটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ এর ফলে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে এলাকার চাষিদের ৷ ‌এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলার অধীক্ষক বাস্তুকার প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "2016 সালে জল তীর্থ স্কিমে ওই চেক ড্যামটি নির্মাণ করা হয় ৷ কিন্তু 2021 সালে প্রচণ্ড বর্ষার কারণে তার পার্শ্ববর্তী পাড় ভেঙে যায় ৷"

এদিকে এ নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি ৷ জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, "তৃণমূল টাকা মারা কোম্পানি ৷ ড্যাম তৈরির জন্য যে সব সামগ্রী প্রয়োজন, সেগুলি ব্যবহার না-করে চুন-পুটি দিয়ে রং করে তৈরি করা হয়েছে ৷ ‌তাই বারংবার ড্যামটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ ‌কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও এলাকাবাসীরা বঞ্চিত ৷" যদিও বিষয়টি তার জানা নেই বলে দাবি করেছেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে কেন বারবার টাকা খরচ হয়েছে, এই বিষয়টি তিনি সেচ দফতরের কাছে জানতে চাইবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: মুহূর্তেই ধসে পড়তে পারে স্কুল ! গ্রামবাসীর দিন কাটছে চরম অনিশ্চয়তায়

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.