পুরুলিয়া, 21 মে: গত শুক্রবারই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে ৷ তার মধ্যেই রবিবার সকালে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার আদ্রা থানার অন্তর্গত পলাশকোলার গোস্বামী পাড়ায় ৷ মৃত ছাত্রীর নাম ঐশিকি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পরিবারের দাবি আশানুরূপ ফলাফল না হওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে ৷ পুলিশ ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ এ নিয়ে গত তিনদিনে 3 মাধ্যমিক দেওয়া পড়ুয়ার আত্মহত্যা ঘটনা ঘটল পুরুলিয়ায় ৷
আদ্রার সাউথ-ইস্টার্ন রেলওয়ে গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল ঐশিকি বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মাধ্যমিকে 424 নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে পাশ করেছিল ঐশিকি ৷ কিন্তু, এই ফলাফল তার আশানুরূপ হয়নি বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ এ দিন সকালে টিউশন থেকে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় সে ৷ কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করেও সাড়া পায়নি ৷ দরজা ভেঙে তাঁরা ভিতরে ঢুকে দেখেন, সিলিং থেকে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে ঐশিকি ৷ পুলিশে খবর দেওয়া হলে দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় রেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ৷
আদ্রা থানার পুলিশ এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে ৷ ঐশিকির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, গত শুক্রবার অনলাইনে মাধ্যমিকের ফল দেখার পরেই নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিল পুরুলিয়ার টামনা থানার ডুড়কু গ্রামে দীপালি মাহাত নামে এক ছাত্রী ৷ পরে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ জানা গিয়েছে, সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি ৷ পুরুলিয়া শহরের শান্তময়ী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল দীপালি ৷
আরও পড়ুন: মেধাতালিকার প্রথম দশে পুরুলিয়ার একই স্কুলের 6 পড়ুয়া
শনিবার একই ঘটনা ঘটে পুরুলিয়া মফস্বল থানার পিঁড়োরগড়িয়া গ্রামে ৷ জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পেরে আত্মঘাতী হয়েছে বালিকা মাহাত নামে ওই ছাত্রী ৷ সে গোলামারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল ৷ পরীক্ষায় ফেল করায় শুক্রবার মা-বাবা বকেছিল তাকে ৷ তারপর শনিবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ একের পর এক পড়ুয়ার এমন মৃত্যুতে চিন্তিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷