ETV Bharat / state

ঢুকতে পারে না অ্যাম্বুলেন্স, হেঁটে পেরোতে হয় নদী

author img

By

Published : Dec 12, 2019, 3:16 PM IST

Updated : Dec 13, 2019, 3:11 PM IST

নদী পেরিয়ে জঙ্গল ৷ জঙ্গল পেরিয়ে ফাঁকা পাথুরে মাঠ ৷ নেই কোনও ভালো রাস্তা, নদী পেরোনোর জন্য নেই কোনও সেতুও ৷

নেই কোনও রাস্তা
নেই কোনও রাস্তা

পুরুলিয়া, 12 ডিসেম্বর : জঙ্গলের ভিতর দিয়ে তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ৷ হেঁটে পেরোতে হয় নদী ৷ পাশাপাশি গ্রামে যেতে গেল এই রাস্তাই ভরসা পুরুলিয়ার আড়ষা থানা এলাকার বীরচালি, বামুনডিহা, গৌরদাগ ও বীরডি সহ একাধিক গ্রামের মানুষের ৷

purulia
জঙ্গলের ভিতর দিয়ে মেঠো রাস্তা দিয়ে এভাবেই চলে যাতায়াত

পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র 18 কিলোমিটার দূরে বীরচালি থেকে সেনাবনা হাটের উত্তর ও দক্ষিণ রয়েছে কংসাবতী নদীতে ঘেরা ৷ নদী পেরিয়ে জঙ্গল ৷ জঙ্গল পেরিয়ে ফাঁকা পাথুরে মাঠ ৷ নেই কোনও ভালো রাস্তা, নদী পেরোনোর জন্য নেই কোনও সেতুও ৷ গ্রামে কোনও গাড়িও ঢুকতে পারে না ৷ অসুস্থদের দোলায় করে নদী পার করানো হয় ৷ তারপর দোলাতেই নিয়ে যাওয়া হয় তিন কিলোমিটার দূরে পাকা রাস্তায় ৷ সেখান থেকে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৷ এছাড়া, নিত্য প্রয়োজনে, স্কুল, বাজার-হাট, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের কাজ, যেকোনও প্রয়োজনে এভাবেই সেনাবনা যেতে হয় গ্রামবাসীদের ৷

Purulia
এভাবেই রাস্তা পেরোতে হয় গ্রামবাসীদের

অভিযোগ, পঞ্চায়েত, BDO দপ্তর, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে জেলাশাসক দপ্তরেও বারবার লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি ৷ গ্রামবাসীরা জানান, বীরচালি থেকে সেনাবনা পর্যন্ত কোনও রাস্তা নেই ৷ হেঁটে জঙ্গল, মেঠো পথ, দু'টি নদী পেরিয়ে সেনাবনা যেতে হয় ৷ সমস্ত প্রয়োজনে এভাবেই যাতায়াত করতে হয় ৷ গ্রামে বড় কোনও গাড়ি ঢুকতে পারে না ৷ অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না ৷ অসুস্থদের দোলা করে নিয়ে যেতে হয় তিন কিলোমিটার ৷ সব জায়গায় লিখিত আবেদন জানানোর পরও কোনও কাজ হয়নি ৷

নেই কোনও ভালো রাস্তা ৷ কীভাবে যাতায়াত করছেন পুরুলিয়ার এই গ্রামগুলোর বাসিন্দারা

জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ হলধর মাহাত বলেন, "জমি সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় রাস্তা তৈরি করে ওঠা সম্ভব হয়নি ৷ বীরচালি থেকে সেনাবনা হাটের মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি পরিদর্শনে শীঘ্রই যাব ৷ সমস্যার সমাধান করে অবশ্যই রাস্তা ও সেতুর নির্মাণ করা হবে ৷"

পুরুলিয়া, 12 ডিসেম্বর : জঙ্গলের ভিতর দিয়ে তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ৷ হেঁটে পেরোতে হয় নদী ৷ পাশাপাশি গ্রামে যেতে গেল এই রাস্তাই ভরসা পুরুলিয়ার আড়ষা থানা এলাকার বীরচালি, বামুনডিহা, গৌরদাগ ও বীরডি সহ একাধিক গ্রামের মানুষের ৷

purulia
জঙ্গলের ভিতর দিয়ে মেঠো রাস্তা দিয়ে এভাবেই চলে যাতায়াত

পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র 18 কিলোমিটার দূরে বীরচালি থেকে সেনাবনা হাটের উত্তর ও দক্ষিণ রয়েছে কংসাবতী নদীতে ঘেরা ৷ নদী পেরিয়ে জঙ্গল ৷ জঙ্গল পেরিয়ে ফাঁকা পাথুরে মাঠ ৷ নেই কোনও ভালো রাস্তা, নদী পেরোনোর জন্য নেই কোনও সেতুও ৷ গ্রামে কোনও গাড়িও ঢুকতে পারে না ৷ অসুস্থদের দোলায় করে নদী পার করানো হয় ৷ তারপর দোলাতেই নিয়ে যাওয়া হয় তিন কিলোমিটার দূরে পাকা রাস্তায় ৷ সেখান থেকে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৷ এছাড়া, নিত্য প্রয়োজনে, স্কুল, বাজার-হাট, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের কাজ, যেকোনও প্রয়োজনে এভাবেই সেনাবনা যেতে হয় গ্রামবাসীদের ৷

Purulia
এভাবেই রাস্তা পেরোতে হয় গ্রামবাসীদের

অভিযোগ, পঞ্চায়েত, BDO দপ্তর, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে জেলাশাসক দপ্তরেও বারবার লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি ৷ গ্রামবাসীরা জানান, বীরচালি থেকে সেনাবনা পর্যন্ত কোনও রাস্তা নেই ৷ হেঁটে জঙ্গল, মেঠো পথ, দু'টি নদী পেরিয়ে সেনাবনা যেতে হয় ৷ সমস্ত প্রয়োজনে এভাবেই যাতায়াত করতে হয় ৷ গ্রামে বড় কোনও গাড়ি ঢুকতে পারে না ৷ অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না ৷ অসুস্থদের দোলা করে নিয়ে যেতে হয় তিন কিলোমিটার ৷ সব জায়গায় লিখিত আবেদন জানানোর পরও কোনও কাজ হয়নি ৷

নেই কোনও ভালো রাস্তা ৷ কীভাবে যাতায়াত করছেন পুরুলিয়ার এই গ্রামগুলোর বাসিন্দারা

জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ হলধর মাহাত বলেন, "জমি সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় রাস্তা তৈরি করে ওঠা সম্ভব হয়নি ৷ বীরচালি থেকে সেনাবনা হাটের মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি পরিদর্শনে শীঘ্রই যাব ৷ সমস্যার সমাধান করে অবশ্যই রাস্তা ও সেতুর নির্মাণ করা হবে ৷"

Intro:পুরুলিয়া : উন্নয়নের জওয়ার থেকে আজও বঞ্চিত জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার আড়ষা থানার বীরচালি, বামুনডিহা, গৌরাদাগ, বীরডি সহ একাধিক গ্রামের মানুষ l উন্নয়ন টা যে কি, খায় নাকি মাথায় দেয় তাও জানেন না এলাকাবাসীরা l স্বাধীনতার 72 বছর পরেও পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র 18 কিমি দূরে অবস্থিত এই এলাকায় যাতায়াতের কোনো রাস্তাই নেই l শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি l কারণ বীরচালি থেকে সেনাবনা হাটের উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে সেতু বিহীন কংসাবতী নদীতে ঘেরা, নদী পেরিয়ে জঙ্গল আর জঙ্গল পেরিয়ে ফাঁকা পাথুরে মাঠ l তাই পায়ে হেঁটে নদী পেরিয়ে 3 কিমি কোন পর্যন্ত জঙ্গল, পাথুরে মাঠ পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করেন গোটা এলাকার মানুষ l গ্রামে ঢোকেনি কোন চার চাকার গাড়ি l আপত্কালীন অবস্থায় অসুস্থ ব্যক্তি, প্রসূতি ও গর্ভবতী মায়েদের দোলা করে নদী পার করিয়ে জঙ্গলঘেরা পথ, পাথুরে মাঠ পেরিয়ে পায়ে হেঁটে তিন কিমি পথ অতিক্রম করার পর গাড়ি করে স্থাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় l বীরচালি থেকে সেনাবনা হাটের মোড় প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসী ও স্কুল পড়ুয়াদের l কারণ বাড়ির নিত্যিদিনের মশলা, সবজি বাজার থেকে স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সবেতেই ভরসা সেনাবনা গ্রাম l তাই বীরচালি, বামুনডিহা, গৌরাদাগ, বীরডি সহ একাধিক গ্রামের সাধারণ মানুষ, স্কুল পড়ুয়া সকলেই দুটো নদী ও পায়ে হাঁটা তিন কিমি পথ যাতায়াত করেন l গ্রামবাসীদের দাবি পঞ্চায়েত, বিডিও দপ্তর, জেলা পরিষদ থেকে জেলাশাসক দপ্তরে বার বার লিখিত আবেদন জানালেও কোন লাভ হয়নি l তাই একরাশ ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষেরা lBody:গ্রামবাসী সূর্যকান্ত মাহাতো, মিহির মাহাতো, পশুপতি মাহাতোরা জানান, "বীরচালি থেকে সেনাবনা হাটের মোড় পর্যন্ত কোনো রাস্তাই নেই l পায়ে হেটে জঙ্গল, মেঠো পথ দুটো নদী পেরিয়ে সেনাবনা পর্যন্ত পৌঁছাতে হয় সকলকে l স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্যাংক পোস্ট অফিস থেকে শুরু করে সমস্ত প্রয়োজনীয় অফিসে পৌঁছাতে হলে পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করতে হয় l এছাড়াও গ্রামে এখনও অবধি কোন চার চাকার গাড়িই ঢোকেনি l অসুস্থ মানুষদের, প্রসূতি ও গর্ভবতী মায়েদের দোলা করে দু দুটো নদী পার করিয়ে নিয়ে যেতে হয় 3 কিমি l এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে জেলাশাসক দপ্তর পর্যন্ত লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে l কিন্তু এখনও কোন কাজ হয়নি l"
Conclusion:এ বিষয়ে জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধক্য হলধর মাহাতো জানান, "রায়তি জমি সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় ওই গ্রামের রাস্তা এখনও করে ওঠে সম্ভব হয়নি l তবে বীরচালি থেকে সেনাবনা হাটের মোড় অবধি রাস্তাটি শীঘ্রই পরিদর্শনে যাবো l জমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে অবশ্যই রাস্তা ও সেতুর নির্মাণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি l"
Last Updated : Dec 13, 2019, 3:11 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.