ETV Bharat / state

কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পেল পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় - পুরুলিয়া

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বীকৃতি পেল পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা-আর্থিক উন্নয়নের জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকী এই মহামারীর সময়ে আদিবাসী মানুষদের সচেতনার কাজও করে যাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

Sidho-Kanho-Birsha University of Purulia got central recognition
Sidho-Kanho-Birsha University of Purulia got central recognition
author img

By

Published : Jun 13, 2020, 5:01 PM IST

Updated : Jun 13, 2020, 5:08 PM IST

কলকাতা, 13 জুন : একদিকে সমগ্র বিশ্ব COVID-19 এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। কথায় আছে, কোনও ভালো কাজ বৃথা যায় না। এক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। সম্প্রতি কোরোনা আবহে আদিবাসীদের নিয়ে করা কাজকর্মের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেল এই বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগে প্রকাশিত বুকলেটে প্রায় পাঁচপাতা জায়গা জুড়ে রয়েছে আদিবাসীদের নিয়ে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকলাপের তথ্য ও ছবি।

কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (DST) অধীনে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনোভেশন হাব রয়েছে। মোট 20টি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামকে টার্গেট করা হয়। বিগত এক বছর ধরে এই হাব থেকে গ্রামগুলির উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কোরোনা আবহে আদিবাসীদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইমিউন ভিলেজ তৈরি, যোগা প্রশিক্ষণ শিবির, আদিবাসীদের দিয়ে বনৌষধি ভিলেজ তৈরির লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি, তাঁদের মধ্যে COVID-19- স্বাস্থ্যবিধি, ব্যক্তিগত হাইজিন নিয়ে সচেতনতাও তৈরি করতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ত্রাণ সামগ্রী, মাস্ক, স্যানিটাইজারও বিলি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসীদের জন্য কাজ করার স্বীকৃতি পেল সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়।

COVID-19 সচেতনতায় সিডিউলড কাস্ট ও ট্রাইবের শক্তি এবং সহনশীলতা বৃদ্ধির কাজ নিয়ে একটি বুকলেট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের সিধো-কানহো-বিরসার কাজকর্মের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে প্রায় পাঁচ পাতা জুড়ে।

এ বিষয়ে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সারা ভারতবর্ষজুড়ে ST কমিউনিটির জন্য বিভিন্ন রকমের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্টারভেনশন প্রোগ্রাম চালাচ্ছে। ইস্টার্ন ইন্ডিয়াতে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় এই কাজটার জন্য দায়িত্ব পায় 2019 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। আমি উপাচার্য পদে যোগ দেওয়ার পর এই কাজটাকে আরও তরান্বিত করি। এই কাজটা চলছিল। তবে, নির্দিষ্টভাবে COVID-19 সময়কালে মহামারী পরিস্থিতিতে পুরুলিয়া জুড়ে প্রত্যেকটা ব্লকে SC/ST কমিউনিটির কাছে সচেতনতা, ইমিউনিটি, ত্রাণ, স্বাস্থ্য এই প্রত্যেকটা ইশু নিয়ে আমরা ফিল্ডে গিয়ে কাজ করেছি। আমাদের পুরুলিয়ায় যে পিছিয়েপড়া আদিবাসী জনজাতি রয়েছে তাঁদের কাছে এই প্রকল্পটা খুবই উপকারী।"

তাঁদের কাজের জন্য কেন্দ্রের স্বীকৃতি আগামীদিনে এই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মনে করছেন উপাচার্য। দীপক কর বলেন, "আমরা শুধু খুশি নই। আমরা মোটিভেটেড, ইন্সপায়ারড। যা আমাদের আগামী দিনে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও বেশি করে অনুপ্রেরণা যোগাবে।"

কলকাতা, 13 জুন : একদিকে সমগ্র বিশ্ব COVID-19 এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জেলার আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। কথায় আছে, কোনও ভালো কাজ বৃথা যায় না। এক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। সম্প্রতি কোরোনা আবহে আদিবাসীদের নিয়ে করা কাজকর্মের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেল এই বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিভাগে প্রকাশিত বুকলেটে প্রায় পাঁচপাতা জায়গা জুড়ে রয়েছে আদিবাসীদের নিয়ে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকলাপের তথ্য ও ছবি।

কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (DST) অধীনে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনোভেশন হাব রয়েছে। মোট 20টি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামকে টার্গেট করা হয়। বিগত এক বছর ধরে এই হাব থেকে গ্রামগুলির উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কোরোনা আবহে আদিবাসীদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইমিউন ভিলেজ তৈরি, যোগা প্রশিক্ষণ শিবির, আদিবাসীদের দিয়ে বনৌষধি ভিলেজ তৈরির লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে চলেছে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি, তাঁদের মধ্যে COVID-19- স্বাস্থ্যবিধি, ব্যক্তিগত হাইজিন নিয়ে সচেতনতাও তৈরি করতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে ত্রাণ সামগ্রী, মাস্ক, স্যানিটাইজারও বিলি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসীদের জন্য কাজ করার স্বীকৃতি পেল সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়।

COVID-19 সচেতনতায় সিডিউলড কাস্ট ও ট্রাইবের শক্তি এবং সহনশীলতা বৃদ্ধির কাজ নিয়ে একটি বুকলেট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের সিধো-কানহো-বিরসার কাজকর্মের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে প্রায় পাঁচ পাতা জুড়ে।

এ বিষয়ে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সারা ভারতবর্ষজুড়ে ST কমিউনিটির জন্য বিভিন্ন রকমের সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্টারভেনশন প্রোগ্রাম চালাচ্ছে। ইস্টার্ন ইন্ডিয়াতে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় এই কাজটার জন্য দায়িত্ব পায় 2019 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। আমি উপাচার্য পদে যোগ দেওয়ার পর এই কাজটাকে আরও তরান্বিত করি। এই কাজটা চলছিল। তবে, নির্দিষ্টভাবে COVID-19 সময়কালে মহামারী পরিস্থিতিতে পুরুলিয়া জুড়ে প্রত্যেকটা ব্লকে SC/ST কমিউনিটির কাছে সচেতনতা, ইমিউনিটি, ত্রাণ, স্বাস্থ্য এই প্রত্যেকটা ইশু নিয়ে আমরা ফিল্ডে গিয়ে কাজ করেছি। আমাদের পুরুলিয়ায় যে পিছিয়েপড়া আদিবাসী জনজাতি রয়েছে তাঁদের কাছে এই প্রকল্পটা খুবই উপকারী।"

তাঁদের কাজের জন্য কেন্দ্রের স্বীকৃতি আগামীদিনে এই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মনে করছেন উপাচার্য। দীপক কর বলেন, "আমরা শুধু খুশি নই। আমরা মোটিভেটেড, ইন্সপায়ারড। যা আমাদের আগামী দিনে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আরও বেশি করে অনুপ্রেরণা যোগাবে।"

Last Updated : Jun 13, 2020, 5:08 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.