পুরুলিয়া, 21 সেপ্টেম্বর: চার বছর আগে 2017 সালে সূচ দিয়ে শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছিল ৷ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত হোমগার্ড সনাতন ঠাকুর ও শিশুকন্যার মা মঙ্গলা গোস্বামীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করল আদালত। আজ পুরুলিয়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রমেশ কুমার প্রধানের এজলাসে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয় । গতকাল রায়দানের আগেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ধারা বিচার বিশ্লেষণ করে খতিয়ে দেখে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান সরকার পক্ষের আইনজীবী আনোয়ার আলি আনসারি ।
2017 সালের জুলাই মাসে সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যার উপর নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল ৷ তার শরীরে একাধিক সূচ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ বিষয়টি সামনে আসার পর মেয়েটিকে পুরুলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ পরে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটির মৃত্যু হয় ৷ পুরুলিয়া মফস্বল থানার নদীয়াড়া গ্রামের এই ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল গোটা রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশে । দীর্ঘ চার বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর পুরুলিয়া জেলা আদালতের বিচারক রমেশ কুমার প্রধান দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ার সূচ দিয়ে শিশুকন্যা খুনের মামলায় রায়দান স্থগিত, আগামিকাল সাজা ঘোষণা
গতকাল আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন শিশুকন্যার মা মঙ্গলা গোস্বামী ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেছিলেন তিনি । অন্যদিকে মূল অপরাধী সনাতন ঠাকুরও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন । গতকাল মামলার রায়দানের কথা থাকলেও পরে তা মঙ্গলবার করা হয় ৷ সেই অনুযায়ী আজ রায়দান করে আদালত ৷
সরকারি আইনজীবী আনোয়ার আলি আনসারি জানান, দু‘জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার পাশাপাশি ওদের 50 হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক ৷ 90 দশকের পর পুরুলিয়া জেলা আদালতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হল ৷