পুরুলিয়া, 13 জুলাই : ছেলে ও বউয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেয়ে আদালতে বৃদ্ধা । ঘটনা পুরুলিয়ার বাগদা গ্রামের । অভিযুক্ত ছেলে সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় শিক্ষক । তাঁর স্ত্রীর নাম শ্রাবণী । অভিযোগ করা হয়েছে পরিচারিকা সনকা বাউরীর বিরুদ্ধেও । বৃদ্ধার অভিযোগ, 22 বছর ধরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত ছেলে ও বউমা । বৃদ্ধার দাবি, স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি । অবশেষে পুরুলিয়া জেলা আদালতে গেলেন নির্যাতিতা মা 76 বছরের প্রভাতী বন্দ্যোপাধ্যায় ।
প্রভাতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, "22 বছর আগে স্বামী চণ্ডীদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় । তিনি পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন । স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে সুকুমার সেই চাকরি পান । চাকরি পাওয়ার পর ছেলে বিয়ে করে । বৃদ্ধার দাবি, তারপরই বদলে যায় সবকিছু । ছেলে ও ছেলের বউ দু'জনে মিলে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু করে । লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে, গরম তেল ছিটিয়ে দেয় মায়ের শরীরে । কোনও কোনও দিন খালি পেটেও থাকতে হয়েছিল । তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর দুই বিবাহিত মেয়েকে বাড়িতে ঢুকতে দেয় না ছেলে । বউমা শ্রাবণী বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিতে থাকে । তখনই পুঞ্চা থানায় অভিযোগ করেন বৃদ্ধা । কিন্তু, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদালতে যান তিনি ।
বৃদ্ধার আইনজীবী অমিয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শিক্ষক সমাজ গড়ার কারিগর, কিন্তু সেই শিক্ষক ছেলের এই আচরণ কাম্য নয় । বৃদ্ধা যাতে আইনগত সাহায্য পান তার সব চেষ্টা করব ।" অভিযুক্ত ছেলেকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি ।