পুরুলিয়া, 29 মার্চ : ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের মামলার (Tapan Kandu murder case) শুনানিতে মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ পুলিশের কাছ থেকে এই খুনের তদন্তের কেস ডায়েরি তলব করার পাশাপাশি, তপন কান্দুর স্ত্রী ও ভাইপোকে নিরাপত্তা দেওয়ারও নির্দেশও পুলিশকে দিয়েছে হাইকোর্ট ৷ পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারকে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশে খুশি তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু (Mithun Kandu, nephew of Tapan Kandu) ৷
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এদিন মিঠুন বলেন, " প্রাণ ভয়ে তো আছিই । কেননা আমাদের অভিভাবককেই তো মেরে দেওয়া হল । আপাতত হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তে আমি খুশি ।" অন্যদিকে, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, "এখনও হাইকোর্টের অর্ডার কপি পাইনি ।" উল্লেখ্য, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে চাপ দিতে তাঁর ভাইপো মিঠুনকেই ফোন করতেন ঝালদা থানার আইসি, এমনটাই অভিযোগ ৷ এই সংক্রান্ত অডিয়ো টেপ ও ভাইরাল হয় ৷ এই টেপের সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
আরও পড়ুন : কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় পুলিশের কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের
পৌর নির্বাচনের ফল প্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যেই চলতি মাসে গুলি করে খুন করা হয় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে ৷ ঝালদা পৌরসভার ফল ত্রিশঙ্কু হয়েছিল ৷ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু । এই মামলার শুনানি এখনও চলছে হাইকোর্টে ৷ তার মধ্যেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ৷