ETV Bharat / state

14 বছর বন্ধ মিড ডে মিল, আবর্জনার জন্য চালু হয়নি স্কুলের নতুন ভবন - পুরুলিয়া

নতুন ভবন থাকলেও, আবর্জনা পেরিয়ে সেখানে যাওয়া অসম্ভব । তাই স্কুল বসে পুরানো অ্যাসবেসটসের ছাউনির নিচে । অন্যদিকে, স্থানাভাবের জেরে 14 বছর ধরে বন্ধ মিড ডে মিল । অভিযোগ, প্রশাসনকে জানানো হলেও, নেওয়া হয়নি কোনও পদক্ষেপ ।

প্রাথমিক স্কুল
author img

By

Published : Aug 28, 2019, 7:59 PM IST

Updated : Aug 28, 2019, 8:36 PM IST

পুরুলিয়া, 28 অগাস্ট : বছর দশেক আগে তৈরি হয়েছিল স্কুলের নতুন ভবন, শৌচালয় । কিন্তু, পাহারপ্রমাণ আবর্জনার স্তুপ পেরিয়ে সেখানে ক্লাস করতে যাওয়া অসম্ভব । তাই সেই ভবন আজও খোলেনি, খোলেনি শৌচলায় । ফলে পুরানো ঘরেই চলছে স্কুল । পুরুলিয়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধবঘাটা রেণীরোড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্রটা এরকমই । এখানেই শেষ নয়, স্থানাভাবে বন্ধ স্কুলের মিড ডে মিলও । সব জেনেও নাকি প্রশাসন নির্বিকার, অভিযোগ অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের ।

1958 সালে শুরু হয়েছিল ধবঘাটা রেণীরোড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পথ চলা । স্থানাভাবের ফলে প্রথমে স্কুল সংলগ্ন মন্দির চত্বরে হত মিড মিলের রান্না । কিন্তু, 2005 সালে মন্দির চত্বর নোংরা হওয়ার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়দের একাংশ । তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মিড ডে মিল ।

school
অ্যাসবেসটসের ছাউনির নিচেই চলে ক্লাস

মিড ডে মিল বন্ধের কথা স্বীকার করেছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পার্থ চৌধুরি । বলেন, "আমি স্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর 2009 সালে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্কুলে মিড ডে মিলের জন্য জায়গা অনুমোদিত করে । জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে ফের মিড-ডে-মিল চালু করার আর্জি জানানো হয় । তিনি আশ্বাসও দেন । কিন্তু, ওই পর্যন্তই । কাজ হয়নি এতটুকুও ।"

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

অন্যদিকে, স্কুলের ভবনেও সমস্যা রয়েছে । শুরু থেকেই অ্যাসবেস্টসের চালের নিচে চলত স্কুল । 2009 সালে সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে তৈরি হয় নতুন ভবন ও শৌচালয় । কিন্তু, সেই ভবনে ক্লাস হয়নি একদিনও । এবিষয়ে স্কুলের শিক্ষক অর্প দাঁ বলেন, "বিদ্যালয়ের চারিদিকে আবর্জনার স্তুপ । নতুন ভবন তৈরি হলেও চারিদিকে এত নোংরা যে তা পেরিয়ে ক্লাস করানো অসম্ভব । তা ছাড়া শৌচালয় থাকলেও সামনে আবর্জনা থাকায় তা ব্যবহারের অযোগ্য । শুধু তাই নয়, স্কুলে একটি মাত্র নলকূপ যার জল পানের অযোগ্য ।"

মিড-ডে মিল আর ভবনের সমস্যাই শেষ নয় । এক অভিভাবকের অভিযোগ, ছুটির পর থেকেই স্কুল চত্বরে বসে মদ ও জুয়ার আড্ডা । যেখানে সেখানে পড়ে থাকে মদের বোতল ।

খুদে পড়ুয়ার গলায় ঝড়ে পড়ল এক বুক অভিমান - "সব স্কুলেই তো খাবার দেয়, শুধু আমরাই পাই না ।"

পুরুলিয়া, 28 অগাস্ট : বছর দশেক আগে তৈরি হয়েছিল স্কুলের নতুন ভবন, শৌচালয় । কিন্তু, পাহারপ্রমাণ আবর্জনার স্তুপ পেরিয়ে সেখানে ক্লাস করতে যাওয়া অসম্ভব । তাই সেই ভবন আজও খোলেনি, খোলেনি শৌচলায় । ফলে পুরানো ঘরেই চলছে স্কুল । পুরুলিয়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ধবঘাটা রেণীরোড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্রটা এরকমই । এখানেই শেষ নয়, স্থানাভাবে বন্ধ স্কুলের মিড ডে মিলও । সব জেনেও নাকি প্রশাসন নির্বিকার, অভিযোগ অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের ।

1958 সালে শুরু হয়েছিল ধবঘাটা রেণীরোড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পথ চলা । স্থানাভাবের ফলে প্রথমে স্কুল সংলগ্ন মন্দির চত্বরে হত মিড মিলের রান্না । কিন্তু, 2005 সালে মন্দির চত্বর নোংরা হওয়ার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়দের একাংশ । তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় মিড ডে মিল ।

school
অ্যাসবেসটসের ছাউনির নিচেই চলে ক্লাস

মিড ডে মিল বন্ধের কথা স্বীকার করেছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পার্থ চৌধুরি । বলেন, "আমি স্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার পর 2009 সালে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্কুলে মিড ডে মিলের জন্য জায়গা অনুমোদিত করে । জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে ফের মিড-ডে-মিল চালু করার আর্জি জানানো হয় । তিনি আশ্বাসও দেন । কিন্তু, ওই পর্যন্তই । কাজ হয়নি এতটুকুও ।"

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য

অন্যদিকে, স্কুলের ভবনেও সমস্যা রয়েছে । শুরু থেকেই অ্যাসবেস্টসের চালের নিচে চলত স্কুল । 2009 সালে সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে তৈরি হয় নতুন ভবন ও শৌচালয় । কিন্তু, সেই ভবনে ক্লাস হয়নি একদিনও । এবিষয়ে স্কুলের শিক্ষক অর্প দাঁ বলেন, "বিদ্যালয়ের চারিদিকে আবর্জনার স্তুপ । নতুন ভবন তৈরি হলেও চারিদিকে এত নোংরা যে তা পেরিয়ে ক্লাস করানো অসম্ভব । তা ছাড়া শৌচালয় থাকলেও সামনে আবর্জনা থাকায় তা ব্যবহারের অযোগ্য । শুধু তাই নয়, স্কুলে একটি মাত্র নলকূপ যার জল পানের অযোগ্য ।"

মিড-ডে মিল আর ভবনের সমস্যাই শেষ নয় । এক অভিভাবকের অভিযোগ, ছুটির পর থেকেই স্কুল চত্বরে বসে মদ ও জুয়ার আড্ডা । যেখানে সেখানে পড়ে থাকে মদের বোতল ।

খুদে পড়ুয়ার গলায় ঝড়ে পড়ল এক বুক অভিমান - "সব স্কুলেই তো খাবার দেয়, শুধু আমরাই পাই না ।"

Intro:পুরুলিয়া : মিড-ডে-মিলের মেনু বেঁধে দিয়েছে সরকার l কিন্তু তাতে এই স্কুলের কিছু যায় আসে না l কারণ 2005 সাল থেকে দীর্ঘ 14 বছর মিড-ডে-মিল হয়নি বিদ্যালয়ে l মিশন নির্মল বাংলাকে ব্যঙ্গ করে স্কুলের চারপাশে শুধুই আবর্জনা l সেই আবর্জনার পাহাড় ডিঙিয়ে শৌচালয় অবধি যেতে পারে না ছাত্র-ছাত্রীরা l ফলে উদ্বোধনের পর থেকেই তালাবন্ধ শৌচালয় l এখানেই থেমে নেই সমস্যা, 2009 সালে শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করেছিল সর্বশিক্ষা মিশন l সে কক্ষ দুটি নির্বাচনের সময় ছাড়া খোলা হয় না l দীর্ঘদিন ধরে শহর পুরুলিয়ার বুকে 16 নম্বর ওয়ার্ডের ধবঘাটা এলাকায় প্রকাশ্য রাস্তার ধারে এভাবেই চলছে রেনিরোড প্রাথমিক বিদ্যালয় l তপসীলি জাতি ও উপজাতি এলাকার এই স্কুলে সমস্যা অনেক, ক্ষোভ প্রশাসনের বিরুদ্ধে lBody:এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পার্থ চৌধুরী মিড-ডে-মিল বন্ধ রাখার কথা স্বীকার করে জানান, "2005 সাল থেকেই বিদ্যালয়ে মিড-ডে-মিল বন্ধ রান্না বন্ধ রয়েছে l তার আগে যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন তার উপস্থিতিতে মিড-ডে-মিল রান্না হত l কিন্তু বিদ্যালয়ের জায়গা না থাকায় সেই রান্না হত মন্দিরে l পরে বাসিন্দারা যাতে মন্দির চত্বর নোংরা না তার জন্য সেখানে মিড-ডে-মিল রান্না না করার আর্জি জানায় l তারপর থেকে আজও মিড-ডে-মিল রান্না হয়নি বিদ্যালয়ে l তবে আমি বিদ্যালয়ের দায়িত্ব আসার পর 2009 সালে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই বিদ্যালয়ের নামে জায়গা সেনসন করে l সেই সময়ই DI-এর নিকট মিড-ডে-মিল চালু করার আর্জি জানানো হয় l একইসঙ্গে বিদ্যালয়ে দেওয়াল নির্মাণের আবেদন জানানো হয় l পরে ডিআই নিজে এই স্কুল পরিদর্শনে এসে শীঘ্রই মিড-ডে-মিল চালু করা এবং দেওয়াল নির্মাণের আশ্বাস দেন l কিন্তু আজও কোনো কিছুই হয়নি l বর্তমানে বিদ্যালয়ে 41 জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে l পরে বার বার জেলা প্রশাসন এবং ডিআই-এর নিকট আবেদন জানানো হয় l কিন্তু কোনো লাভ না হওয়ায় আমরাও হাত গুটিয়ে নিয়েছি l"

আবার স্কুলের আরেক শিক্ষক অর্প দাঁ জানান, "বিদ্যালয়ে চারিদিকে আবর্জনার স্তুপে ভর্তি l একটি মাত্র নলকূপ, সেটির জল পানের অযোগ্য l স্কুল চত্বরে রয়েছে বড়ো বড়ো নোংরা ডোবা l সেইগুলিতে মশা মাছির উপদ্রবও রয়েছে l ফলে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আতঙ্কেও থাকতে হয় l শৌচালয় থাকলেও আবর্জনার পাহাড় ডিঙিয়ে যাওয়া যায় না l একটি নতুন স্কুল ভবন তৈরী হলেও তার চারপাশে এতো নোংরা পরিবেশ রয়েছে যে স্কুলে ক্লাস করানো মুশকিল l তাই বাধ্য হয়ে রাস্তার ধারের এসবেস্টাসের দুটি রুম রয়েছে সেখানে ক্লাস করাতে হয় l এতসব সমস্যা সত্ত্বেও প্রশাসনের নজর নেই l বার বার আবেদন জানানোর পরে তারা শুধু আশ্বাসই দিয়ে চলেছেন l"Conclusion:অভিভাবক তথা এলাকার বাসিন্দা মালতি কালিন্দী জানান, "ছেলেমেয়েরা বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে যায় l পরে জল তেষ্টা পেলে কিংবা স্কুলের টিফিন টাইমে বাড়ি থেকেই খেয়ে যায় l তাই বিদ্যালয়ে মিড-ডে-মিল চালু হলে খুবই ভালো হয় l" তবে তিনি জানান স্কুল ছুটি হয়ে গেলেই বিদ্যালয় চত্বরে মদের আড্ডা এবং জুয়ার আড্ডা বসে l যেখানে সেখানে মদের বোতল কিংবা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে l তাই বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি দিলে এই সমস্যা হবে না l"

খুদে পড়ুয়ারা জানায়, "প্রতিটি স্কুলে খাবার দিচ্ছে, শুধু আমরাই পাই না l তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকেই খেয়ে আসি এবং জল সঙ্গে নিয়ে আসি l আমরা চাই আমাদেরকেও খাবার দেওয়া হোক l" আশ্চর্যের বিষয় এই স্কুলটির কথা জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানতেনই না l গোটা জেলায় প্রশাসনিক কর্তারা মঙ্গলবার থেকেই শুরু করেছেন স্কুলে স্কুলে গিয়ে মিড-ডে-মিল সমীক্ষার কাজ l যাচ্ছেন জেলাশাসকও l অথচ শহর পুরুলিয়ার বুকেই এতবছর বন্ধ রয়েছে মিড-ডে-মিল l তিনি বলেন, "স্কুলে না গেলে বোঝা যাবে না সমস্যা কোথায় l অবিলম্বে মিড-ডে-মিল চালু করার আশ্বাস দেন তিনি l
Last Updated : Aug 28, 2019, 8:36 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.