ETV Bharat / state

Mamata Benerjee Advice : 'এত্ত বড় ভুঁড়ি ! পকোড়া খাওয়া কমান', ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যানকে পরামর্শ মমতার - ভুঁড়ি কমানোর পরামর্শ মমতার

সোমবার পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee at Administrative Review Meeting)

Mamata Benerjee Advice to jhalda municipality chairman
ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যানকে ভুঁড়ি কমানোর পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
author img

By

Published : May 30, 2022, 10:23 PM IST

পুরুলিয়া, 30 মে : শুক্রবার পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে (CM Mamata Banerjee at Administrative Review Meeting) কিছুটা অন্য মেজাজে দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ এদিন ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর ভুড়ি দেখে অবাক হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ বলে বসেন, "আপনার ভুঁড়ি যে ভাবে বাড়ছে এ তো যে কোনও দিন ব্লক করে যাবেন আপনি ৷ আপনার লিভারে সমস্যা আছে, নিশ্চই কিছু তো আছে না হলে এত বড় মধ্যপ্রদেশ হল কী করে ? হাঁটাহাঁটি করেন ?" ৷

হল ভর্তি জেলা ও রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তা, পুলিশ আধিকারিকদের সামনে এই প্রশ্ন শুনে অস্বস্তিতে পড়ে যান ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান ৷ আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলেন, "ব্লক হবে না দিদি ৷ শোনেন দিদি, না তো আমার সুগার আছে না প্রেসার ৷ একটাও মেডিসিন লাগে না এখনও পর্যন্ত ৷ এটা রেকর্ড ৷ রোজ ব্যায়াম করি একঘণ্টা ৷" এরপরেই এই ভুঁড়ির রহস্য ভেদ করে সুরেশ আগরওয়ালের স্বীকারোক্তি, "পকোড়া, তেলেভাজা এগুলো বেশি খাওয়া হয়ে যায় ৷ সকালে যেমন পকোড়া যেমন খাবই খাব ম্যাডাম ৷ ছোট থেকে অভ্যাস হয়ে আছে ৷ কিন্তু রোজ ব্যায়াম করি ৷ প্রাণায়াম করি ৷ রোজ দেড় ঘণ্টা ব্যায়াম করি ৷ "

আরও পড়ুন : 100 দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকেও সরব মুখ্যমন্ত্রী

কিন্তু তাঁর এই উত্তর যেন অস্ত্র তুলে দেয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ৷ হাসতে হাসতেই মমতা পাল্টা বলতে থাকেন, "কেন সকালে পকোড়া খাবেন ? ও খেলে কোনওদিন ভুঁড়ি কমবে না ৷ কী কী ব্যায়াম করেন আমায় একটু করে দেখান তো ! প্রাণায়ামে তো আপনার ভুঁড়ি কমবে না ৷ কী কী প্রাণায়াম করেন দেখান তো আমায় ৷" এরপরেই কপালভাতি করে দেখান সুরেশ ! জানান, তিনি দিনে এক হাজার বার কপালভাতি করেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর জবাব, "ও তো কপালভাতি ! এক হাজার বার করেন ! এ হতে পারে না! এখানে এসে এক হাজার বার করে দেখান, আমি 10 হাজার টাকা দেব ৷ আপনি একহাজার বার করলে ভুঁড়ির এরকম অবস্থা হতো না ৷ আপনি শ্বাস নিঃশ্বাস টানেন না ৷ শুধু ভুঁড়ি নাচান ৷ কোনখান দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়, ছাড়তে হয় তা আপনি জানেন না ৷"

এরপর কথা প্রসঙ্গে বেরিয়ে আসে ঝালদার পৌরপ্রধানের ওজন 125 কেজি ৷ শুনেই হেসে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বলেন, "125 ! আপনি বরং ব্যায়াম বন্ধ করে পকোড়া খাওয়া কমান, ভুঁড়ি কমে যাবে ৷ একমাস সেদ্ধ ভাত খান ৷ রাতে খাওয়ার পর 1 কিমি হাঁটবেন ৷ 12 ঘণ্টার মধ্যে আর কিছু খাবেন না ৷ আমি কিন্তু নজর রাখব, দেখব আপনি কেমন মানছেন ৷"

পুরুলিয়া, 30 মে : শুক্রবার পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে (CM Mamata Banerjee at Administrative Review Meeting) কিছুটা অন্য মেজাজে দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ এদিন ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর ভুড়ি দেখে অবাক হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী ৷ বলে বসেন, "আপনার ভুঁড়ি যে ভাবে বাড়ছে এ তো যে কোনও দিন ব্লক করে যাবেন আপনি ৷ আপনার লিভারে সমস্যা আছে, নিশ্চই কিছু তো আছে না হলে এত বড় মধ্যপ্রদেশ হল কী করে ? হাঁটাহাঁটি করেন ?" ৷

হল ভর্তি জেলা ও রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তা, পুলিশ আধিকারিকদের সামনে এই প্রশ্ন শুনে অস্বস্তিতে পড়ে যান ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান ৷ আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলেন, "ব্লক হবে না দিদি ৷ শোনেন দিদি, না তো আমার সুগার আছে না প্রেসার ৷ একটাও মেডিসিন লাগে না এখনও পর্যন্ত ৷ এটা রেকর্ড ৷ রোজ ব্যায়াম করি একঘণ্টা ৷" এরপরেই এই ভুঁড়ির রহস্য ভেদ করে সুরেশ আগরওয়ালের স্বীকারোক্তি, "পকোড়া, তেলেভাজা এগুলো বেশি খাওয়া হয়ে যায় ৷ সকালে যেমন পকোড়া যেমন খাবই খাব ম্যাডাম ৷ ছোট থেকে অভ্যাস হয়ে আছে ৷ কিন্তু রোজ ব্যায়াম করি ৷ প্রাণায়াম করি ৷ রোজ দেড় ঘণ্টা ব্যায়াম করি ৷ "

আরও পড়ুন : 100 দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকেও সরব মুখ্যমন্ত্রী

কিন্তু তাঁর এই উত্তর যেন অস্ত্র তুলে দেয় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ৷ হাসতে হাসতেই মমতা পাল্টা বলতে থাকেন, "কেন সকালে পকোড়া খাবেন ? ও খেলে কোনওদিন ভুঁড়ি কমবে না ৷ কী কী ব্যায়াম করেন আমায় একটু করে দেখান তো ! প্রাণায়ামে তো আপনার ভুঁড়ি কমবে না ৷ কী কী প্রাণায়াম করেন দেখান তো আমায় ৷" এরপরেই কপালভাতি করে দেখান সুরেশ ! জানান, তিনি দিনে এক হাজার বার কপালভাতি করেন ৷ সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর জবাব, "ও তো কপালভাতি ! এক হাজার বার করেন ! এ হতে পারে না! এখানে এসে এক হাজার বার করে দেখান, আমি 10 হাজার টাকা দেব ৷ আপনি একহাজার বার করলে ভুঁড়ির এরকম অবস্থা হতো না ৷ আপনি শ্বাস নিঃশ্বাস টানেন না ৷ শুধু ভুঁড়ি নাচান ৷ কোনখান দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়, ছাড়তে হয় তা আপনি জানেন না ৷"

এরপর কথা প্রসঙ্গে বেরিয়ে আসে ঝালদার পৌরপ্রধানের ওজন 125 কেজি ৷ শুনেই হেসে ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ বলেন, "125 ! আপনি বরং ব্যায়াম বন্ধ করে পকোড়া খাওয়া কমান, ভুঁড়ি কমে যাবে ৷ একমাস সেদ্ধ ভাত খান ৷ রাতে খাওয়ার পর 1 কিমি হাঁটবেন ৷ 12 ঘণ্টার মধ্যে আর কিছু খাবেন না ৷ আমি কিন্তু নজর রাখব, দেখব আপনি কেমন মানছেন ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.