ETV Bharat / state

নিভতে বসেছে হাজার বছরের দেউল, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

দেউলঘাটার 70 থেকে 80 ফুট উঁচু দেউলগুলিতে রয়েছে প্রাচীন শিবলিঙ্গ, দুর্গা, গণেশের মূর্তি ৷ দেউলঘাটার সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশও মন কাড়ে পর্যটকদের ৷ সেই ঐতিহাসিক পর্যটনস্থল আজ ধ্বংসের মুখে ৷

s
s
author img

By

Published : Jul 2, 2021, 9:12 AM IST

পুরুলিয়া, 2 জুলাই : জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান ৷ 1 হাজার বছরের পুরনো দেউল বা বৌদ্ধ মন্দির ৷ অনেকের মতে, পাল বা সেন আমলের স্থাপত্য ৷ পুরুলিয়ার জয়পুরের কাছে আড়ষা থানা এলাকার সেই দেউলঘাটা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ জরাজীর্ণ ৷ ধ্বংসের মুখে ৷

দেউলঘাটার 70 থেকে 80 ফুট উঁচু দেউলগুলিতে রয়েছে প্রাচীন শিবলিঙ্গ ৷ দুর্গা, গণেশের মূর্তি ৷ দেউলের প্রবেশ দ্বার অভিনব ত্রিকোণ আকৃতির ৷ দেউলঘাটার সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশ মন কাড়ে পর্যটকদের ৷ পাশ দিয়ে বইছে কংসাবতী ৷

মেরামতি প্রয়োজন ৷ অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে দৈউলঘাটা ৷ বলছেন স্থানীয়রা ৷ জয়পুর শহরের বাসিন্দা হেমন্ত মাহাত বলেন, "আগে এখানে তিনটে বড় মাপের দেউল ছিল ৷ এখন দুটো আছে ৷ এগুলোর মেরামতি প্রয়োজন ৷ অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ৷"

বুদ্ধের আমলের নির্মাণ ৷ বলছেন দেউলাঘাটা চত্বরের বাসিন্দা তনুশ্রী মুখোপাধ্যায় ৷ তাঁর কথায়, "গৌতম বুদ্ধের আমলে তৈরি দেউলঘাটা ৷ মকর সংক্রান্তি আর চৈত্র বারুণীর সময় মেলা বসে ৷ প্রচুর মানুষের সমাগম হয় ৷ সরকারের অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছে ৷ প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ ৷"

দেউলের পূজারী গুপেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , "প্রতিদিনই পর্যটক আসেন ৷ কলকাতা, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকেও লোক আসেন ৷ অনেকে পুজো দিতে আসেন ৷ বিবাহ অনুষ্ঠানও হয় মন্দিরে ৷"

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ দেউলঘাটা

আরও পড়ুন: ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে নিবিড় যোগ, ধ্বংসের মুখে রায়পুর রাজবাড়ি

এত ইতিহাস, ঐতিহ্য আজ যেন মৃত্যুপথযাত্রী ! ভরসার কথা, রাজনৈতিক আকচাআকচির প্রসঙ্গ টেনেও দেউলঘাটা বাঁচানোর চেষ্টা করবেন, জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক ৷ বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতো বলেন, "দেউলঘাটাকে বাঁচানোর জন্যে আমি সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ৷ আগে সাংসদ থাকাকালীন সংস্কারের চেষ্টা করেছিলাম ৷"

আরও পড়ুন: ডাকছে পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটক টানতে উদ্যোগ

জেলার সরকারি ওয়েবসাইটে পুরুলিয়ার উল্লেখযোগ্য পর্যটনস্থলগুলির মধ্যে জ্বলজল করছে দেউলঘাটার নাম ৷ অথচ অনুজ্জ্বল অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে সেই ইতিহাস ৷ ছবিটা বদলাতে পারে একমাত্র সরকারি উদ্যোগেই-- মত সাধারণের ৷

পুরুলিয়া, 2 জুলাই : জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান ৷ 1 হাজার বছরের পুরনো দেউল বা বৌদ্ধ মন্দির ৷ অনেকের মতে, পাল বা সেন আমলের স্থাপত্য ৷ পুরুলিয়ার জয়পুরের কাছে আড়ষা থানা এলাকার সেই দেউলঘাটা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ জরাজীর্ণ ৷ ধ্বংসের মুখে ৷

দেউলঘাটার 70 থেকে 80 ফুট উঁচু দেউলগুলিতে রয়েছে প্রাচীন শিবলিঙ্গ ৷ দুর্গা, গণেশের মূর্তি ৷ দেউলের প্রবেশ দ্বার অভিনব ত্রিকোণ আকৃতির ৷ দেউলঘাটার সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশ মন কাড়ে পর্যটকদের ৷ পাশ দিয়ে বইছে কংসাবতী ৷

মেরামতি প্রয়োজন ৷ অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে দৈউলঘাটা ৷ বলছেন স্থানীয়রা ৷ জয়পুর শহরের বাসিন্দা হেমন্ত মাহাত বলেন, "আগে এখানে তিনটে বড় মাপের দেউল ছিল ৷ এখন দুটো আছে ৷ এগুলোর মেরামতি প্রয়োজন ৷ অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ৷"

বুদ্ধের আমলের নির্মাণ ৷ বলছেন দেউলাঘাটা চত্বরের বাসিন্দা তনুশ্রী মুখোপাধ্যায় ৷ তাঁর কথায়, "গৌতম বুদ্ধের আমলে তৈরি দেউলঘাটা ৷ মকর সংক্রান্তি আর চৈত্র বারুণীর সময় মেলা বসে ৷ প্রচুর মানুষের সমাগম হয় ৷ সরকারের অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছে ৷ প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিৎ ৷"

দেউলের পূজারী গুপেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , "প্রতিদিনই পর্যটক আসেন ৷ কলকাতা, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকেও লোক আসেন ৷ অনেকে পুজো দিতে আসেন ৷ বিবাহ অনুষ্ঠানও হয় মন্দিরে ৷"

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ দেউলঘাটা

আরও পড়ুন: ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে নিবিড় যোগ, ধ্বংসের মুখে রায়পুর রাজবাড়ি

এত ইতিহাস, ঐতিহ্য আজ যেন মৃত্যুপথযাত্রী ! ভরসার কথা, রাজনৈতিক আকচাআকচির প্রসঙ্গ টেনেও দেউলঘাটা বাঁচানোর চেষ্টা করবেন, জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক ৷ বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতো বলেন, "দেউলঘাটাকে বাঁচানোর জন্যে আমি সব রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ৷ আগে সাংসদ থাকাকালীন সংস্কারের চেষ্টা করেছিলাম ৷"

আরও পড়ুন: ডাকছে পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পর্যটক টানতে উদ্যোগ

জেলার সরকারি ওয়েবসাইটে পুরুলিয়ার উল্লেখযোগ্য পর্যটনস্থলগুলির মধ্যে জ্বলজল করছে দেউলঘাটার নাম ৷ অথচ অনুজ্জ্বল অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে সেই ইতিহাস ৷ ছবিটা বদলাতে পারে একমাত্র সরকারি উদ্যোগেই-- মত সাধারণের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.