ETV Bharat / state

হাজারও মৃতের নাম ও তাদের মৃত্যুদিন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে 'পঞ্জিকা সেতু' - পঞ্জিকা সেতু

কংসাবতী নদীর উপর অবস্থিত 'পঞ্জিকা সেতু' । তার ঠিক নিচেই রয়েছে শ্মশান ঘাট । মৃত ব্যক্তিদের নাম ও তারিক সেতুর দেওয়ালের গায়ে পোড়া কাঠের আংরা, সিঁদুর অথবা গাছের পাতা বা পোড়া মাটি দিয়ে লেখা হয় । তবে এই ঘটনার সঠিক কোনও নিয়ম নেই ।

BRIDGE
author img

By

Published : Sep 10, 2019, 8:33 PM IST

Updated : Sep 10, 2019, 9:57 PM IST

পুরুলিয়া, 10 সেপ্টেম্বর : সেতুর দেওয়ালে খোদাই একের পর এক মানুষের নাম ও তাঁদের মৃত্যুদিন । পুরুলিয়ার আড়ষা ও জয়পুর থানার সংযোগস্থলে অবস্থিত দেউলঘাটা সেতু । দূর থেকে এই সেতুর পিলারের দিকে তাকালে মনে হয় যেন সেতুর দেওয়ালে আঁকা রয়েছে একাধিক ছবি । কিন্তু সামনে গেলেই ধরা পড়ে আসল ব্যাপার । ছবি নয়, সেতুর পিলার জুড়ে লেখা রয়েছে মৃত ব্যক্তিদের নাম ও তাঁদের মৃত্যুর তারিখ । কারও মৃত্যুর পর সেই দিনটিকে মনে রাখার জন্য মৃতের আত্মীয়রা এই 'পঞ্জিকা সেতু'-র দেওয়ালে লিখে রাখেন মৃতের নাম ও তাঁর মৃত্যুদিন । হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে এই প্রথা মেনে আসছে পুরুলিয়ার বাসিন্দারা।

শুনুন বক্তব্য

কংসাবতী নদীর উপর অবস্থিত এই 'পঞ্জিকা সেতু' । তার ঠিক নিচেই রয়েছে শ্মশান ঘাট । সামনেই রয়েছে প্রায় 1400 বছরের প্রাচীন পোড়া মাটির তৈরি বিখ্যাত দেউলঘাটা মন্দির । কথিত আছে, এইখানে দেহ সৎকার হলে স্বর্গপ্রাপ্তি হয় । আর এই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরেই হিন্দু-মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মৃত ব্যক্তিদের দেহ সৎকার করা হয় দেউলঘাটা সেতুর নিচের শ্মশানঘাটে । তাদের নাম ও মৃত্যুর তারিখ সেতুর দেওয়ালের গায়ে পোড়া কাঠের আংরা, সিঁদুর অথবা গাছের পাতা বা পোড়া মাটি দিয়ে লেখা হয় । তবে এই ঘটনার সঠিক কোনও নিয়ম নেই ।

এপ্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা হরেন্দ্রনাথ মাহাত ও হানিফ আনসারি জানান, এলাকার কারও মৃত্যু হলে এই দেউলঘাটা সেতুর নিচেই দেহ সৎকার করা হয় । আর তারপরই এই সেতুর দেওয়ালে মৃত ব্যক্তির নাম ও মৃত্যুর তারিখ লিখে দেওয়া হয় । এরপর বছর পেরোলে ওই ব্যক্তির মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয় এই স্থানেই । পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার কে কবে মারা গিয়েছিল, এই সেতুর দেওয়াল থেকেই তার একটি খতিয়ান পাওয়া যায় ।

পুরুলিয়া, 10 সেপ্টেম্বর : সেতুর দেওয়ালে খোদাই একের পর এক মানুষের নাম ও তাঁদের মৃত্যুদিন । পুরুলিয়ার আড়ষা ও জয়পুর থানার সংযোগস্থলে অবস্থিত দেউলঘাটা সেতু । দূর থেকে এই সেতুর পিলারের দিকে তাকালে মনে হয় যেন সেতুর দেওয়ালে আঁকা রয়েছে একাধিক ছবি । কিন্তু সামনে গেলেই ধরা পড়ে আসল ব্যাপার । ছবি নয়, সেতুর পিলার জুড়ে লেখা রয়েছে মৃত ব্যক্তিদের নাম ও তাঁদের মৃত্যুর তারিখ । কারও মৃত্যুর পর সেই দিনটিকে মনে রাখার জন্য মৃতের আত্মীয়রা এই 'পঞ্জিকা সেতু'-র দেওয়ালে লিখে রাখেন মৃতের নাম ও তাঁর মৃত্যুদিন । হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে এই প্রথা মেনে আসছে পুরুলিয়ার বাসিন্দারা।

শুনুন বক্তব্য

কংসাবতী নদীর উপর অবস্থিত এই 'পঞ্জিকা সেতু' । তার ঠিক নিচেই রয়েছে শ্মশান ঘাট । সামনেই রয়েছে প্রায় 1400 বছরের প্রাচীন পোড়া মাটির তৈরি বিখ্যাত দেউলঘাটা মন্দির । কথিত আছে, এইখানে দেহ সৎকার হলে স্বর্গপ্রাপ্তি হয় । আর এই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরেই হিন্দু-মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মৃত ব্যক্তিদের দেহ সৎকার করা হয় দেউলঘাটা সেতুর নিচের শ্মশানঘাটে । তাদের নাম ও মৃত্যুর তারিখ সেতুর দেওয়ালের গায়ে পোড়া কাঠের আংরা, সিঁদুর অথবা গাছের পাতা বা পোড়া মাটি দিয়ে লেখা হয় । তবে এই ঘটনার সঠিক কোনও নিয়ম নেই ।

এপ্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা হরেন্দ্রনাথ মাহাত ও হানিফ আনসারি জানান, এলাকার কারও মৃত্যু হলে এই দেউলঘাটা সেতুর নিচেই দেহ সৎকার করা হয় । আর তারপরই এই সেতুর দেওয়ালে মৃত ব্যক্তির নাম ও মৃত্যুর তারিখ লিখে দেওয়া হয় । এরপর বছর পেরোলে ওই ব্যক্তির মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয় এই স্থানেই । পুরুলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকার কে কবে মারা গিয়েছিল, এই সেতুর দেওয়াল থেকেই তার একটি খতিয়ান পাওয়া যায় ।

Intro:পুরুলিয়া : মৃত্যুর দিনপঞ্জিকা সেতুর দেওয়ালে l এ এক অদ্ভুত সেতু l মৃত্যুর পর হিন্দু হোক বা মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন ক্ষেত্র এই সেতু l যেমন এক গ্রন্থাগারে পাশাপাশি থাকে বাইবেল ও কোরান l ঠিক একই চিত্রই এখানেও l দূর থেকে সেতুর পিলারের দিকে তাকালে মনে হবে সেতুর দেওয়ালে যেন ছবি আঁকা l কিন্তু সামনে গেলেই অবাক হবেন l আসলে সেগুলিতে জ্বলজ্বল করছে মৃত ব্যক্তিদের নাম এবং মৃত্যুর তারিখ l হিন্দু হোক বা মুসলিম এক সেতুতে পাশাপাশি দুই সম্প্রদায়ের মৃত ব্যক্তিদের হাজারে হাজারে নাম লেখা l এ এক অদ্ভুত নিয়ম এলাকাবাসীদের l ঘটনা পুরুলিয়া জেলার আড়ষা ও জয়পুর থানার সংযোগস্থল দেউলঘাটা সেতু l Body:একদিকে আপন মনে বয়ে চলেছে কংসাবতী সেতু l আর তার মাঝেই স্থান অদ্ভুত পঞ্জিকা সেতু l তার ঠিক নিচেই রয়েছে হিন্দু - মুসলিমদের শ্মশান ঘাট l আড়ষা বা জয়পুর থানার সংযোগস্থল এই দেউলঘাটা শ্মশানঘাটে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের সৎকার করা হয় এই স্থানেই l সামনেই রয়েছে চোদ্দোশো বছরের প্রাচীন পোড়া মাটির তৈরী বিখ্যাত দেউলঘাটা মন্দির l কথিত আছে এই স্থানে দেহ সৎকার হলে স্বর্গপ্রাপ্তি হয় সকলের l আর এই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরেই হিন্দু-মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মৃত ব্যক্তিদের দেহ সৎকার করা হয় দেউলঘাটা সেতুর নিচে শ্মশান ঘাটে l আর সেই সমস্ত মৃত ব্যক্তিদের নাম ও মৃত্যর তারিখ সেতুর দেওয়ালের গায়ে পোড়া কাঠের আংরা বা সিঁদুর, গাছের পাতা বা পোড়া মাটি দিয়ে লেখা হয় l এর সঠিক কোনো নিয়ম নেই l তবুও বংশানুক্রমে করে আসছেন এলাকাবাসীরা lConclusion:এলাকারই বাসিন্দা হরেন্দ্রনাথ মাহাতো ও হানিফ আনসারী জানান, "এলাকার কারও মৃত্যু হলে এই দেউলঘাটা সেতুর নিচেই দেহ সৎকার করা হয় l আর তারপরই এই সেতুর দেওয়ালে মৃত ব্যক্তির নাম ও মৃত্যুর তারিখ লিখে দেওয়া হয় l হিন্দু মতে বছর পেরোলে মৃত ব্যক্তির মৃত্যু বার্ষিকী পালন হয় এই স্থানেই l এলাকার কে কখন মারা গিয়েছিল তা এই সেতুর দিকে তাকালেই দেখা যায় l হাজার হাজার মৃত ব্যক্তিদের স্মৃতি জ্বলজ্বল করে এই সেতুতে l"
Last Updated : Sep 10, 2019, 9:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.