পুরুলিয়া, 23 এপ্রিল : পর্যটকরা পুরুলিয়া এলেই একবার হলেও আসেন চড়িদা গ্রামে । পুরুলিয়ার স্মৃতি হিসেবে এখান থেকেই কিনে নিয়ে যান ছৌয়ের মুখোশ । কিন্তু লকডাউনে আসছেন না পর্যটকরা । ফলে খদ্দেরের অভাবে ঘরেই পড়ে রয়েছে নানারকমের মুখোশ । আর তাতে সমস্যায় পড়েছেন এই মুখোশ তৈরির কারিগররা ।
সারাবছরই পর্যটকদের ভিড় থাকে পুরুলিয়ায় । আর পুরুলিয়া মানেই পর্যটকদের তালিকায় থাকে চড়িদা গ্রাম । ছৌয়ের মুখোশ কিনতে এই গ্রামে ভিড় করেন পর্যটকরা । আবার এই সময়টা ছৌ নাচের মরশুম । তাই ছৌ নাচের শিল্পীরাও মুখোশ কিনতে চড়িদায় এই সময়ে ভিড় করেন । ফলে সারাবছরই বাজার ভালো থাকে চড়িদার মুখোশ তৈরির কারিগরদের । কিন্তু লকডাউনের জন্য এখন পর্যটক নেই । বন্ধ ছৌ নাচও । ফলে একেবারেই বিক্রি নেই মুখোশের ।
অন্যদিকে এই মুখোশ তৈরির নানা সরঞ্জাম বেশিরভাগ কারিগর ঋণ নিয়ে কিনে আনেন । মুখোশ বিক্রি না হওয়ায় সেই ঋণ শোধ করতেও হিমশিম খাচ্ছেন কারিগররা । ফলে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছেন চড়িদার মুখোশ তৈরির কারিগররা ।
![Chau Mask](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-prl-01-lockdown-impact-chou-maks-market-7204369_23042020083214_2304f_1587610934_209.jpg)
রাজ্য সরকারের সাহায্যে রেশনের ব্যবস্থা হয়ে গেলেও অন্যান্য খরচ কীভাবে চলবে তা ভেবে উঠতে পারছেন না কারিগররা । তাঁরা জানান, "পরিবারের সকলেই একই কাজের সঙ্গে যুক্ত । কয়েক মাস আগে থেকেই ঋণ নিয়ে ছৌ মুখোশ তৈরির সরঞ্জাম কিনেছিলাম । প্রচুর ছৌ মুখোশ তৈরিও হয়ে গেছে । কিন্তু বিক্রি একদমই হয়নি । বাড়িতে জমানো টাকাও শেষ । রেশনে চাল-ডাল মিললেও তা দিয়ে সারাটা মাস চালানো মুশকিল । অন্যান্য খরচও তো রয়েছে । আবার ছৌ মুখোশ তৈরির জন্য বাজার থেকে নেওয়া ঋণও শোধ দিতে পারছি না । বাড়ছে সুদ । কিন্তু উপায়ও নেই । এই মুহূর্তে কোনওরকমে চলছে সংসার ।"