চন্দ্রকোনা,31 মে : চিকিৎসকের অভাবে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর বন্ধ ছিল সিজার পরিষেবা (Cesarean surgery Open)। ফের পরিষেবা চালু হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ সাড়ে তিনবছর পর সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দরজা খুলল, আর প্রথমদিনই এক সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করলেন এক তরুণী (Cesarean surgery open after long years at Chandrakona rural hospital)। ঘটনায় খুশি দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসার কারণে আসা রোগীর পরিজনেরা । খুশি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্সরাও ।
গড়বেতা থানার ফতেগঞ্জ গ্রামের প্রসূতি রঙ্কিতা পান সোমবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে আসেন । হাসপাতালে সিজার দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ সেটা তাঁর পরিবারের লোকজন জানতেন । তাঁরা ভেবেছিলেন এই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হয়তো মেদিনীপুর বা ঘাটাল হাসপাতালে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে । কারণ, সাড়ে তিন বছর সিজার পরিষেবা বন্ধ থাকায় হাসপাতালে আসা প্রসূতি মহিলাদের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে এতোটা পথ পেরিয়ে এতদিন মেদিনীপুর বা ঘাটালে স্থানান্তরিত হতে হত । চিকিৎসকের ঘাটতি মিটিয়ে কয়েকবছর পর হাসপাতালে পুনরায় সিজার পরিষেবা চালু হওয়ায় চোখে-মুখে স্বস্তির ছাপ রোগীর পরিজন থেকে চিকিৎসকদের ।
জানা গিয়েছে, প্রসূতি চিকিৎসক ও অ্যানাস্থিসিস্ট বিশেষজ্ঞের অভাবে বন্ধ ছিল সিজার পরিষেবা ৷ পর্যাপ্ত চিকিৎসক না-থাকায় তালা পড়েছিল অপারেশন থিয়েটারে । চলতি বছরের জানুয়ারিতে একজন প্রসূতি চিকিৎসক যোগ দেন হাসপাতালে ৷ চলতি মাসেই একজন অ্যানাস্থিসিস্ট বিশেষজ্ঞও যোগ দেন । সবমিলিয়ে সিজার পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে চন্দ্রকোনার পাশাপাশি গড়বেতা, কেশপুর অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি মিটবে বলে আশা করা যায় ।
আরও পড়ুন : খবরের জের, চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে জেনারেটর পাঠালেন মহকুমাশাসক
হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি বলেন, "মূলত চিকিৎসকের অভাবে সাড়ে তিন বছর বন্ধ ছিল সিজার পরিষেবা, তারপরে একজন গাইনোকোলজিস্ট পরে একজন অ্যানাস্থিসিস্ট দেওয়া হয় । অপারেশন থিয়েটার এখনও পুরোপুরি রেডি করা যায়নি ৷ এখনও কিছু পরিকাঠামো গত সমস্যা রয়েছে তবে আমরা যতোটা পেরেছি তা মিটিয়ে সাড়ে তিন বছর পর প্রথম সিজার হল সফল ভাবে ।"