ETV Bharat / state

Sheila reinstated Chairperson: ঝালদা পৌরসভার চেয়ারপার্সন থাকবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়, নির্দেশ হাইকোর্টের

author img

By

Published : Feb 9, 2023, 9:39 PM IST

ফের ঝালদা পৌরসভার চেয়ারপার্সন (Jhalda Municipality Chairperson) কংগ্রেস কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় ৷ তাঁকেই ফের চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷

Calcutta High Court
ঝালদা পৌরসভার চেয়ারপার্সন
কংগ্রেস কাউন্সিলরদের পক্ষের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির বক্তব্য

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: কংগ্রেস কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কেই (Congress councillor Sheila Chatterjee) ফের ঝালদা পৌরসভার চেয়ারপার্সন হিসাবে কাজ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta HC Division Bench) । সিঙ্গল বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুর জায়গায় শীলা চট্টোপাধ্যায় অবিলম্বে চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন । এমনটাই নির্দেশে জানিয়েছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ বাকি সমস্ত বিষয়ে আগামিকাল সিঙ্গেল বেঞ্চ মামলার শুনানি করে নিস্পত্তি করবে বলেও নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের ।

মামলাকারী সুদীপ কর্মকারের তরফে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু বলেন: "কোনও অভিযোগ ছাড়াই সিঙ্গেল বেঞ্চ সুদীপ কর্মকারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে । আইনভঙ্গ করা হয়েছে তেমন কোন প্রমাণ নেই । তার সত্ত্বেও সিঙ্গেল বেঞ্চ কী করে এই নির্দেশ দেয় !" পূর্ণিমা কান্দুকে নিযুক্ত করার ব্যাপারে তিনি বলেন, "রাজ্য সুদীপ কর্মকারকে নিয়োগ করেছিল পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত । কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চ কোনওরকম কারণ ছাড়াই তাঁকে সরিয়ে পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করেছে ।"

রাজ্যের তরফে আইনজীবী অনির্বান রায় বলেন: "বোর্ড মেম্বারদের মধ্যে থেকে সুদীপ কর্মকারকে ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে সাবডিভিশন অফিসার নিয়োগ করেছিলেন । সিঙ্গেল বেঞ্চ নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে পরাজিত দলের প্রতিনিধি পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করেছে ।"

প্রাক্তন চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী প্রতীক ধর বলেন: "16 জানুয়ারি পৌরসভার ভোটের পর শীলা বিজয়ী হয়ে চেয়ারপার্সন হিসাবে শপথ নেওয়ার 24 ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই সেখান থেকে সরানো হল তাঁকে । আইন বলে যদি চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকে বেশ কিছুদিনের জন্য তাহলে ভোট হতে পারে । কিন্তু সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধভাবে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে সরানো হয় । চেয়ারম্যান না থাকলে ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়োগ করা যায় । কেন রাজ্য সেখানে প্রশাসক হিসাবে সুদীপ কর্মকারকে নিয়োগ করবে !"

পূর্ণিমা কান্দুর নিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, "সিঙ্গেল বেঞ্চ একটা অন্তর্বর্তী নির্দেশ হিসাবে তাঁকে নিযুক্ত করেছে । "

রাজ্যের বক্তব্য: "শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ অবৈধ । পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন না । সেই কারণেই সুদীপ কর্মকারকে জেলাশাসক পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করেন । "

সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করার নির্দেশের সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ একমত নয় । পূর্ণিমার জায়গায় শীলা চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে সিঙ্গেল বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত । 16 জানুয়ারি তিনি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন । সেটাকে খারিজ করা যায় না ।

উল্লেখ্য, 16 জানুয়ারি সকাল 11টায় ঝালদা পৌরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা । ডিএম-এর তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিতে নির্বাচন করতে নির্দেশ দেন তিনি । নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ভিডিয়োগ্রাফি করতেও বলা হয় । নির্বাচনের পর কংগ্রেস দলের প্রতিনিধি শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় ৷ তিনি নির্বাচিত হলেও 18 তারিখ তাঁকে সরিয়ে এসডিও সুদীপ কর্মকার নামে একজনকে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দেন । বিচারপতি অমৃতা সিনহা 20 জানুয়ারি সুদীপ কর্মকারের নিয়োগ খারিজ করে কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে দায়িত্ব দেন ৷ বিচারপতি জানান, 10 ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি এই মামলার । এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে রাজ্য ।

আরও পড়ুন: শীলার সদস্যপদ খারিজ, ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধান তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ

কংগ্রেস কাউন্সিলরদের পক্ষের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির বক্তব্য

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: কংগ্রেস কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়কেই (Congress councillor Sheila Chatterjee) ফের ঝালদা পৌরসভার চেয়ারপার্সন হিসাবে কাজ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Calcutta HC Division Bench) । সিঙ্গল বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুর জায়গায় শীলা চট্টোপাধ্যায় অবিলম্বে চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন । এমনটাই নির্দেশে জানিয়েছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ বাকি সমস্ত বিষয়ে আগামিকাল সিঙ্গেল বেঞ্চ মামলার শুনানি করে নিস্পত্তি করবে বলেও নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের ।

মামলাকারী সুদীপ কর্মকারের তরফে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু বলেন: "কোনও অভিযোগ ছাড়াই সিঙ্গেল বেঞ্চ সুদীপ কর্মকারকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে । আইনভঙ্গ করা হয়েছে তেমন কোন প্রমাণ নেই । তার সত্ত্বেও সিঙ্গেল বেঞ্চ কী করে এই নির্দেশ দেয় !" পূর্ণিমা কান্দুকে নিযুক্ত করার ব্যাপারে তিনি বলেন, "রাজ্য সুদীপ কর্মকারকে নিয়োগ করেছিল পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত । কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চ কোনওরকম কারণ ছাড়াই তাঁকে সরিয়ে পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করেছে ।"

রাজ্যের তরফে আইনজীবী অনির্বান রায় বলেন: "বোর্ড মেম্বারদের মধ্যে থেকে সুদীপ কর্মকারকে ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে সাবডিভিশন অফিসার নিয়োগ করেছিলেন । সিঙ্গেল বেঞ্চ নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে পরাজিত দলের প্রতিনিধি পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করেছে ।"

প্রাক্তন চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী প্রতীক ধর বলেন: "16 জানুয়ারি পৌরসভার ভোটের পর শীলা বিজয়ী হয়ে চেয়ারপার্সন হিসাবে শপথ নেওয়ার 24 ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই সেখান থেকে সরানো হল তাঁকে । আইন বলে যদি চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকে বেশ কিছুদিনের জন্য তাহলে ভোট হতে পারে । কিন্তু সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধভাবে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে সরানো হয় । চেয়ারম্যান না থাকলে ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়োগ করা যায় । কেন রাজ্য সেখানে প্রশাসক হিসাবে সুদীপ কর্মকারকে নিয়োগ করবে !"

পূর্ণিমা কান্দুর নিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, "সিঙ্গেল বেঞ্চ একটা অন্তর্বর্তী নির্দেশ হিসাবে তাঁকে নিযুক্ত করেছে । "

রাজ্যের বক্তব্য: "শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ অবৈধ । পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন না । সেই কারণেই সুদীপ কর্মকারকে জেলাশাসক পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করেন । "

সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, পূর্ণিমা কান্দুকে চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করার নির্দেশের সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ একমত নয় । পূর্ণিমার জায়গায় শীলা চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে সিঙ্গেল বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত । 16 জানুয়ারি তিনি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন । সেটাকে খারিজ করা যায় না ।

উল্লেখ্য, 16 জানুয়ারি সকাল 11টায় ঝালদা পৌরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচনের নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা । ডিএম-এর তত্ত্বাবধানে ও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারিতে নির্বাচন করতে নির্দেশ দেন তিনি । নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ভিডিয়োগ্রাফি করতেও বলা হয় । নির্বাচনের পর কংগ্রেস দলের প্রতিনিধি শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় ৷ তিনি নির্বাচিত হলেও 18 তারিখ তাঁকে সরিয়ে এসডিও সুদীপ কর্মকার নামে একজনকে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দেন । বিচারপতি অমৃতা সিনহা 20 জানুয়ারি সুদীপ কর্মকারের নিয়োগ খারিজ করে কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে দায়িত্ব দেন ৷ বিচারপতি জানান, 10 ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি এই মামলার । এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে রাজ্য ।

আরও পড়ুন: শীলার সদস্যপদ খারিজ, ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধান তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.