পুরুলিয়া, 27 মার্চ: ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে (Fraud Case in Purulia) ৷ সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার প্রতারণা চক্রের রমরমাও ৷ প্রায়শই ভুয়ো ব্যাংক অফিসার বা অন্য কোনও পরিচয় দিয়ে টাকা হাতানোর ঘটনার কথা শোনা যায় ৷ যেমনটা ঘটেছে পুরুলিয়ার অমিত মণ্ডলের সঙ্গে ৷ ফোন করে থানার অফিসারের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ধাপে ধাপে 1 লক্ষ 60 হাজার টাকা হাতান অমিত বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন ৷ রবিবার পুরুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
মানি ট্রান্সফারের দোকান রয়েছে অমিত মণ্ডলের ৷ অবসর সময়ে জল সরবরাহের ব্যবসাও করেন ৷ চলতি মাসের 22 তারিখ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে, ফোনের অপর প্রান্তে থাকা এক ব্যক্তি নিজেকে থানার অফিসার পরিচয় দিয়ে বলেন, " আমি থানার অফিসার বলছি । আমি তোমাকে চিনি ।তুমি তো থানায় জল দাও । আমি বিপদে পড়েছি। টাকার খুব দরকার ৷ আমাকে 60 হাজার টাকা একটু পাঠিয়ে দাও ৷ আমি তোমাকে সন্ধ্যায় দোকানে গিয়ে নগদ টাকা দিয়ে আবো ।" এই ব্যক্তির কথা মতো অমিত উল্লিখিত টাকা পাঠান ৷ পরে সারাদিনের মধ্যে ধাপে ধাপে আরও 1 লক্ষ টাকা পাঠান অমিত। প্রতিবারই প্রতারক জানান তিনি দোকানে এসে টাকা দিয়ে যাবেন ৷ টাকা পাঠালেও সেই টাকা আর ফেরত পাননি ৷
এদিকে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও টাকা ফেরত না আসায় ওই যুবক যখন ওই নম্বরে ফোন করেন ৷ দেখা যায় তার ফোন বন্ধ। পরে থানায় গিয়ে জানতে পারেন নম্বরটি থানার কারও নয় । থানা থেকে কেউ তাঁকে ফোন করেনি । তখন ওই যুবক বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন ।এরপরেই রবিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : আসানসোলে সাইবার প্রতারণা, বিহারে গ্রেফতার 2 অভিযুক্ত
এই প্রসঙ্গেই পুরুলিয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপারেশন ) চিন্ময় মিত্তল বলেন , "আমরা ব্যাংকের তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছি ৷ প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ভাবে মনে করা হচ্ছে স্থানীয় কেউ হতে পারে ৷ তবে আমরা তদন্তে সমস্ত সম্ভবনার পথ খোলা রাখছি ।" পাশাপাশি সাইবার ক্রাইমে কর্মরত এক আধিকারিক বলেন, "দিন দিন প্রতারকরা নিত্য নতুন জাল বুনছেন । কখনওই না চিনে না জেনে শুধু মাত্র ফোনের কথায় ভরসা করে কাউকে টাকা দেওয়া উচিত নয়।"