পুরুলিয়া, 13 মে : পুরুলিয়ার শহরের বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনলেন তুষার অবস্থী নামে এক যুবক (allegation against BJP MLA of Purulia Town) ৷ এলাকায় তিনি তৃণমূল কর্মী নামে পরিচিত ৷ যুবকের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি একটি পোস্ট করেন ৷ সেই পোস্টে তিনি লেখেন,"এই বিধায়কের একটা রেসিডেন্ট দেবার মুরাদ নেই।" অভিযোগ, তারপরেই বৃহস্পতিবার রাতে ওই বিজেপি বিধায়ক তুষারের দোকানে হামলা চালান ও তাঁকে মারধর করেন । যদিও বিজেপির পালটা অভিযোগ, এক ভিডিয়ো বার্তায় বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করেছেন ওই যুবক ৷
এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া পৌরসভার পৌরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা নবেন্দু মাহালি বলেন, "ঘটনার কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম । এই বিধায়কের নামে বহু অভিযোগ রয়েছে । কেউ ওনার নামে অশ্রাব্য ভাষায় পোস্ট করলে তিনি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করতে পারতেন । তবে নাগরিক হিসেবে যে কেউ একজন জন-প্রতিনিধির উদ্দেশ্যে পোস্ট করতেই পারেন ।" অন্যদিকে, অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, "আমি কেন তাঁকে মারতে যাব । আমি মারতে গেলে তিনি কীভাবে ভিডিয়ো করলেন ? উলটে সেই আমাকে ও আমার এক কর্মীকে মেরেছে ৷ এই ব্যাপারে আমরা শীঘ্রই থানায় লিখিত অভিযোগ করব ।"
আরও পড়ুন : পীযূষের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠকের পরও সমস্যা সমাধানের অপেক্ষায় অর্জুন
এই বিষয়ে বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, "বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় রাত একটা দু'টোর সময় প্রয়োজনে সাধারণ মানুষের জন্য অ্যাম্বুল্যান্সও জোগাড় করে দেন ৷ সব সময় উনি পুরুলিয়ার মানুষের সঙ্গে থাকেন । ওই ছেলেটি রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট নিয়ে যে পোস্টটি করে তার প্রেক্ষিতে বিধায়ক তাকে বোঝাতে যান ৷ পোস্টটি যে ভুল তা বুঝিয়ে তিনি ওই যুবককে বলেন বাইরে থাকার জন্য তিনি রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট দিতে পারেননি । তখন ওই যুবক উল্টে বিধায়ককে অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করে ৷ এমনকি বিধায়ককে ধাক্কাও মারা হয় । তারপর নিজেই নিজের দোকানে ভাঙচুর করে নাটক করছে ওই যুবক ৷ এগুলো শুধুমাত্র সহানুভূতি আদায়ের জন্য এবং বিজেপিকে বদনাম করার জন্য করা । ওই যুবক কেমন তা অনেকেই জানেন ।
তিনি আরও বলেন, "পাশে আছি পুরুলিয়া, এই নাম করে ব্ল্যাকমেইল করা তার কাজ । অক্সিজেন সরবরাহ করার নাম করে সে প্রচুর টাকা নেয় । এমনকি তার জন্য একজন প্রতিবন্ধীরও মৃত্যু হয় ৷ কিন্তু তুষারের মাথায় বড় বড় তৃণমূল নেতাদের হাত থাকায় পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি । এমনকি হাসপাতালে লাইভ ভিডিয়ো করে এফআইআর ছিঁড়ে ফেললেও তার কিছু হয় না । ওর কাজই হচ্ছে লাইভ করে ব্ল্যাক মেল করা । কালকের ঘটনাতে ওখানে যাঁরা ছিলেন তাঁরা সকলেই ভাল করে জানে যে ও মিথ্যা কথা বলছে, তাই ওকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেনি । আর যে ভাষায় ও বিধায়ককে গালি গালাজ করেছে তা ভিডিয়োটা দেখলে বোঝা যাবে যে ভদ্রলোকের মুখের ভাষা ওটা হতে পারে না । আমরা বিধায়কের গায়ে হাত দেওয়া ও গালিগালাজ করার জন্য ওর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করব ।"