পুরুলিয়া, ২ ফেব্রুয়ারি : জেলা পাটশিল্প প্রশিক্ষণ দপ্তরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলল সেখানে প্রশিক্ষণরত যুবকরা। গতকাল পুরুলিয়া শহরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধের দাবিতে ওই যুবকরা দপ্তরের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
প্রশিক্ষিত ওই যুবকদের অভিযোগ, "রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জুটমিলগুলিতে দক্ষ শ্রমিকদের অভাব থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জুটমিলগুলির মালিকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রশিক্ষিত যুবকদের কাজে নিযুক্ত করার চুক্তি করা হয়। তাই জেলার পাটশিল্পকে বাঁচানোর পাশাপাশি পাটশিল্পক্ষেত্রে চাকরির সুবিধার্থে বিগত অগাস্ট মাসে শ্রম দপ্তরের উদ্যোগে পুরুলিয়া শহরে দুলমি-নডিহাতে পাটশিল্পে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ প্রকল্পের শুভ সূচনা করা হয়। যেখানে বলা হয়েছিল এমপ্লয়মেন্ট খাতে নাম নথিভুক্ত থাকা যুবকদের তিনমাসের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ চলাকালীন ভাতাও দেওয়া হবে। প্রথম এক মাসে ১০০ টাকা করে, পরের মাসে ১৮০ টাকা করে এবং শেষ এক মাসে ২৫০ টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রশিক্ষণ শেষে দক্ষ যুবকদের চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই সেই প্রতিশ্রুতি মেনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক বেকার যুবকদের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত যুবকরা নিজেদের কাজ ছেড়ে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিজের নাম নথিভুক্ত করান।"
তাদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় তাদের নিয়ম মতো স্টাইপেন্ড দেওয়া হত না। এমনকী এই কাজের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য রাজ্যের অন্য জুটমিলগুলিতেও তাদের পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাদের নানাভাবে র্যাগিং করা হয়।
এই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলার পাটশিল্প কেন্দ্রের আধিকারিক অজয় মণ্ডল সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "চুক্তিভিত্তিতে কাজ করানো হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং প্লেসমেন্ট হয়নি একথাও ভুল। যারা জুটমিলে গিয়েছিল তারা অনেকেই কাজ পেয়েছেন। অনেক ছেলে রয়েছে যারা ট্রেনিং সম্পূর্ণ না করেই পালিয়ে এসেছে। এরকম করলে তো আর কাজ করা যায় না। যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আপডেট নেই তাদের টাকা দিতে অসুবিধা হয়েছে।"