বাঘমুন্ডি, 1 জুন : পুরুলিয়ার বুড়দা কালিমাটি এলাকার অধিকাংশ শিশু পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে ৷ অভিভাবকদের অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের থেকে মেলে না পুষ্টিকর খাবার ৷ আবার কখনও বা একটু দেরিতে এলে খাবার ফুরিয়ে যায় ৷ এমনকি শিশুদের আধসেদ্ধ খাবার দেওযার অভিযোগ এলাকাবাসীর ৷ তাড়াতাড়ি এলেও যে খাবার মিলবে সেই নিশ্চয়তাও নেই ৷ দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যার সন্মুখীন হচ্ছেন বুড়দা কালিমাটি অঞ্চলের কালিমাটি গ্রামের নিচ পাড়ার কালিমাটি 2নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুরা। পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে শিশুরা ৷ বাধ্য হয়েই মুখ খুললেন এলাকাবাসী (Agitation at Anganwari Center) ৷
ওই কেন্দ্রের শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রায় দিন রান্না ভালভাবে হয় না । এমনকি রান্নার জিনিসপত্র অপরিষ্কার বলে উল্লেখ করেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নিতে আসা এক শিশুর মা ৷ আরও এক অভিভাবকের কথায় সকাল 10টার পর এলে অধিকাংশ সময়েই ডিম থাকে না ৷ শুধুমাত্র সবজি ভাত দেয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ৷ শুধু যে খাদ্যের অপ্রতুলতা তা নয় ৷ খাদ্যের মান নিয়ে ও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ শিশুদের পুষ্টির জন্য যে চাল দেওয়া হয় তা খুব অপরিষ্কার ও নিম্নমানের ৷
এই প্রসঙ্গেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী অনিমা দাস জানান, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে চলতি মাস পর্যন্ত দু’দিন তিনি অনুপস্থিত ছিলেন এই কেন্দ্রে ৷ তাঁর কথায় এই কেন্দ্রে 80 জন পড়ুয়া থাকলেও বেশির ভাগ দিন 50-60 জন পড়ুয়া উপস্থিত থাকে ৷ সকলকেই ডিম, ভাত, সবজি ও ডাল দেওয়া হয় ৷ এই কেন্দ্রের আরও এক সহায়িকা করুণা কুন্ডু জানান, তাঁকে যতটা পরিমাণ চাল দেওয়া হয় তিনি সেভাবেই রান্না করেন ৷ প্রতিদিন 60 জনের রান্না হয় ৷ কম পড়লে পরের দিন তা পূরণের আশ্বাস দেন ৷ এই প্রসঙ্গেই বাঘমুন্ডি ব্লকের বিডিও দেবরাজ ঘোষ জানান, তিনি এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না ৷ পরে খোঁজ নিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন ৷ সমস্যা সমাধানের আশায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ৷
আরও পড়ুন : Parents protested in Malda : মালদায় 4 দিন ধরে বন্ধ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, বিক্ষোভ অভিভাবকদের