কলকাতা, 4 ডিসেম্বর: পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভার (Jhalda Municipality) পরিস্থিতি নিয়ে ফের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Anand Bose) চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury) ৷ গত 23 নভেম্বরের পর 4 ডিসেম্বর এই ইস্যুতে দ্বিতীয়বার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে চিঠি পাঠালেন তিনি ৷ তাঁর এবারের চিঠিতেও কার্যত একই অভিযোগ করেছেন অধীর ৷ চিঠিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি ৷ প্রবীণ কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, রাজ্যপাল এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না করলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি ৷
এ নিয়ে অধীরের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেছিলেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি ৷ তাঁকে অধীর বলেন, "গতবারের চিঠিতে আমি যেসমস্ত অভিযোগ করেছিলাম, আজ সেগুলি প্রমাণিত ৷ তাই, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে চিঠি পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি ৷ কিন্তু, এরপরও পরিস্থিতির বদল না-ঘটলে আদালতের পথ তো খোলাই আছে ৷"
আরও পড়ুন: 'নির্দল' শিলাকে ঝালদা পৌরসভার চেয়ারপার্সন করল কংগ্রেস
রাজ্যপালকে পাঠানো চিঠিতে অধীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ হল, ঝালদা পৌরসভায় রাজ্য সরকার পরিকল্পনা মাফিক প্রশাসক বসিয়েছে ৷ এক্ষেত্রে কোনও পৌরবিধি বা আইন মানা হয়নি ৷ বস্তুত, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির পরিবর্তে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে ৷ নির্বাচিত রাজ্য সরকারই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে !
চিঠিতে রাজ্যপালের উদ্দেশে অধীর লিখেছেন, রাজ্য প্রশাসন ক্ষমতার অপব্যবহার করছে ৷ তাই সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আপনার হস্তক্ষেপ চাইতে বাধ্য হলাম আমি ৷ ঝালদা পৌরসভার নির্বাচন এবং তার ফলাফল ঘোষণার পর থেকে রাজ্যের শাসকদলের নির্দেশে কংগ্রেসের কাউন্সিলর, দলীয় নেতা এবং সদস্যদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে ৷ তপন কান্দু নামে এক কাউন্সিলরকে খুন করা হয়েছে ৷ জোর করে ঝালদা পৌরসভার নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেনি রাজ্যে শাসকদল তথা সরকার পক্ষ ৷
অধীর তাঁর চিঠিতে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে ৷ অবশেষে গত 21 নভেম্বর ঝালদা পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যানকে নিয়ম মেনে অপসারিত করা হয় ৷ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দেন কংগ্রেসের পাঁচ কাউন্সিলর ৷ সঙ্গে ছিলেন দুই নির্দল কাউন্সিলরও ৷ কিন্তু, তারপরও সরকার পক্ষ প্রশাসক নিয়োগ করে পৌরসভার ক্ষমতা ধরে রাখার বেআইনি প্রচেষ্টা করে চলেছে ৷ এই প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ফের একবার চিঠিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন অধীর ৷