ETV Bharat / state

হলদিয়ায় যুবতিকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার শ্বশুর

অতিরিক্ত পণ চেয়ে না পাওয়ার কারণে যুবতির ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে ৷ যুবতির শ্বশুর ও স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Oct 28, 2019, 11:35 PM IST

হলদিয়া, 28 অক্টোবর: অতিরিক্ত পণ চেয়ে পায়নি ৷ যুবতিকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ শ্বশুরের বিরুদ্ধে ৷ যুবতির বাবার বাড়ির লোকদের অভিযোগ, মৃতের শ্বশুর ধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে যুবতিকে হত্যা করেছে ৷ হলদিয়ার ঘটনা । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷ গতরাতে যুবতির পরিবারের তরফে হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । যুবতির শ্বশুর ও স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে হলদিয়া থানার পুলিশ । ধৃতদের আজ হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ কঠোর শাস্তির দাবিতে অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার লোকজন ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, আড়াই বছর আগে ওই যুবতির হলদিয়ার এক বাসিন্দার সঙ্গে বিয়ে হয় ৷ তাঁদের ১৪ মাসের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে । অভিযুক্ত স্বামী পেশায় মাছের ব্যবসায়ী । বিয়ের পর কয়েক মাস সব ঠিকঠাকই ছিল । অভিযোগ, সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন যুবতিকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা ও সোনার গয়না আনার জন্য চাপ দিচ্ছিল । আর তা না পাওয়ার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে পরিবারে অশান্তি চলছিল । বেশ কয়েকবার যুবতির বাবা যুবতির শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে অশান্তি মিটমাটও করে দিয়ে এসেছিলেন ৷ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকদের তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর পক্ষে এই মূহুর্তে 50 হাজার টাকা বা সোনার হার কোনওটাই দেওয়া সম্ভব না ৷ এপরেই গত শনিবার যুবতিকে ভোররাতে বিষ খাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

যুবতির বাবার বাড়ির তরফে অভিযোগ, দাবি মতো অতিরিক্ত পণ দিতে না পারার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা । তাঁদের দাবি, মতো টাকা দিতে না পারার কারণে যুবতির শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করার পর বিষ খাইয়ে খুন করেছে ৷ যুবতির বাবা অভিযোগ করে বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই আমার মেয়ের উপর অতিরিক্ত পণের দাবিতে অত্যাচার চালাত ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা । গত শনিবার ভোর চারটে নাগাদ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে বলে গলায় কফ জমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে মেয়ে । হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা জানায় বিষ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের । কয়েক মাস আগেই জামাই ও তাদের বাড়ির লোকজন আমার কাছে একটি সোনার হারের দাবি করেছিল । সেই হার দিতে পারব না জানিয়ে দিই ৷ এরপরে ওরা মেয়েকে আমাদের বাড়ি থেকে 50 হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিচ্ছিল ৷ তা না পাওয়ার কারণেই মেয়েকে ধর্ষণ করে শ্বশুর ৷ এরপরে ওর বাড়ির লোকেরা বিষ খাইয়ে খুন করেছে মেয়েকে । আমি দোষীদের ফাঁসি চাই ।" অপরদিকে যুবতির মায়ের অভিযোগ, "মেয়ের সঙ্গে যে ওরা নোংরা ব্যবহার করত সে কথা আগেই প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শুনেছিলাম । আমি নিশ্চিত মেয়েকে শ্বশুরই ধর্ষণ করে খুন করেছে । তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুমনার শাশুড়ি ৷

হলদিয়া, 28 অক্টোবর: অতিরিক্ত পণ চেয়ে পায়নি ৷ যুবতিকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ শ্বশুরের বিরুদ্ধে ৷ যুবতির বাবার বাড়ির লোকদের অভিযোগ, মৃতের শ্বশুর ধর্ষণের পর বিষ খাইয়ে যুবতিকে হত্যা করেছে ৷ হলদিয়ার ঘটনা । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে ৷ গতরাতে যুবতির পরিবারের তরফে হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । যুবতির শ্বশুর ও স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে হলদিয়া থানার পুলিশ । ধৃতদের আজ হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ কঠোর শাস্তির দাবিতে অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার লোকজন ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, আড়াই বছর আগে ওই যুবতির হলদিয়ার এক বাসিন্দার সঙ্গে বিয়ে হয় ৷ তাঁদের ১৪ মাসের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে । অভিযুক্ত স্বামী পেশায় মাছের ব্যবসায়ী । বিয়ের পর কয়েক মাস সব ঠিকঠাকই ছিল । অভিযোগ, সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন যুবতিকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা ও সোনার গয়না আনার জন্য চাপ দিচ্ছিল । আর তা না পাওয়ার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে পরিবারে অশান্তি চলছিল । বেশ কয়েকবার যুবতির বাবা যুবতির শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে অশান্তি মিটমাটও করে দিয়ে এসেছিলেন ৷ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকদের তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর পক্ষে এই মূহুর্তে 50 হাজার টাকা বা সোনার হার কোনওটাই দেওয়া সম্ভব না ৷ এপরেই গত শনিবার যুবতিকে ভোররাতে বিষ খাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।

যুবতির বাবার বাড়ির তরফে অভিযোগ, দাবি মতো অতিরিক্ত পণ দিতে না পারার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা । তাঁদের দাবি, মতো টাকা দিতে না পারার কারণে যুবতির শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করার পর বিষ খাইয়ে খুন করেছে ৷ যুবতির বাবা অভিযোগ করে বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই আমার মেয়ের উপর অতিরিক্ত পণের দাবিতে অত্যাচার চালাত ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা । গত শনিবার ভোর চারটে নাগাদ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে বলে গলায় কফ জমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে মেয়ে । হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা জানায় বিষ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের । কয়েক মাস আগেই জামাই ও তাদের বাড়ির লোকজন আমার কাছে একটি সোনার হারের দাবি করেছিল । সেই হার দিতে পারব না জানিয়ে দিই ৷ এরপরে ওরা মেয়েকে আমাদের বাড়ি থেকে 50 হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিচ্ছিল ৷ তা না পাওয়ার কারণেই মেয়েকে ধর্ষণ করে শ্বশুর ৷ এরপরে ওর বাড়ির লোকেরা বিষ খাইয়ে খুন করেছে মেয়েকে । আমি দোষীদের ফাঁসি চাই ।" অপরদিকে যুবতির মায়ের অভিযোগ, "মেয়ের সঙ্গে যে ওরা নোংরা ব্যবহার করত সে কথা আগেই প্রতিবেশীদের কাছ থেকে শুনেছিলাম । আমি নিশ্চিত মেয়েকে শ্বশুরই ধর্ষণ করে খুন করেছে । তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুমনার শাশুড়ি ৷

Intro:হলদিয়া,২৮ অক্টোবর: হলদিয়া রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। বধুর বাপের বাড়ির অভিযোগ অতিরিক্ত পন চেয়ে তা না পাওয়ায় মৃতার শ্বশুর তাঁর বৌমাকে ধর্ষণ করে পরে গলায় বিষ ঢেলে খুন করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়া পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণু রামচক এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম সুমনা দাস হালদার (২০)। ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শশুর তাপস হালদার ও স্বামী রঞ্জিত হালদার কে গ্রেপ্তার করেছে হলদিয়া থানার পুলিশ।Body:স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আড়াই বছর আগে হলদিয়ার বিষ্ণু রামচক এলাকার রঞ্জিত হালদার পড়শী যুবতী সুমনা দাসের সাথে প্রেম করে বিয়ে করে। তাদের ১৪ মাসের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী রঞ্জিত পেশায় মাছের ব্যবসায়ী। বিবাহের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল। অভিযোগ সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে রঞ্জিত ও তার পরিবারের লোকজন সুমনাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা ও সোনার গহনা আনার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আর তা না পাওয়ার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে পরিবারে অশান্তি চলছিল। সেই অশান্তি বেশ কয়েকবার সুমনার বাবা তাপস দাস বাড়িতে গিয়ে মিটিও দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সে সময় তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন সোনার হার বা ৫০ হাজার টাকা কোনভাবেই দিতে পারবেন না। তারপরেই গত শনিবার ভোররাতে বিষ খাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপরদিকে মৃতের বাপের বাড়ির তরফের অভিযোগ দাবিমতো অতিরিক্ত পণ দিতে না পারার কারণে দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁদের দাবি মতো টাকা দিতে না পারার কারণে মৃতার শ্বশুর তাপস হালদার তাকে ধর্ষণ করে গলায় ছেলে খুন করেছে। গতরাতে পরিবারের তরফ থেকে হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে হলদিয়া থানার পুলিশ রবিবার ভোররাতে স্বামী রঞ্জিত পশুর তাপস কে গ্রেপ্তার করে। অপরদিকে কঠোর শাস্তির দাবিতে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে এদিন বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী ।ধৃতদের আজ হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে।Conclusion:মৃত সুমনার বাবা তাপস দাস অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমার মেয়ের উপর অতিরিক্ত পণের দাবিতে অত্যাচার চালাত তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। গত শনিবার ভোর চারটে নাগাদ মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফোন করে বলে গলায় কফ জমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে মেয়ে। হাসপাতালে গেলে চিকিৎসকরা জানায় খাওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে মেয়ের। কয়েক মাস আগেই জামাই ও তাদের বাড়ির লোকজন আমার কাছে একটি সোনার হারের দাবি করেছিল। সেই হার দিতে পারবোনা জানিয়ে দেওয়া মেয়েকে পঞ্চাশ হাজার টাকা বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ দিচ্ছিল। তা না পাওয়ার কারণে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে শশুর ও তাঁর বাড়ির লোকেরা বিষ খাইয়ে খুন করেছে। আমি দোষীদের ফাঁসি চাই।
অপরদিকে মৃতের মা ঠাকুরানী দাসের অভিযোগ, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আগেই মেয়ের সাথে নোংরা ব্যবহার করার কথা খবর পেয়েছিলাম। আমি নিশ্চিত মেয়েকে তার শ্বশুরমশাই ধর্ষণ করে খুন করেছে।


যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মৃতার শাশুড়ি কল্যাণী হালদার।

এ বিষয়ে হলদিয়া থানার আইসি কুদরতে খুদা জানিয়েছেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের আজ হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.