এগরা (পূর্ব মেদিনীপুর), 9 জানুয়ারি: ছেলেকে হস্টেলে ছাড়তে যাওয়ার সময় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক মহিলার ৷ বছর তেত্রিশের ওই মহিলার নাম পিঙ্কি রাউত ৷ সোমবার সকাল 8টা 10 মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার দিঘা মোড়ের কাছে (Woman Died in Road Accident in East Midnapore) ৷ বাইকে করে যাচ্ছিলেন তাঁরা ৷ পাশ দিয়ে একটি লরি যাওয়ার সময় বাইকটিকে ধাক্কা মারে ৷ আর তাতেই বাইকে সওয়ার 3 জনই রাস্তায় পড়ে যান ৷ সেই দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে ৷ সেখানে দেখা গিয়েছে 12 চাকার ওই লরির মাঝের একটি চাকা মৃতার শরীরের উপর দিয়ে চলে যায় ৷
এই ঘটনায় আহত পিঙ্কি রাউতের বাবা প্রহ্লাদ রাউত (58), ছেলে বাপন রাউত (14) ৷ তাঁদের উদ্ধার করে এগরা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে ৷ দুর্ঘটনার পর ঘাতক লরির চালক কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি দাঁড় করায় ৷ তবে, দুর্ঘটনায় কেউ মারা গিয়েছেন, বুঝতে পেরে ঘাতক লরিটিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চালক ৷ তবে, স্থানীয়রা তৎপরতার সঙ্গে লরি-সহ চালককে ধরে ফেলে ৷
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পিঙ্কি রাউতের দেহ উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ ঘাতক লরি-সহ চালককে আটক করেছে পুলিশ ৷ স্থানীয়দের দাবি, বাইকে করে যাওয়ার সময় তাঁদের হাতে মুড়ি ভরতি ব্যাগ ছিল ৷ সেই ব্যাগ লরির লোহার হুকে আটকে যায় ৷ আর তার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক-সহ রাস্তায় পড়ে যান তিনজনে ৷ তবে, পিঙ্কি রাউত সবার পিছনে বসে থাকায় তিনি ছিটকে লরির চাকার নিচে চলে যান ৷ কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচে পিঙ্কি রাউতের ছেলে বাপন ৷ সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ৷ তবে, বাইক আরোহীদের সকলের মাথায় হেলমেট ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
আরও পড়ুন: লেকটাউনে ট্যাক্সিকে ধাক্কা বিএসএফ’র বাসের, আহত 5
জানা গিয়েছে, পিঙ্কি রাউতের বাড়ি পটাশপুর থানার নৈপুরের মির্জাপুর গ্রামে ৷ ওই গ্রামেই তাঁর বাপের বাড়ি ৷ এদিন অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছেলে বাপনকে হস্টেলে ছাড়তে যাচ্ছিলেন তিনি এবং তাঁর বাবা প্রহ্লাদ রাউত ৷ আর মাঝ রাস্তায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ৷ পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷