ETV Bharat / state

যুবতির দেহ উদ্ধার, খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে - তমলুকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হল যুবতিকে

অভিযোগ, যুবতির উপর চলত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার ৷ গত সন্ধ্যায় যুবতির পরিবার খবর পায় , তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ।‌ আত্মহত্যার কথা বিশ্বাস করেনি মৃতার পরিবার ৷ তাদের অভিযোগ, বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ।

death
author img

By

Published : Oct 15, 2019, 9:28 PM IST

Updated : Oct 16, 2019, 3:32 PM IST

তমলুক , 15 অক্টোবর : যুবতির দেহ উদ্ধার ৷ খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ৷ প্রায়ই অশান্তি হত শ্বশুরবাড়িতে ৷ চলত মারধরও ৷ গত সন্ধ্যায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হল যুবতিকে,অভিযোগ মৃতার পরিবারের ৷

কোলাঘাট থানার কাঁচরোল গ্রামের বাসিন্দা অসীমা পাঁজা ৷ তাঁর সঙ্গে 9 বছর আগে বিয়ে হয় আঁচাইপুর গ্রামের অশোক গায়েনের । তাঁদের দুই পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে । অশোকের অভিযোগ ছিল স্ত্রী কারখানাতে অন্য পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা করছে । শুরু হয় অশান্তি । অসীমার উপর চলত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার ৷ গত সন্ধ্যায় অসীমার পরিবার খবর পায় , তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ।‌ আত্মহত্যার কথা মানেনি মৃতের পরিবার ৷ তাঁদের অভিযোগ, অসীমাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ।

দেথুন ভিডিয়োয়...

এলাকারই একটি হোসিয়ারি দ্রব্য সামগ্রীর তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতেন অশোক । তাঁদের অভাবের সংসার ছিল । সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এক বছর আগে এলাকার অন্য কারখানায় কাজ শুরু করেন অসীমা । স্ত্রী-র উপর সন্দেহের কারণে কয়েক মাস পর থেকে শুরু হয় অশান্তি । অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কয়েকবার বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন অসীমা ৷

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, প্রতিদিন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করত তাঁকে । এমনকি, মাঝেমধ্যে খেতেও দেওয়া হত না । একবার পাঁচদিন খেতে দেওয়া হয়নি তাঁকে ৷ গতকাল সকালে তাঁদের সঙ্গে শেষ কথা হয় অসীমার ৷ এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গলায় শাড়ি জড়িয়ে ফ্যান থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ মৃতের পরিবারের ৷

অসীমার পরিবার তমলুক থানায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় ৷ এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ । গতরাতেই তমলুক থানার পুলিশ অসীমার মৃতদেহ উদ্ধার করে । ভোর রাতে অশোক ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । আজ ধৃতদের তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয় ।

অসীমার দাদা খোকন বাবু বলেন, " অশোক ছেলে-মেয়ের দায়িত্ব নিত না । আমার বোন রোজগার করে ওদের মানুষ করত । বোন কারখানায় কাজ করার কারণে ওঁদের সম্পর্কে অবনতি হতে শুরু করে । প্রতিনিয়তই ওঁদের মধ্যে অশান্তি হত । আর সে কারণেই বোনকে বালিশ চাপা দিয়ে ওঁরা খুন করেছে । আমরা চাই ওঁদের পরিবারের প্রত্যেকেই কঠোর শাস্তি পাক ।"

তমলুক থানার OC কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানিয়েছেন, মৃতের স্বামী অশোক গায়েন ও শ্বশুর রবিন গায়েনকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তাঁদের আজ তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।

তমলুক , 15 অক্টোবর : যুবতির দেহ উদ্ধার ৷ খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ৷ প্রায়ই অশান্তি হত শ্বশুরবাড়িতে ৷ চলত মারধরও ৷ গত সন্ধ্যায় শ্বাসরোধ করে খুন করা হল যুবতিকে,অভিযোগ মৃতার পরিবারের ৷

কোলাঘাট থানার কাঁচরোল গ্রামের বাসিন্দা অসীমা পাঁজা ৷ তাঁর সঙ্গে 9 বছর আগে বিয়ে হয় আঁচাইপুর গ্রামের অশোক গায়েনের । তাঁদের দুই পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে । অশোকের অভিযোগ ছিল স্ত্রী কারখানাতে অন্য পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা করছে । শুরু হয় অশান্তি । অসীমার উপর চলত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার ৷ গত সন্ধ্যায় অসীমার পরিবার খবর পায় , তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ।‌ আত্মহত্যার কথা মানেনি মৃতের পরিবার ৷ তাঁদের অভিযোগ, অসীমাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ।

দেথুন ভিডিয়োয়...

এলাকারই একটি হোসিয়ারি দ্রব্য সামগ্রীর তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতেন অশোক । তাঁদের অভাবের সংসার ছিল । সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এক বছর আগে এলাকার অন্য কারখানায় কাজ শুরু করেন অসীমা । স্ত্রী-র উপর সন্দেহের কারণে কয়েক মাস পর থেকে শুরু হয় অশান্তি । অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কয়েকবার বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন অসীমা ৷

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, প্রতিদিন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করত তাঁকে । এমনকি, মাঝেমধ্যে খেতেও দেওয়া হত না । একবার পাঁচদিন খেতে দেওয়া হয়নি তাঁকে ৷ গতকাল সকালে তাঁদের সঙ্গে শেষ কথা হয় অসীমার ৷ এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে গলায় শাড়ি জড়িয়ে ফ্যান থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ মৃতের পরিবারের ৷

অসীমার পরিবার তমলুক থানায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় ৷ এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ । গতরাতেই তমলুক থানার পুলিশ অসীমার মৃতদেহ উদ্ধার করে । ভোর রাতে অশোক ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । আজ ধৃতদের তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয় ।

অসীমার দাদা খোকন বাবু বলেন, " অশোক ছেলে-মেয়ের দায়িত্ব নিত না । আমার বোন রোজগার করে ওদের মানুষ করত । বোন কারখানায় কাজ করার কারণে ওঁদের সম্পর্কে অবনতি হতে শুরু করে । প্রতিনিয়তই ওঁদের মধ্যে অশান্তি হত । আর সে কারণেই বোনকে বালিশ চাপা দিয়ে ওঁরা খুন করেছে । আমরা চাই ওঁদের পরিবারের প্রত্যেকেই কঠোর শাস্তি পাক ।"

তমলুক থানার OC কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানিয়েছেন, মৃতের স্বামী অশোক গায়েন ও শ্বশুর রবিন গায়েনকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তাঁদের আজ তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন । মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।

Intro:তমলুক,১৫ অক্টোবর: সন্দেহের কারণে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক থানার আঁচাইপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম আসীমা গায়েন (২৭)। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পুলিশ স্বামী অশোক গায়েন ও শ্বশুর রবিন গায়েনকে গ্রেপ্তার করেছে।Body:স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাট থানার কাঁচরোল গ্রামের বাসিন্দা অসীমা পাঁজার সাথে বছর ৯ আগে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় আঁচাইপুর গ্ৰামের যুবক যুবক অশোক গায়েনের। তাঁদের দুই পুত্র ও কন্যা সন্তান রয়েছে। অশোক এলাকারই একটি হোসিয়ারি দ্রব্য সামগ্রীর তৈরির একটি কারখানায় কাজ করতো। ন্যূনতম বেতনের কাজ হওয়ায় সংসারে নিত্য দিন লেগে থাকত অভাব-অনটন।আর যে কারণেই স্বামীর সংসারে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে আনার জন্য বছরখানেক আগেই এলাকার অপর একটি হোসিয়ারি দ্রব্য প্রস্তুতকারী কারখানায় কাজে যোগ দেয় অসীমা। কয়েক মাস সুখে সংসার কাটালেও তারপর থেকেই শুরু হয় দুজনের মধ্যে অশান্তি। অভিযোগ স্ত্রী কারখানাতে অন্য পর পুরুষের সাথে মেলামেশা করছে। এমনই অভিযোগ তুলে প্রতিনিয়ত চলতো তাদের মধ্যে অশান্তি। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বেশ কয়েকবার বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন যান বধূ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরেও আসে। ফের শুরু হয় একই কারণে অশান্তি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ নিত্যদিন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মারধর করত তাকে। এমনকি মাঝেমধ্যে খেতেও দেওয়া হতো না। তাঁদের দাবি অসীমা ফোনে জানিয়েছিল গতকালই শ্বশুর-শাশুড়িকে জানাবে ছেলে-মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীকে সঁপে দিয়ে কাজ ছেড়ে দেবে। কিন্তু তারপরই সন্ধ্যে নাগাদ নাগাদ খবর পান অসীমা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।‌ যদিও আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ মৃতের বাপের বাড়ির লোকেরা। তাদের অভিযোগ অসীমা কে বালিশ চাপা দিয়ে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে ঘটনার মোড় ঘোরানোর জন্যই গলায় শাড়ি জড়িয়ে ফ্যানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতেই তমলুক থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে মৃতের দাদা খোকন পাঁজার অভিযোগের ভিত্তিতে ভোর রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আজ ধৃতদের তমলুক জেলা আদালতে তোলা হয়।Conclusion:এ বিষয়ে খোকন বাবু অভিযোগ করে বলেন, অশোক ছেলে-মেয়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিত না। আমার বোন কাজ করে ওদেরকে মানুষ করত। কিন্তু বোন কারখানায় কাজ করার কারণে ওদের সম্পর্কে অবনতি হতে শুরু করে। জানিয়ে প্রায় প্রতিনিয়তই ওদের মধ্যে অশান্তি হতো। আর সে কারণেই বোনকে বালিশ চাপা দিয়ে ওরা খুন করে দিয়েছে। আমরা চাই ওদের পরিবারের প্রত্যেকেই কঠোর শাস্তি পাক।

তমলুক থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান জানিয়েছেন, মৃতের স্বামী অশোক গায়েন ও শ্বশুর রবিন গায়েন কে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তোদের আজ তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অপরদিকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Last Updated : Oct 16, 2019, 3:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.