চণ্ডীপুর, 9 মে : ভোটের প্রচারে আসা BJP-র দুই রাজ্য নেতাকে গেস্ট হাউজ় থেকে থানায় তুলে নিয়ে গেল পুলিশ । ঘটনার প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় BJP কর্মীরা । পরে পুলিশ মুচলেকা নিয়ে দুই রাজ্য নেতাকে ছেড়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় । ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর এলাকার ।
BJP-র দুই রাজ্য নেতা রাজীব বাগচি ও শ্যামচাঁদ ঘোষ 5 মে পূর্ব মেদিনীপুরে আসেন । তাঁরা কাঁথি ও তমলুক লোকসভা এলাকায় নির্বাচনের কাজ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন । দলের তরফে চণ্ডীপুরের এক বেসরকারি গেস্ট হাউজ়ে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় । গতরাত আড়াইটা নাগাদ চণ্ডীপুর থানার পুলিশ তাঁদের আটক করে নিয়ে যায় । আজ সকালে BJP কর্মীরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয় ।
BJP নেতা রাজীব বাগচি বলেন, "12 মে এই এলাকায় লোকসভা নির্বাচন রয়েছে । নির্বাচনী প্রচারের জন্য এসেছি । থানা লাগোয়া গেস্ট হাউজ়টিকে আমরা বেছেছিলাম । গতরাত আড়াইটা নাগাদ পুলিশ আমাদের থানায় তুলে নিয়ে যায় । এরপর সারা রাত থানায় বসিয়ে রাখে । যা যা তথ্য দেখতে চেয়েছিল তাও আমরা পুলিশকে দেখিয়েছে । সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার পরও কেন এরকম হল তা বুঝে উঠতে পারছি না।"
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, "আমরা ওই হোটেলে বন্দুক ও টাকা লেনদেনের খবর পেয়ে অভিযান চালাই। হোটেলের রেজিস্টারে ওই দু'জনের নাম ও পরিচয় না থাকায় সন্দেহ হওয়ায় থানায় আনা হয়। পরে সব কিছু খতিয়ে দেখে সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।"
কাঁথির BJP সভাপতি তপন মাইতি বলেন, "রাজ্য থেকে জেলায় নির্বাচনী কাজ দেখভাল করতে আসা আমাদের দুই নেতাকে পুলিশ অহেতুক থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করে। আসলে হারের আতঙ্কে তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। যতই চক্রান্ত করুক এবার তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত।" এদিকে চণ্ডীপুরের বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা ভোট প্রচারে ব্যস্ত। এই ঘটনার কথা জানি না। পুলিশ কাকে কখন কী কারণে ধরে আনছে তা আমাদের জানার কথাও নয়। BJP-র অভিযোগ ভিত্তিহীন।"