তমলুক, 29 জুন: দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য অবশেষে 43 জন তৃণমূল নেতাকে বরখাস্ত করলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র । রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন বাকি রয়েছে আর মাত্র 9 দিন । তার আগেই দলীয় নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি । বৃহস্পতিবার 43 জন দলীয় নেতাকে দল থেকে বরখাস্ত করেন । এদের মধ্যে অনেকেই সুফিয়ান গোষ্ঠীর নির্দল প্রার্থী ও নির্দল সমর্থিত নেতৃত্বরা রয়েছেন । বাকি তমলুক সাংগঠনিক জেলার অন্যান্য নির্দল প্রার্থী বা কেউ কেউ নির্দল প্রার্থীদের সমর্থক হিসেবে কাজ করছেন । তাই নির্দলদের দলে ঠাঁই নেই বলে এদিন তমলুক সাংগঠনিক জেলা থেকে সুফিয়ান অনুগামী-সহ 43 জনকে বরখাস্ত করল তৃণমূল ।
ঘোষণা হওয়ার পরও দলীয় কর্মীদের চাপে তৃণমূলকে রাতারাতি প্রার্থীপদ বদল করতে হয়েছিল নন্দীগ্রামে থেকে । তারপর খুব বিক্ষোভ উঠতে শুরু করে নন্দীগ্রামে । অবশেষে সুফিয়ান গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন । তাদের বারবার অনুরোধ করা হয়েছিল দলের স্বার্থে মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়ার জন্য । কিন্তু সুফিয়ান অনুগামীরা দলের নির্দেশ অমান্য করেই প্রার্থীপদ বহাল রাখেন । এদিন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র সুফিয়ান অনুগামী-সহ 43 জন দলীয় নেতৃত্বদের বরখাস্ত করেন । এদিন তিনি জানান, দলের নির্দেশ মেনেই এই 43 জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন : লোকসভা ভোটে বাংলায় শাহী টার্গেটকেও ছাপিয়ে গেলেন শুভেন্দু
এদিন তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র এক সাংবাদিক বৈঠক করে এই সমস্ত তৃণমূল নেতৃত্বকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেন । নন্দীগ্রাম বঙ্গ জননী কমিটির ব্লক প্রেসিডেন্ট সাবিনা ইয়াসমিন, নন্দীগ্রাম 2 ব্লকের সদস্য সঞ্চিতা প্রধান দে, আফসানা বিবি-সহ মোট 43 জন দলীয় নেতৃত্বদের বরখাস্ত করা হয়েছে । আর এই বহিষ্কারকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক । বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এগুলো শুধু আই ওয়াশ ছাড়া আর কিছু নয় । আজ দলের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে । নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে শাসকদল এইভাবে ভালো হওয়ার চেষ্টা করছে । এতে খুব একটা লাভ হবে না । কারণ মানুষ জেনে গিয়েছে এদের আসল রূপ ।"